উখিয়া উপজেলার জনবহুল কুতুপালং বাজারে অবাধে বিক্রি হচ্ছে নিষিদ্ধ মাছ পিরানহা। কিছু অসাধু মাছ ব্যবসায়ী চাঁদা মাছ বলে পিরানহা ভোক্তাদের বিক্রি করছেন।
উপজেলার কুতুপালং মাছ বাজারে দেখা যায় রুপচাঁদা মাছের মতো দেখতে এই মাছকে কখনো সুন্দরী মাছ কখনো পুকুরের চাঁন্দা মাছ বলে সাধারণ ক্রেতাদের ধোকাদিয়ে বাজারে রাক্ষুসে পিরানহা মাছ বিক্রি করা হচ্ছে।
ক্রেতা মোহাম্মদ সাগর বলেন প্রতিদিনের ন্যায় রবিবার বাজারে মাছ কিনতে গিয়ে চোখে পড়ে সামনে বড় বড় দাঁত ওয়ালা কিছু মাছ নিয়ে কয়েকজন ব্যবসায়ী বিক্রি করছে। তাদের কাছে গিয়ে মাছের নাম জিজ্ঞেস করতেই কখনো সুন্দরী মাছ কখনো চাঁদা মাছ বলে নাম বলতে থাকে মাছ বিক্রেতা। মূলত তারা রাক্ষুসে পিরানহা মাছ বিক্রি করছিল।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক মাছ বিক্রেতা জানান, আমরা চকরিয়া থেকে তেলাপিয়া মাছের সাথে নিষিদ্ধ পিরানহা মাছ এনে দুইশো-আড়াইশো টাকা দরে বিক্রি করছি,তবে নিষিদ্ধ কিনা সেটা আমাদের জানা নেই।
পিরানহা মাছ চাষ ও বিক্রি সম্পর্কে জানতে চাইলে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা বলেন ‘পিরানহা মাছ চাষ, পরিবহন ও বিক্রি সরকার নিষিদ্ধ করেছে। আমরা নিয়মিত বাজার মনিটরিং করে থাকি এরপরও যদি কেউ এই মাছ চাষ কিংবা বিক্রি করেন তাহলে তিনি অপরাধ করছেন এবং শীঘ্রই তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।
পিরানহা মাছ খাওয়ায় স্বাস্থ্যের ক্ষতি বিষয় জানতে উখিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার মোঃ সাজেদুল ইমরান (শাওন) এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন,পিরানহা খেলে ক্যান্সার হয় এমন ইভিডেন্স পাওয়া যায় নাই।এটা খেলে শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা হতে পারে,মূত্র থলির প্রদাহ হতে পারে।
সরকারী বিধি মোতাবেক বিক্রয় নিষিদ্ধ পিরানহা মাছ নির্মূলে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে অভিযান পরিচালনার দাবি জানিয়েছেন সচেতন মহল।
উল্লেখ্য, দক্ষিণ আমেরিকার আমাজন এলাকার রাক্ষুসে মাছ পিরানহা। হাঙ্গরের ন্যায় দাঁত বিশিষ্ট অত্যন্ত আক্রমণাত্মক এ মাছ জলজ পরিবেশ ক্ষতিগ্রস্ত করার পাশাপাশি মানুষকেও আক্রমণ করতে পারে। এরা দলবদ্ধ আক্রমণ নিমিষেই মানুষের প্রাণ কেড়ে নিতে সক্ষম।