ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: ১৪/০২/২০২৫ ৩:৪৭ পিএম

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে নিহতদের মধ্যে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মর্গে রাখা অজ্ঞাত সাত মরদেহের একটির পরিচয় মিলেছে। ডিএনএ প্রোফাইলিংয়ের মাধ্যমে তার পরিচয় শনাক্ত হয়। নিহতের নাম মো. হাসান (১৯)। তিনি রাজধানীর কাপ্তানবাজার এলাকার একটি ইলেক্ট্রিক দোকানের কর্মচারী ছিলেন।

এখনও জুলাই অভ্যুত্থানে নিহত এক নারীসহ ছয় অজ্ঞাত মরদেহ ঢামেক মর্গে রাখা হয়েছে।

জুলাই অভ্যুত্থানের সময় থেকে নিখোঁজ স্বজনের খোঁজে দুই পরিবার এসেছিল ঢামেক মর্গে। এদের মধ্যে হাসানের পরিবার একটি মরদেহের দাবি করেছিলেন। পরে তার পরিবারের পক্ষ থেকে দেওয়া হয় ডিএনএ নমুনা।

বৃহস্পতিবার তা নিশ্চিত হওয়া গেছে।
মর্গ সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তার পরিবার মরদেহ নেওয়ার জন্য আইনি প্রক্রিয়া শেষে করেছে। শুক্রবার হাসানের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

এর আগে, গত ১২ জানুয়ারি সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) মর্গে এসেছিল হাসানের পরিবার।

নিহত হাসানের মরদেহটি যাত্রাবাড়ি থানা এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল বলে জানান রাজধানীর শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খালিদ মুনসুর।

তিনি বলেন, “ঢামেক মর্গে থাকা সাত মরদেহের মধ্যে ছয়টি মরদেহ আমাদের মধ্যে, আরেকটি দেখছেন যাত্রাবাড়ী থানা পুলিশ। ”

হাসানের চাচা নুরে আলম জানিয়েছেন, তার ভাতিজাকে গণঅভ্যুত্থানের পর থেকে আর পাওয়া যায়নি।

ভোলা সদর উপজেলার বাগচির গ্রামের মনির হোসেন ও মা গোলেনুর বেগমের ছেলে হাসান। যাত্রাবাড়ির সুতি খালপাড় বালুর মাঠ এলাকায় থেকে একটি ইলেক্ট্রিক দোকানে কাজ করতেন তিনি।

দুই ভাই ও দুই বোনের মধ্যে হাসান ছিলেন সবার বড়। তার বাবা গ্রামে কৃষিকাজ করেন।

হাসানের বাবা মনির হোসেন বলেন, “আমরা ফেসবুকে দেখেছি, একটি ছেলের পায়ে তার পেচানো ছিল। মুখে হালকা দাড়ি, পায়জামা-পাঞ্জাবি পরা ছিল। মনে হয়েছিল, সেই আমাদের হাসান। আজ তাই হলো।

পাঠকের মতামত

সংকট না কাটলে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন অসম্ভব, আলোচনা চালাচ্ছে বাংলাদেশ

রোহিঙ্গারা বাংলাদেশ থেকে রাখাইনে ফিরলেই সমস্যার সমাধান হবে না। মিয়ানমারের ভেতরেও অনেক রোহিঙ্গা বাস্তুচ্যুত হয়েছে। ...

ডাকসুর ভিপি সাদিক ও জিএস ফরহাদ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে সহ-সভাপতি (ভিপি) পদে নিটকতম প্রতিদ্বন্দ্বীর চেয়ে ব্যাপক ব্যবধানে ...