
নিউজ ডেস্ক::
চলতি বছর শুরু হচ্ছে, চট্টগ্রামের দোহাজারি থেকে কক্সবাজার হয়ে মিয়ানমার সীমান্তবর্তী ঘুমধুম পর্যন্ত রেললাইন নির্মাণের কাজ। এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের অর্থায়নে ১২৮ কিলোমিটারের এ রেলপথ নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় সাড়ে ১৮ হাজার কোটি টাকা। যা শেষ হওয়ার কথা ২০২২ সালে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সঠিক পরিকল্পনা ও দ্রুত কাজ শেষ করতে পারলে, দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে এর সুফল মিলবে।
অপার সৌন্দর্য্যের লীলাভূমি কক্সবাজার। যেখানে রয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় সমুদ্র সৈকত, যাকে ঘিরে আবর্তিত এ এলাকার পর্যটন শিল্প। কিন্তু সেখানে যেতে আকাশ ও সড়ক পথের বিকল্প নেই। এই যাত্রা যেমন ব্যয়বহুল, তেমনি কিছুটা ঝুঁকিপূর্ণও। তাই অনেকের পক্ষেই সম্ভব হয় না, কক্সবাজারের সৌন্দর্য্য উপভোগ করা।
এবার তাদের জন্যও থাকছে সুখবর। পর্যটকরা যাতে সরাসরি রেলপথে কক্সবাজারে যেতে পারে, সেই উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। যার একটি চট্টগ্রামের দোহাজারি থেকে রামু হয়ে যাবে কক্সবাজার আর অপরটি যাবে মিয়ানমারের সীমান্তবর্তী ঘুমধুম সীমান্ত পর্যন্ত। যেটি যুক্ত হবে ট্রান্স এশিয়ান রেলের সঙ্গে। আর এটি হলে, বাংলাদেশ থেকে রেলপথেই মিয়ানমার হয়ে চীন, থাইল্যান্ডসহ ২০টি দেশে যাতায়াত করা যাবে।
২০১০ সালে ১২৮ কিলোমিটার রেলপথ নির্মাণ প্রকল্প হাতে নিয়েছিল সরকার। সে সময় ব্যয় ধরা হয় ১ হাজার ৮৫২ কোটি ৩৫ লাখ টাকা। ২০১৬ সালে ১৯ এপ্রিল যা সংশোধন করা হয়। জমি অধিগ্রহণ, মিটার গেজ থেকে ডুয়েলগেজে রূপান্তরসহ নান যুক্তিতে, খচর প্রায় দশগুন বাড়িয়ে করা হয় ১৮ হাজার ৩৪ কোটি ৪৮ লাখ টাকা। প্রকল্প এলাকায় বন্য প্রাণী সংরক্ষণ ছিল, ব্যয় বাড়ানোর বড় যুক্তি।
এতো কিছুর পরও এ প্রকল্পে অর্থায়নে রাজি হয়েছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক-এডিবি। যদিও ছয় মাসেও, সম্পন্ন হয়নি ঋণ চুক্তি। তবে রেলকর্তৃপক্ষের দাবি, চলতি বছরই ঋণ চুক্তিসহ ভৌত অবকাঠামো নির্মাণ কাজ শুরু হবে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সঠিক পরিকল্পনার অভাব আর সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের অদক্ষতার কারণেই বিলম্ব হচ্ছে কাজে। প্রকল্পের আওতায় ১১টি স্টেশন ও লুপ লাইনসহ মোট ১৪০ কিলোমিটার রেলপথ নির্মাণ করা হবে। কক্সবাজারের টার্মিনালটি হবে আন্তর্জাতিক মানের। প্রকল্পের কাজ শেষ হবে ২০২২ সাল।
পাঠকের মতামত