ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: ২১/০৮/২০২৫ ৮:১৫ এএম
ফাইল ছবি

 

পর্যটন নগরী কক্সবাজার থেকে বন্দর নগরী চট্টগ্রাম পর্যন্ত সড়ক পথের দৈর্ঘ্য ১৪৮ কিলোমিটার। এই গুরুত্বপূর্ণ সড়কের মোড়ে মোড়ে বাজার।

নিষেধাজ্ঞা থাকার পরও তিন চাকার যান চলে ইচ্ছেমতো।

কোথাও সড়ক এত সরু যে দুটি গাড়ি পাশাপাশি চলা দায়। ফলে লেগে থাকে যানজট।

এতে তিন ঘণ্টার পথ যেতে সময় লাগে পাঁচ ঘণ্টা। এক প্রান্তে সমুদ্রসৈকত হওয়ার কারণে এটি দেশের অন্যতম ব্যস্ততম মহাসড়কগুলোর একটি।

সড়ক ও জনপথ বিভাগ গত ১৩ মার্চ জরিপ করে দেখেছে, এ মহাসড়কে দিনে গড়ে ২৬ হাজার ৬৮৪টি যানবাহন চলাচল করে। সবচেয়ে বেশি চলে তিন চাকার বিভিন্ন যানবাহন, ৪০ শতাংশ।

তবে সরকারি ছুটি ও ঈদের আগে–পরে এ মোট যানবাহনের সংখ্যা ৩৫ থেকে ৪০ হাজার ছাড়িয়ে যায়। যানবাহন চলাচল করে যেনতেনভাবে। ট্রাফিক আইন মানে না।

কক্সবাজার সৈকতে হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগে গত তিন দশকে গড়ে উঠেছে পাঁচ শতাধিক হোটেল–মোটেল।

হোটেল গেস্টহাউস মালিক সমিতির হিসাবে, প্রতিবছর কক্সবাজার ভ্রমণে আসেন অন্তত ৭০ লাখ পর্যটক। ঈদ ও সরকারি ছুটিতে বেশি পরিমাণে পর্যটক আসেন।

সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম সিকদার বলেন, তিন দশক ধরেই মহাসড়কটি চার লেনে উন্নীতকরণের দাবি জানিয়ে আসছেন কক্সবাজারবাসী। প্রতিবছর দুর্ঘটনা বাড়ছে।

বিশেষ করে ঈদ ও কয়েক দিনের টানা ছুটিতে যখন কক্সবাজারে পর্যটকের ঢল নামে, তখন সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণহানিও বাড়তে থাকে।

গত ঈদের ছুটিতে মহাসড়কের চুনতি জাঙ্গালিয়া এলাকায় মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় ৩টি দুর্ঘটনায় ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছিল।সড়কটি চার লেন করার উদ্যোগ নেওয়া হলেও আলোর মুখ দেখেনি।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে শুরু হওয়া সমীক্ষা কার্যক্রম চলতি বছরের আগস্টে শেষ হওয়ার কথা।

তবে চকরিয়া-চুনতি এলাকায় বন বিভাগ ২৭ কিলোমিটার সংরক্ষিত বনে সড়ক সম্প্রসারণে ভূমি বরাদ্দ দিতে অনাগ্রহ দেখিয়েছে। এতে জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে।

মহাসড়কে পদে পদে বিশৃঙ্খলা উল্লেখ করে কক্সবাজার চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি আবু মোর্শেদ চৌধুরী বলেন, মহাসড়কের মধ্যে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাটি অতিরিক্ত সরু।

ট্রাকে লবণ পরিবহনের কারণে সড়কটি পিচ্ছিল হয়ে পড়ে। পর্যটকবাহী যানবাহনের চালকেরা পিচ্ছিল সড়ক অতিক্রমের সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন।

সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) কক্সবাজার জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান বলেন, অনিয়মের কারণে ঘটছে দুর্ঘটনা। গত দুই বছরে এ মহাসড়কে ছোট-বড় তিন শতাধিক দুর্ঘটনায় অন্তত ২০০ জন নিহত হয়েছেন। এরপরও মহাসড়কের উন্নতিতে কারও নজর নেই।

পাঠকের মতামত

কারাগার থেকে বের হয়ে আবারো রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অপরাধ ও ইয়াবা নিয়ন্ত্রণে নবী হোসেন গ্রুপ

রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আলোচিত নবী হোসেন কারাগার থেকে বের হয়ে ফের বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। তার বাহিনীর ...

শিবিরের প্যানেলে জায়গা পেয়ে যা বললেন সর্ব মিত্র চাকমা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে অংশগ্রহণের লক্ষ্যে অন্তর্ভুক্তিমূলক প্যানেল ঘোষণা করেছে ইসলামী ছাত্রশিবির। ...