প্রকাশিত: ২২/০৪/২০১৭ ৭:৫১ পিএম

ফারুক আহমদ, উখিয়া::
উখিয়ার সীমান্তবর্তী বালুখালী পানবাজারটি নানা অব্যবস্থাপনা, সুষ্ট নীতিমালার অভাব ও জবরদখলকারীদের অবৈধ স্থাপনা তৈরির কারণে ক্রেতা-বিক্রেতাদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে বর্ষা মৌসুমের আগেই বাজার শেড নির্মাণ করার জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের নিকট জোরদাবী জানিয়েছেন ব্যবসায়ীগণ।
সরজমিন পরিদর্শনে দেখা যায়, বালুখালী পানবাজারটি সংস্কারের অভাবে অযন্ত ও অবহেলায় দিন দিন নাজুক পরিস্থিতিতে অবতীর্ণ হয়। বিশেষ করে বালুখালী ঐতিহ্যবাহী বাজারটি বিলুপ্ত হয়ে গেলে বৃহত্তর এলাকায় হাজার হাজার লোকজনের একমাত্র নির্ভরশীল হয়ে পড়ে এ পানবাজারটি।
বাজার কমিটির সভাপতি সাবেক মেম্বার আলী আহমদ বলেন, প্রতিদিন পানবাজারে তরিতরকারী ও কাঁচা মাছ সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের হাট বসে। তবে বাজারে কোন প্রকার সরকারী শেড না থাকায় পণ্য সামগ্রী ক্রয়-বিক্রয় করতে সীমাহীন কষ্ট শিকার হতে হয়। বিশেষ করে কতিপয় মহল সরকারী জায়গার উপর অবৈধ স্থাপনা তৈরি করে বাজারটি জবরদখল করে রেখেছে। সাধারণ সম্পাদক ডাক্তার ফরিদ আলম জানান, অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে নির্ধারিত জায়গায় শেড নির্মাণ করা হলে সরকার বাজার খাত থেকে বিপুল পরিমান রাজস্ব আদায় করতে সক্ষম হবে।
তরকারী ব্যবসায়ী শাহাব উদ্দিন ও নজির আহমদ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বালুখালী পানবাজারটি উপজেলা প্রশাসন ইজারা প্রদান করলেও খুচরা ব্যবসায়ীদের বসার কোন স্থান নেই। সব জায়গায় অবৈধ স্থাপনা। এলাকায় উৎপাদিত কৃষি পণ্য সামগ্রী কিংবা সবজি জাতীয় পণ্য ক্রয়-বিক্রি কালে অবৈধ জবরদখলকারীরা জোরপূর্বক ভাবে অতিরিক্ত টাকা দাবী করে। টাকা না দিতে চাইলে বাজারে না আসার জন্য হুমকি ধমকি দেয়।
এদিকে বর্তমানে বৃহত্তর বালুখালীর প্রায় ১৫টি গ্রামের এক মাত্র হাট হচ্ছে এ পানবাজারটি। প্রতিদিন অসংখ্য ক্রেতা-বিক্রেতার সমাগন ঘটে। তবে বেশ কয়েকবছর ধরে সরকারী জায়গার উপর অবৈধ স্থাপনা তৈরি করে বাজারটি এক প্রকার জবর দখল করে রেখেছে। কেউ হাট বাজারে উৎপাদিত পণ্য সামগ্রী ক্রয় ও বিক্রয় করতে চাইলে তাদেরকে অতিরিক্ত টাকা দিতে হয়। এ ঘটনা নিয়ে প্রায় সময় নানা ঝগড়া বিবাদের ঘটনাও ঘটে। সরকারী টোল আদায়কারী কাশেম মিয়া অভিযোগ করে বলেন, বাজারের ইজারা আদায় করতে গেলে জবরদখলকারী ও অবৈধ স্থাপনার মালিকগণ বাঁধা দেয়। ফলে সরকারী ভাবে নির্ধারিত রাজস্ব আদায়ে লক্ষ্য মাত্রা পূূরণ নাও হতে পারে।
কাঁচা মাছ ব্যবসায়ী জিল্লুর রহমান ও ফরিদ আলম বলেন, সরকারী ভাবে কোন বাজার শেড না থাকায় রোদে পুড়ে ঝড়ে ভিজে আমাদেরকে ব্যবসা করতে হচ্ছে। এতে করে ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ের সীমাহীন দুর্ভোগে পড়তে হয়।
সচেতন নাগরিক সমাজ ও ক্রেতা-বিক্রেতাগণ অবিলম্বে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে বাজারে পণ্য ক্রয়-বিক্রয়ের সুবিধার্থে শেড নির্মাণ করার জন্য নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট জোরদাবী জানিয়েছেন।

পাঠকের মতামত

চট্টগ্রামে ছাত্রদল ও যুবদলের সঙ্গে শিবিরের সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধসহ আহত ২০

চট্টগ্রামে এক যুবককে থানায় নেওয়াকে কেন্দ্র করে ছাত্রদল ও যুবদল নেতা-কর্মীদের সাথে শিবিরের নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষ ...

কক্সবাজারসহ পাঁচ জেলায় পদযাত্রায় নামছে এনসিপি, হামলার শঙ্কা

চট্টগ্রামসহ পাঁচ জেলায় পদযাত্রা নামছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। আগামীকাল শনিবার (১৯ জুলাই) কক্সবাজারে পদযাত্রার ...