প্রকাশিত: ১৫/০২/২০২২ ৯:৫৯ এএম

ইয়েমেনে গত শুক্রবার অপহৃত পাঁচ জাতিসংঘের কর্মীর মধ্যে একজন বাংলাদেশি নাগরিক বলে নিশ্চিত হয়েছে নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন। সোমবার মিশনের একটি দায়িত্বশীল সূত্র সমকালকে এ তথ্য জানিয়েছে। তার নাম এ কে এম সুফিউল আনাম। তিনি জাতিসংঘের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা বিভাগের ফিল্ড সিকিউরিটি কো-অর্ডিনেশন অফিসার হিসেবে কর্মরত। তাকেসহ অপহৃত পাঁচজনকে উদ্ধারে জাতিসংঘের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা সম্পর্কিত বিভাগ তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে।

এদিকে ডয়েচে ভেলের খবরে বলা হয়েছে, ওই পাঁচ কর্মকর্তাকে অপহরণ করেছে আল কায়দার একটি গ্রুপ। তাদের মুক্তির জন্য মুক্তিপণসহ সরকারি কর্তৃপক্ষের হাতে আল কায়দা জঙ্গিদের মুক্তি দাবি করেছে অপহরণকারীরা।

সূত্র জানায়, সুফিউল আনাম জাতিসংঘের একজন কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে অপহৃত হয়েছেন। এ কারণে তাকে উদ্ধারের বিষয়টিও পুরোপুরি জাতিসংঘের এখতিয়ার। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনের পক্ষ থেকে জাতিসংঘের সংশ্লিষ্ট বিভাগের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে খোঁজ-খবর রাখা হচ্ছে। এ ধরনের অপহরণের ক্ষেত্রে জাতিসংঘের দেওয়া তথ্যের বাইরে আর কোনো তথ্যের ওপর নির্ভর করার সুযোগ নেই। আবার উদ্ধার কার্যক্রমও কেবল জাতিসংঘই চালাতে পারে।

এর আগে জাতিসংঘের অন্যতম মুখপাত্র গিকি রাসেল সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, ইয়েমেনের আবিয়ান প্রদেশ থেকে ওই পাঁচ কর্মীকে অপহরণ করা হয়েছে। এর মধ্যে চার জনই ইয়েমেনের। শুধু সুফিউল আনাম বিদেশি।

সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, আল কায়দার পক্ষ থেকে ইয়েমেনে জাতিসংঘ অফিসে যোগাযোগ করে আটক পাঁচ কর্মকর্তার মুক্তির জন্য মুক্তিপণ হিসেবে নির্দিষ্ট অঙ্কের অর্থ দাবি করেছে। একই সঙ্গে তারা সরকারি কর্তৃপক্ষের হাতে আটক আল কায়দা জঙ্গির মুক্তি দাবি করেছে।

এ অপহরণের ব্যাপারে জার্মান রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম ডয়েচে ভেলের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জাতিসংঘের এই পাঁচ কর্মকর্তাকে আল কায়দা অপহরণ করেছে। গত শুক্রবার দক্ষিণ ইয়েমেনে একটি ফিল্ড ট্রিপ শেষ করে রাজধানীর দিকে ফেরার সময় আল কায়দার একটি গ্রুপ তাদের অপহরণ করে। এরপর জাতিসংঘ ইয়েমেনের রাজনৈতিক নেতাদের মাধ্যমে আল কায়দার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

এ ব্যাপারে সুফিউল আনামের পারিবারিক সূত্র সংবাদমাধ্যমকে জানায়, সুফিউল আনাম ১৯৭৭ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে কর্মরত ছিলেন। সেনাবাহিনী থেকে অবসর নেওয়ার পর তিনি জাতিসংঘে যোগ দেন। কিছুদিনের মধ্যেই তার অবসরে যাওয়ার এবং ঢাকায় ফেরার কথা ছিল। তার গ্রামের বাড়ি কুমিল্লা। তার স্ত্রী কাজী নাসরিন আনাম ঢাকায় থাকেন। দুই সন্তানের দু’জনই বর্তমানে কানাডাপ্রবাসী

পাঠকের মতামত

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে আসিয়ান

রাখাইন রাজ্যে শান্তি ও স্থিতিশীলতা পুনঃপ্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টায় মিয়ানমারের প্রতি সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছে আসিয়ান পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা। পাশাপাশি ...

ফিলিস্তিনপন্থি গ্রুপকে নিষিদ্ধ করার পক্ষে ভোট দিয়েছেন টিউলিপ

যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টে প্রো-প্যালেস্টাইন কর্মসূচির সংগঠন ‘প্যালেস্টাইন অ্যাকশন’কে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে আখ্যায়িত করে নিষিদ্ধ করার প্রস্তাবে ...