ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: ১৬/০৮/২০২৪ ৭:৪৭ এএম

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সরকারি বাহিনীর সঙ্গে সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মির যুদ্ধের তীব্রতা আরও বেড়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে বাংলাদেশের টেকনাফ সীমান্ত থেকে রাখাইনের অভ্যন্তরে আগুনের কুণ্ডলী ও ধোঁয়া উড়তে দেখা গেছে। গোলার বিকট শব্দও পাওয়া গেছে। এমন পরিস্থিতিতে গত এক সপ্তাহে আট হাজারের বেশি রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ করে টেকনাফের শরণার্থী ক্যাম্পসহ বিভিন্ন গ্রামে আশ্রয় নিয়েছে বলে জানিয়েছেন কক্সবাজারের রোহিঙ্গা নেতা ও স্থানীয়রা। তবে এ বিষয়ে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবির) পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

টেকনাফ সীমান্তের বাসিন্দা মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর গতকাল বলেন, সন্ধ্যা ৬টার দিকে টেকনাফ পৌরসভার জালিয়াপাড়া থেকে সীমান্তের ওপারে রাখাইন রাজ্যের সুদাপাড়া গ্রামে ধোঁয়ার কুণ্ডলী দেখা যায়। বিকট শব্দও শোনা গেছে। টেকনাফ পৌরসভার কাউন্সিলর মনিরুজ্জামান বলেন, বিকেল থেকে ওপারে বিকট শব্দ শোনা গেছে।

মিয়ানমারে থাকা এক স্বজনের বরাত দিয়ে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা মোহাম্মদ ইয়াছিন বলেন, আজকের হামলায় বহু মানুষের প্রাণহানি হয়েছে। রোহিঙ্গাদের রাখাইন রাজ্যের মংডু টাউনশিপ থেকে সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আরাকান আর্মি। আবার অনেককে ধরে নিয়ে অন্য গ্রামে নিয়ে যাচ্ছে তারা। বলতে গেলে সেখানে ভয়াবহ পরিস্থিতি বিরাজ করছে।

তিনি আরও বলেন, কয়েক দিনের মধ্য মংডু টাউনশিপ নিয়ন্ত্রণে নিতে প্রস্তুতি শেষ করেছে আরাকান আর্মি। ওই এলাকায় ব্যাপক বোমা হামলা চালানো হচ্ছে। ইতোমধ্য মংডুর মগ্নিপাড়, সিকদার পাড়া, নরবনিয়া, উকিল পাড়া, নয়াপাড়া ছেড়ে পালাচ্ছেন বাসিন্দারা।

কক্সবাজারের আশ্রিত রোহিঙ্গা নেতা মোহাম্মদ জোবায়ের বলেন, মিয়ানমার সরকার ও আরাকান আর্মি চলমান যুদ্ধে রোহিঙ্গাদের মানবঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে। এতে প্রতিদিন অসংখ্য রোহিঙ্গার মৃত্যুর খবর পাচ্ছি। গত এক সপ্তাহের মধ্য অন্তত আট হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করেছে। যারা ক্যাম্পে আগে থেকে থাকা স্বজনের কাছে আশ্রয় নিয়েছে। অনেকে বিভিন্ন গ্রামে থাকছে।
তবে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ নিয়ে কিছু স্বীকার করেনি প্রশাসন ও বিজিবি। টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আদনান চৌধুরী বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত আছেন।

নাফ নদ ও স্থলপথ অতিক্রম করে রোহিঙ্গারা যাতে কক্সবাজারের টেকনাফ ও সেন্টমার্টিনে ঢুকতে না পারে, সেজন্য অতিরিক্ত বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে জানিয়ে বাহিনীর টেকনাফ-২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মহিউদ্দীন আহমেদ বলেন, সীমান্তে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের খবরে বেশ কয়েকটি পয়েন্টে নজরদারি ও টহল বাড়ানো হয়েছে। ইতোমধ্যে বহু অনুপ্রবেশকারীকে ফেরত পাঠানো হয়েছে

পাঠকের মতামত

১ নভেম্বর থেকে খুলছে সেন্টমার্টিন, তবে ডিসেম্বর পর্যন্ত রাত্রিযাপন নিষিদ্ধ

সেন্টমার্টিন দ্বীপ পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া হবে আগামী ১ নভেম্বর থেকে। পর্যটন মৌসুম চলবে ফেব্রুয়ারি ...

ঢাকায় রেলক্রসিংয়ে প্রাণ হারালেন কক্সবাজারে উষা বড়ুয়া

রাজধানী ঢাকার মহাখালী রেলক্রসিংয়ে মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন কক্সবাজারের রামু উপজেলার মেরংলোয়া গ্রামের উষা বড়ুয়ার ...