উখিয়া নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৭/১০/২০২৩ ৮:১৭ এএম

প্রায় সাড়ে চার বছরের নির্মাণযজ্ঞ শেষ। এখন উদ্বোধনের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল। উদ্বোধনের প্রস্তুতি হিসেবে সাজসজ্জার কাজও শেষ হয়েছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এটি হতে যাচ্ছে দেশের সামর্থ্যের অনন্য উদাহরণ।

কর্ণফুলি নদীর তলদেশ দিয়ে নির্মিত এ টানেল শুধু বাংলাদেশে নয়, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় প্রথম। টানেলটি চট্টগ্রাম নগরীর পতেঙ্গা ও দক্ষিণের আনোয়ারা প্রান্তকে যুক্ত করেছে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে ভেতরে ঢুকতে দেয়া হয় গণমাধ্যমকর্মীদের। ৬০ কিলোমিটার গতিতে টানেলটি পার হতে সময় লাগে ৩ মিনিট। ১১ হাজার কোটি টাকার প্রকল্পটিতে চীনের এক্সিম ব্যাংকের ঋণ প্রায় ৫ হাজার ৯১৩ কোটি টাকা। বাকি টাকা সরকারের।

২৮ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্বোধন করবেন এই টানেলের। এরপর ২৯ অক্টোবর সাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হবে টানেলটি।

এরইমধ্যে টানেলের পরিচালনা প্রতিষ্ঠান নিয়োগ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। প্রাথমিকভাবে পাঁচ বছরের জন্য এ চুক্তি করা হয়েছে। ধাপে ধাপে টানেলটির দায়িত্ব নেবে বাংলাদেশ।

টানেলের প্রকল্প পরিচালক হারুনুর রশিদ বলেন, প্রথম পাঁচ বছর চায়নার একটা কোম্পানি টানেল পরিচালনা করবেন। এরই মধ্যে তাঁদের সঙ্গে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের একটি চুক্তি হয়েছে।

টানেলটি চট্টগ্রাম নগরীর পতেঙ্গা ও দক্ষিণের আনোয়ারা প্রান্তকে যুক্ত করেছে। ছবি: ভিডিও থেকে নেওয়া
টানেলটি চট্টগ্রাম নগরীর পতেঙ্গা ও দক্ষিণের আনোয়ারা প্রান্তকে যুক্ত করেছে। ছবি: ভিডিও থেকে নেওয়া
খরস্রোতা কর্ণফুলির তলদেশ দিয়ে এমন অবকাঠামোকে দেশের সামর্থ্যের অনন্য উদাহরণ বলছেন সংশ্লিষ্টরা। এর মাধ্যমে দক্ষিণ চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারে অর্থনীতির নতুন দিগন্ত খুলতে যাচ্ছে ।

চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেন, ‘আমদানি-রপ্তানির ক্ষেত্রে বিভিন্ন দেশগুলো যেমন মালয়েশিয়া, শ্রীলঙ্কা, সিঙ্গাপুর হয়ে আমাদের যে যাতায়াত করতে হতো সে সময়টি বেঁচে যাবে। এতে আমদানি-রপ্তানিতে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব পড়বে এবং জিডিপিতে বড় অবদান থাকবে।’

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলের দুটি টিউব। দক্ষিণ পাশের টিউব দিয়ে আনোয়ারা থেকে পতেঙ্গামুখী যান চলাচল করবে। আর উত্তরের টিউব দিয়ে পতেঙ্গা থেকে আনোয়ারা মুখী যান চলাচল করবে।

টানেল টিউবের দৈর্ঘ্য ২ দশমিক ৪৫ কিলোমিটার। টিউবের ভেতরের ব্যাস ১০ দশমিক ৮০ মিটার। টিউবসহ মূল টানেলের দৈর্ঘ্য ৩ দশমিক ৩২ কিলোমিটার।

পাঠকের মতামত

সংকট না কাটলে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন অসম্ভব, আলোচনা চালাচ্ছে বাংলাদেশ

রোহিঙ্গারা বাংলাদেশ থেকে রাখাইনে ফিরলেই সমস্যার সমাধান হবে না। মিয়ানমারের ভেতরেও অনেক রোহিঙ্গা বাস্তুচ্যুত হয়েছে। ...

ডাকসুর ভিপি সাদিক ও জিএস ফরহাদ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে সহ-সভাপতি (ভিপি) পদে নিটকতম প্রতিদ্বন্দ্বীর চেয়ে ব্যাপক ব্যবধানে ...