
টেকনাফ পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের কায়ুকখালী পাড়ার আলোচিত ইয়াবা ডন ও মানবপাচারকারী সাব্বির আহমদ প্রকাশ সবুয়া চার্জশীট থেকে বাদ পড়তে মরিয়া হয়ে উঠেছেন। এ ব্যাপারে লাখ লাখ টাকা ব্যয় করে চলেছেন বলে জানা গেছে।
মামলার এজাহার সুত্রে জানা গেছে, টেকনাফের ২ বিজিবির সদস্যদের হাতে গত ২৭ জুলাই রাত ৩ টায় টেকনাফের দমদমিয়া জালিয়ারদ্বীপের অদুরে মিয়ানমার থেকে রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ ও শিশু নিয়ে এসে মানবপাচারের উদ্যোশ্যে এনে বিজিবির হাতে হাতেনাতে গ্রেপ্তার হন ৫ জন পাচারকারী। সেখানে মুহুর্তে কৌশলে পালিয়ে যায় গডফাডার সাব্বির আহমদ প্রকাশ সবুয়া। ৫ জনকে আটকের ঘটনায় বিজিবির পক্ষ থেকে বাদি নায়েক মো: মাহবুব আলম এর রুজুকৃত মামলার আসামির তালিকাভূক্ত হন ইয়াবা ডন ও মানবপাচারকারী সাব্বির আহমদ প্রকাশ সবুয়া। সেখানে তাকে এজাহারনামীয় পলাতক ৬নং আসামী করা হয়। যার মামলা নং টেকনাফ থানা-৬২।
অপরদিকে কোস্টগার্ডের আরো একটি মামলার পলাতক আসামী হন কায়ুকখালীপাড়ার মৃত মিয়া হোসেনের পুত্র সাব্বির আহমদ প্রকাশ সবুয়া।
২০২৫ সালের ৯ এপ্রিল সেন্টমার্টিনের ছেড়াদ্বীপ এলাকার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে মানবপাচার মামলায় ১৭ নং পলাতক আসামী হন তিনি। সেই মামলার বাদি কোস্টগার্ডের চীফ পেটি অফিসার আহম্মদ আলী মিয়ার করা এজাহার সুত্রে জানা গেছে, ৮ এপ্রিল বাংলাদেশী ও রোহিঙ্গাসহ ২০৯ জনকে মালেশিয়া পাচারকালে আটক করা হয়। সেই ঘটনায় মোট ১৮ জনকে আসামী করে টেকনাফ থানায় মানবপাচার মামলা রুজু করা হয়। মামলা নং টেকনাফ থানা-২৮।
আলোচিত এই মামলা দুটি হওয়ার পর থেকে পলাতক রয়েছে সবুয়া। তবে নানাভাবে মামলার চার্জশীট থেকে বাদ যেতে উঠেপড়ে লেগেছে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে লাখ লাখ টাকার লোভও দেখাচ্ছে বলে খবর রটেছে এলাকায়।
টেকনাফ ২ বিজিবির অধিনায়ক বলেন, আলোচিত সাব্বির আহমদ দীর্ঘদিন ধরেই মানবপাচারকারীর সঙ্গে যুক্ত আছে বলে বিজিবির কাছে তথ্য ছিল। এর মধ্যে মামলার অনেকজনকে গ্রেফতার করে বিজিবি। সবুয়াকেও গ্রেফতারের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
টেকনাফ থানার ওসি মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন বলেন, পুলিশী মামলা তদন্তে জড়িত কোন আসামীকে বাদ দেওয়ার সুযোগ নেই। আমরা দ্রুত তদন্ত করে আদালতে চার্জশীট পাঠিয়ে দেব। আলোচিত সবুয়াসহ সকল আসামীকে গ্রেপ্তার করা হবে।
পাঠকের মতামত