ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: ১৫/০৬/২০২৪ ১০:১০ এএম

পবিত্র ঈদুল আজহার টানা ছুটিতে ভ্রমণপিপাসুদের বরণে পুরোপুরি প্রস্তুত হয়েছে সমুদ্র শহর কক্সবাজার। আগত পর্যটকের জন্য এবার আবাসিক হোটেল-মোটেল-গেস্টহাউসগুলো বিশেষ ছাড়ের ঘোষণা দিয়েছে। এ ছাড়া পর্যটকের নিরাপত্তা এবং নিরাপদ ভ্রমণে ট্যুরিস্ট পুলিশের পক্ষ থেকেও নেওয়া হয়েছে নানা প্রস্তুতি।

পর্যটনসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা বলছেন, ঈদের ছুটি শুরু হয়ে গেছে। শুক্রবার থেকে এই ছুটি থাকছে ২২ জুন পর্যন্ত। প্রতি বছরের মতো এবারও কক্সবাজারে পর্যটকরা ভ্রমণে আসবেন। ইতোমধ্যে ৫ শতাধিক আবাসিক প্রতিষ্ঠানে অগ্রিম বুকিংও শুরু হয়েছে।

আবাসিক প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা বলছেন, ২০ থেকে ৩০ শতাংশ বুকিং হয়েছে। এটা কাঙ্ক্ষিত বুকিং না হলেও হতাশ নন ব্যবসায়ীরা। তাদের আশা ঈদের আগে বুকিং আরও বাড়তে পারে।

কক্সবাজার আবাসিক হোটেল-মোটেল-গেস্টহাউস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সেলিম নেওয়াজ বলেন, গত রমজানের ঈদে ১০ দিন ভালো ব্যবসা হয়েছিল। কিন্তু তার কদিন পর থেকে কক্সবাজারে পর্যটক খরা চলছে। এই অবস্থায় আমাদের অনেক বড় লোকসানে পড়তে হয়েছে। কোরবানির ঈদে পর্যটক আসবে এবং আমরা লোকসান পুষিয়ে নিতে পারব- এমনটাই আশা করছি।

কক্সবাজার আবাসিক হোটেল-মোটেল-গেস্টহাউস মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাসেম সিকদার বলেন, ছেলেমেয়েদের পরীক্ষা, তাপমাত্রা বৃদ্ধি, উপজেলা নির্বাচন ও ঘূর্ণিঝড় রেমালের কারণে বুকিং কম হতে পারে। তার পরও আমরা আশাবাদী শেষ মুহূর্তে পর্যটক সমাগম ঘটবে।

তিনি বলেন, পর্যটকদের আনতে এবার প্রতিটি প্রতিষ্ঠান ৪০ থেকে ৬০ শতাংশ বিশেষ ছাড় দিচ্ছে। আমরা আশা করছি পর্যটক আসবে।

কক্সবাজারে তারকামানের হোটেল রামাদার ফ্রন্ট সুপারভাইজার তপু সিং জানান, ইতোমধ্যে তাদের হোটেলে ৭০ শতাংশ অগ্রিম বুকিং হয়েছে। কোরবানির ঈদ ঘিরে বিভিন্ন কম্বো প্যাকেজের মাধ্যমে ৬০ শতাংশ পর্যন্ত ডিসকাউন্ট দেওয়ার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।

হোটেল সায়মন বিচের রুম শতভাগ বুকিং হয়েছে জানিয়ে ফ্রন্ট ডেস্ক অফিসার সারোয়ার আলম বলেন, আমরা এই ঈদে গ্রাহকদের সন্তুষ্টির জন্য কর্তৃপক্ষের নির্দেশে ডিসকাউন্ট দিয়েছি। তা ছাড়া বুফে লাঞ্চ ও ডিনারেরও ব্যবস্থা হতে পারে বলে জানান তিনি।

কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশের ডিআইজি আপেল মাহমুদ বলেন, ঈদুল আজহার ছুটিতে পর্যটক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এখন থেকে প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার রিজিওন। আমাদের পক্ষ থেকে চারস্তরের নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পর্যটক কম এলেও আমাদের নিরবচ্ছিন্ন নিরাপত্তার ব্যবস্থা জোরদার থাকবে।

আপেল মাহমুদ আরও বলেন, অচিরেই জেলা প্রশাসন ও জেলা পুলিশের সঙ্গে পর্যটন শহরের নিরাপত্তা জোরদার করতে সমন্বয় সভা করে আরও কঠোরভাবে চুরি, ছিনতাইসহ মাঝেমধ্যে ঘটে যাওয়া অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা প্রতিরোধ করা হবে।

পাঠকের মতামত

কুতুপালং পশ্চিমপাড়ায় পরিচয় যাচাইহীন রোহিঙ্গা ভাড়া, বাড়ছে শঙ্কা

মিয়ানমারের রাখাইনে আরাকান আর্মি ও সেনা জান্তার সংঘর্ষে প্রাণ বাঁচাতে রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশ অব্যাহত রয়েছে। সীমান্ত ...

রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মানবিক কার্যক্রম পর্যবেক্ষণে ইউনাইটেড নেশন টিম

কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফের বিভিন্ন রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেছেন ইউনাইটেড নেশন ফোরাম বাংলাদেশ স্টাডি প্রোগ্রাম (BSP) এর ...

কক্সবাজারে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে ধর্ম ও প্রশাসনের সমন্বিত উদ্যোগ

কক্সবাজারে বাল্যবিবাহ শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনার লক্ষ্যে অনুষ্ঠিত হলো “বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে করণীয়” শীর্ষক আন্তঃধর্মীয় নেতৃবৃন্দের ...