প্রকাশিত: ০৪/০৫/২০১৭ ৯:৫৬ পিএম

শামীম ইকবাল চৌধুরী,নাইক্ষ্যংছড়ি::
নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতা ডাঃ ইসমাইল হোসেন মেহেদীর ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা লাশের সুষ্ট তদন্তের মাধ্যমে বিচারের দাবীতে মানব বন্ধন ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্টিত হয়েছে ।

বৃহস্পতিবার (৪ মে ) বিকাল সাড়ে ৫ টার সময় নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা শহরের প্রান কেন্দ্র উপজেলা চত্বরের শহীদ মিনারের সামনে এ মানব বন্ধনের আয়োজন করেন নিহতের স্বজনেরা। এতে পরে একটি সংক্ষিপ্ত প্রতিবাদ সভার

আয়োজন করা হয়। নিহতের স্ত্রীর বড় ভাই ছালামত উল্লার পরিচালনায়, পরিবারের স্বজনরা ব্যানার, ফেস্টুন নিয়ে নিহত ইসমাইলের শুভাঙ্খাকিসহ আওয়ামীলীগের সকল অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দরা মানববন্ধনে অংশ নেয়। মানববন্ধন থেকে ডা: ইসমাইল হোসেনের খুনিদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানানো হয়।

এসময় বক্তব্যে নিহতের বড় মেয়ে উম্মে আইমান তান্নি বলেছেন- ‘‘আমার বাবা কোন সংকীর্ণ মন মানসিকতার লোক ছিলেন না যে, কঠিন পরিস্থিতিতে আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে পারে। আত্মহত্যার যদি উদ্দেশ্য হতো তাহলে ২৭ এপ্রিল ঘর থেকে বের হয়ে ৩০ এপ্রিল আত্মহত্যা কেন করলেন?। তিনি আরো বলেন- ‘‘আমার বাবা নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা আওয়ামীলীগের আগামী কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদকের পদপ্রার্থী ছিলেন। মৃত্যুর আগের রাতেও তিনি মোবাইলে স্বাভাবিক কথাবার্তা বলেছেন। সুতরাং আমার বাবার মৃত্যুটি কোন প্রকার আত্মহত্যা হতে পারে না। পরিকল্পিত ভাবেই তাঁকে হত্যা করা হয়েছে। এটি পরিকল্পিত হত্যা ছিল বলেই হোটেলের কক্ষে সোফার উপর টি টেবিলটি যথাস্থনে ছিলনা। বক্তব্যে তিনি আরো বলেন- তার বাবার হাতের তালুতে কালচে বর্ণ ধারণ করে যা হাতে আঘাত করা হয়েছে। ডান হাতের মধ্য আঙ্গুলটি ভাঙ্গা ছিল। কেউ স্বেচ্ছায় ফাঁসি নিলে গলায় একটি দাগ থাকার কথা। কিন্তু তাঁর বাবার গলায় তিনটি সম আকারের দাগ ছিল বলে দাবী করেন তিনি। আর এদিকে আওয়ামীলীগে সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা বলেন, আওয়ামীলীগ সংগঠনে ডাঃ ইসমাইল হোসেন মেহেদী একজন ক্লিন ইমেজের নেতা ছিলেন। তাকে হারিয়ে সংগঠন অনেক ক্ষতিতে। সে সংগঠনের জন্য একজন দক্ষ সংগঠক ছিলেন। আমাদেরও দাবী সঠিক তদন্ত করে উদঘাটন করতে হবে ইসমাইলকে কি হত্যা করেছে না নিজে আত্ম হত্যা করেছেন ? দলীয় নেতা হিসেবে  বিবেচনা না করে সাধারন মানুষ যেন আর এমন বর্বরোচিত ঘটনায় শিকারে পরিনত না হয় । তারা আরো বলেন, এ  বর্বরোচিত মৃত্যু ঘটনার মূল রহস্য উদঘাটনে গোয়েন্দা সংস্থা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর  আন্তরিক হবেন এমনটাই দাবী জানানো হয়েছে। মানববন্ধনে অন্যান্য বক্তরা প্রশাসনের প্রতি আহব্বান জানিয়ে বলেন, সুষ্ট তদন্তের মাধ্যমে আসল অপরাধীকে বিচার মুখোমখি করতে হবে । সেই সাথে সুষ্ঠ তদন্ত না আসার আগে নিহত ইসমাইলের নাম ভেঙ্গে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার না করা এবং কোন প্রকার অহেতুক লোকদের হয়রানী না করার জন্য আইন শৃঙ্খলার প্রতি আহব্বান জানান বক্তরা ।

উল্লেখ্য ৩০ এপ্রিল কক্সবাজারের একটি আবাসিক হোটেল থেকে ডা: ইসমাইল হোসেনে মেহেদীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়।

পাঠকের মতামত

কক্সবাজারে স্বাস্থ্য বিভাগের নিয়োগ, পরীক্ষায় অনুপস্থিত থেকেও উত্তীর্ণ!

কক্সবাজারে স্বাস্থ্য সহকারীসহ বিভিন্ন পদে নিয়োগ পরীক্ষাকে ঘিরে গুরুতর অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। পরীক্ষা ...

দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা যশোরে ৮.৮ ডিগ্রি, টেকনাফে সর্বোচ্চ ৩১

শীতের তীব্রতা বাড়ায় দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলোতে হাড়কাঁপানো ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় যশোরে দেশের ...

১৩ রোহিঙ্গার জন্মনিবন্ধন জালিয়াতি, ইউপি উদ্যোক্তার স্বামী কারাগারে

নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে চেয়ারম্যান ও সদস্যদের ভুয়া সিল–স্বাক্ষর ব্যবহার করে ১৩ জন রোহিঙ্গা নাগরিকের জন্মনিবন্ধন তৈরির ...