সীমান্তে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটলিয়ন (র্যাব) অস্ত্র উদ্ধার অভিযান শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিং দিচ্ছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল/ছবি – ওবাইদুল হক চৌধুরী
উখিয়া নিউজ ডটকম::সীমান্তে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটলিয়ন (র্যাব) অস্ত্র উদ্ধার অভিযান শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিং দিচ্ছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল/ছবি – ওবাইদুল হক চৌধুরী
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এমপি র্যাপিড একশ্যান ব্যাটালিয়ন (র্যাব),পুলিশ,বিজিবি আনসারসহ আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর ভূয়সী প্রসংশা করে বলেছেন, আইনশৃখলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতায় নাইক্ষৎছড়ি উপজেলার ঘুমধুমের এ দুর্ঘম পাহাড়ি এলাকায় সন্ত্রাসীরা লুকিয়ে থাকতে পারেনি। টেকনাফের নয়াপাড়া শরনার্থী ক্যাম্প থেকে অন্ত্র লুট করে নিয়ে গিয়েছিল তারা,আনসারকে হত্যা করেছিল,আমরা লুট হওয়া অস্ত্রসহ তাদেরকে ধরেছি। মুল হোতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অস্ত্রগুলো উদ্ধার করেছে র্যাব। বুধবার বেলা আড়াই টার দিকে নাইক্ষৎছড়ি উপজেলার ঘুমধুমের গহীন অরন্যের পশ্চিমকুল নামক এলাকায় র্যাবের অস্ত্র উদ্ধার পরবর্তী প্রেস বিফ্রিং এ তিনি এসব কথা বলেন। উখিয়া টেকনাফে রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে সাংবাদিকদেরআটক অস্ত্রলুটের মূল হোতা নুর আলম/ছবি-ওবাইদুল হক চৌধুরীপ্রশ্নের জাবাবে স্বরাষ্টমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গারা মিয়ানমার থেকে অত্যাচারিত হয়ে এদেশে এসেছে,কেউ হাত কাটা,কেউ পা কাটা সহ বিভিন্ন নির্যাতনের শিকার হয়ে নিরুপায় বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। আমরাওতো মানুষ, যখন তারা সেদেশে নিরাপদ মনে করতে তখন মিয়ানমারে ফিরে যাবে। তাছাড়া মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মানুষকে ভালবাসেন,রোহিঙ্গারা মিয়ানমারের হলেও তারা মানুষ, তাই তাদেরকে এই জায়গায় না রেখে নোয়াখালীর হাতিয়ার ঠেঙ্গার চরে হলেও রাখা হবে। এজন্য প্রধানমন্ত্রী দাতা দেশগুলোসহ আন্তজার্তিক বিভিন্ন সম্প্রদায়ের কাছে আহবান করেছেন,রোহিঙ্গাদের ঠেঙ্গার চরে নিয়ে যাওয়ার জন্য স্কুল,চিকিৎসাসহ যাবতীয় সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করার জন্য। এ সময় স্বরাষ্টমন্ত্রীর সাথে ছিলেন র্যাবের মহাপরিচালক বেনজির আহামদ,আনসারের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মিজানুর রহমান,র্যাবের গনমাধ্যম শাখার পরিচালক মুফতি মাহমুদ খান, কক্সবাজার পুলিশ ইকবাল হোসেন, র্যাব-৭ এর কক্সবাজারস্থ অধিনায়ক লেঃ কমান্ডার মোঃ আশিকুর রহমান, উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মাঈন উদ্দিন, নাইক্ষৎছড়ি উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা সরওয়ার কামাল,নাইক্ষৎছড়ি থানার ওসি তৌহিদ কবির সহ প্রসাশনের বিভিন্নস্তরের কর্মকর্তারা। এর আগে মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার দিকে উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির সংলগ্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হয় নুরুল আলমকে। তাকে এসময় সাংবাদিকদের সামনে হাজির করা হয়। লেফটেন্যান্ট কমান্ডার আশেকুর রহমান জানান, নুরুল আলম মিয়ানমারের রোহিঙ্গা নাগরিক এবং সেখানকার আকিয়াব জেলার মংডু থানার বাসিন্দা। গত বছরের ১১ মে ভোররাতে টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের নয়াপাড়ার মুচনী এলাকার নিবন্ধিত রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আনসার ক্যাম্পে সশস্ত্র হামলা চালায় এক দল দুর্বৃত্ত। এতে নিহত হন আনসার ক্যাম্পের কমান্ডার মো. আলী হোসেন এবং লুট হয় ১১টি বিভিন্ন ধরনের আগ্নেয়াস্ত্র ও ৬৭০টি গুলি।এ ঘটনায় অজ্ঞাত পরিচয় ৩০-৩৫ জনের বিদ্ধে আনসার ক্যাম্পের ভারপ্রাপ্ত কমান্ডার মো. আলমগীর হোসেন বাদি হয়ে টেকনাফ থানায় মামলা দায়ের করেন। ইতিপূর্বে অভিযুক্ত বেশ কয়েকজন রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করে র্যাব ও পুলিশ। এর এর আগে সর্বশেষ গত ১০ জানুয়ারি ৩ জনকে আটক করে ৫টি অস্ত্র উদ্ধার করেছিল র্যাব-৭।
পাঠকের মতামত