প্রকাশিত: ১৫/০৯/২০১৯ ৯:২৫ পিএম , আপডেট: ১৫/০৯/২০১৯ ৯:২৬ পিএম

প্রেস বিজ্ঞপ্তি:
১দ্রুত রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কাটা তারের বেড়া নির্মাণ, ক্যাম্পে মোবাইল টাউয়ার অপসারণ, সম্পন্ন ভাবে নেটওর্য়াক বন্ধ করা।

২-দেশি-বিদেশি এনজিওদের কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ ও রোহিঙ্গাদের অপরাধের বিচার বিশেষ ট্রাইব্যুনাল করা

৩-রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করন,বন্ধ থাকা জন্ম নিবন্ধন কার্যক্রম খুলে দেওয়া

৪-স্থানীয়দের মাঝে মিশে থাকা নতুন-পুরাতন রোহিঙ্গাদের তালিকা তৈরি করে নির্দিষ্ট স্থানে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অবস্থান নিশ্চিত করা। ও এনজিওদের প্রকল্প থেকে স্থানীয়দের জন্য ২৫% বাজেটের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করার দাবীতে জেলার অন্যতম সামাজিক সংগঠন “আমরা কক্সবাজারবাসী উদ্দ্যোগে গতকাল ১৫ সেপ্টেম্বর জেলা প্রশাসক কার্যালয় চত্বরে সকাল ১১ টায় পথসভা ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। সংগঠনের সমন্বয়ক কলিম কলিম উল্লাহ সভাপতিত্বে ও সমন্বয়ক নাজিম উদ্দিনের সঞ্চলনায় অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উখিয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মাহমুদুল হক চৌধুরী,বক্তব্য রাখেন, বক্তব্য রাখেন, জেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান

সভাপতি সিভিল সোসাইটিজ ফোরাম কক্সবাজার এর সভাপতি সাংবাদিক ফজলুল কাদের চৌধুরী, জেলা কমিউনিস্ট পার্টির সাবেক সাধারণ সম্পাদক কমরেড সমির পাল,দৈনিক সমুদ্র কণ্ঠের সম্পাদক ও প্রকাশক মঈনুল হাসান পলাশ, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট জেলা সভাপতি সত্যপ্রিয় চৌধুরী দোলন,আওয়ামী লীগ নেতা,কামালউদ্দিন রহমান পিয়ারু, কক্সবাজার পৌর সভার প্যানেল মেয়র শাহেনা আক্তার পাখী, জেলা যুবলীগ নেতা মাহবুবুল আলম মাহবুব, আমরা কক্সবাজারবাসী সমন্বয়ক দৈনিক সকালের কক্সবাজার এর নির্বাহী সম্পাদক মহসিন শেখ,সমন্বয়ক দৈনিক আপন কণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক এইচ,এম নজরুল ইসলাম,সাংস্কৃতিক সংগঠক কল্লোল দে চৌধুরী,জেলা ছাত্রলীগের সিনিয়র সহ সভাপতি ইসমাইল সাজ্জাদ,পরিবেশ সংগঠক আ.ন.ম মোয়াজ্জেম হোসেন,জেলা ছাত্রদল নেতা জাহেদুল ইসলাম রিটন।

উক্ত সভায় সংহতি প্রকাশ করেন

জেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান আসমা উল হুসনা, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের নেত্রী মম আহমেদ,কক্সবাজার পৌরসভার সংরক্ষিত কাউন্সিলর জাহেদা আক্তার,পরিকল্পিত কক্সবাজার আন্দোলন এর সমন্বয়ক আব্দুল আলিম নোবেল,মনথেøলা রাখাইন, কামাল উদ্দিন,ছাত্রনেতা বেলাল উদ্দিন সাইকেল ক্লাব৭১“র” সভাপতি হাবিবুর রহমান সোহেল,এসএম বাবার, রুহুল কাদের মানিক শ্রমিক নেতা। যুবনেতা এনামুল কবির,ছাত্রনেতা আনছার হোসেন প্রমূখ।

উক্ত সভায় বক্তারা বলেন,রোহিঙ্গা সমস্যা বাংলাদেশের জন্য দিন দিন হুমকি হয়ে উঠেছে। উগ্রপন্থী আন্তর্জাতিক জঙ্গিগোষ্ঠীরা রোহিঙ্গাদের ব্যবহার করে নানা অপকর্ম এবং সন্ত্রাসী কার্যকলাপে লিপ্ত করাচ্ছে। রোহিঙ্গা শিবিরে অর্থ ও অস্ত্রের জোগান দেওয়া হচ্ছে। ইতোমধ্যে রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবির এলাকায় পাহাড় ও বনভূমি ধ্বংস হওয়ায় পরিবেশ বিপর্যয়ের সৃষ্টি হয়েছে। সৃষ্টি হয়েছে সামাজিক সমস্যা।

নেতৃবৃন্দরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, মিয়ানমার থেকে রোহিঙ্গারা পালিয়ে বাংলাদেশে আসার পর থেকে আমরা সন্দেহ করছিলাম, প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া জটিলতার দিকে যাবে। শেষ পর্যন্ত সেটাই হচ্ছে বার বার। এর প্রধান কারণ মিয়ানমারের জুড়ে দেয়া শর্তে রোহিঙ্গাদের অবিশ্বাস ও সন্দেহ। পাশাপাশি ইউএনএইচসিআর ও আইওএমের মতো আন্তর্জাতিক সংস্থার নেপথ্য ভ‚মিকা রাখছে। মানবিক দিক বিবেচনার অজুহাতে তারা নিজ স্বার্থে উখিয়া ও টেকনাফে রোহিঙ্গাদের স্থায়ী আবাস গড়ে তোলার চেষ্টা করছেন। রোহিঙ্গাদের কারণে স্থানীয়দের যে ক্ষতি হচ্ছে তা কেউ অনুধাবনের চেষ্টা করছে না যারা এসব দেখার কথা সেসব আমলা আর কিছু সুবিধাবাদী মিলে হোস্ট কমিউনিটির ২৫% ভাগবাটোয়া নিয়ে ব্যস্থ হয়ে পড়েছে। এমন কি এনজিওগুলো কিছু প্রভাবশালীকে কিনে নেয়ায় মুখ খুলছে না সাধারণ মানুষ। কিন্তু এভাবে আর কতদিন। দুই বছর আমরা অপেক্ষা করেছি। আর কিছুদিন হয়তো দেখব। এরপর অচিরেই সর্বস্তরের মানুষকে নিয়ে প্রত্যাবাসনের আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।

নেতৃবৃন্দরা আরো বলেন রোহিঙ্গা আর এনজিও কারা নিয়ন্ত্রণ করে তার কোন হিসেব নেই প্রশাসনের ব্যর্থতা আর গোয়েন্দা নজরদারীর অভাবে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মায়ানমার সরকার নিয়ন্ত্রিত এনজিও সংস্থা কাজ করে যাচ্ছে,এছাড়া হোস্ট কমিউনিটির নামে দেশিয় অস্ত্র তৈরি করে এনজিও সংস্থা গুলো সেসব অবৈধ অস্ত্র রোহিঙ্গাদের হাতে তুলে দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেন সমাবেশ থেকে। বক্তারা হুশিয়ারী দিয়ে বলেন, রোহিঙ্গাদের মধ্যে মানবিকতা বলতে কিছু নেই। তারা খুন থেকে শুরু করে একের পর এক জমি দখল করছে। অথচ স্থানীয়রা এসব অসহায়ের মতো দেখা ছাড়া কিছু করতে পারছে না। কেউ কিছু বলতে গেলেই প্রশাসনের রোষানলে পড়ে। ফলে স্থানীয় সবার মাঝে চাপা আতঙ্ক কাজ করছে। যেকোনো সময় যেকোনো ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বড় আন্দোলনের সৃষ্টি হতে পারে। বর্তমানে ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অবস্থান করছে। এখানে আসার পরে জুন মাস পর্যন্ত ৬০ হাজার শিশু জন্ম নিয়েছে। এভাবে চলতে থাকলে স্থানীয়রা হবে সংখ্যালঘু। দ্রæত এ সমস্যার সমাধান হওয়া দরকার একই সাথে পুরাতন রোহিঙ্গাদের তালিকা তৈরি করে শহরের বিভিন্ন স্থানে প্রশাসনের অভিযান জোরদার কারার দাবী জানান।

পাঠকের মতামত

কক্সবাজার জেলগেইট, উত্তরণ ও কলাতলী বাইপাস এলাকায় ছিনতাইকারীদের দৌরাত্ম্য

কক্সবাজার শহরের জেলগেইট এলাকা, উত্তরণ ও বাইপাস সড়ক বর্তমানে ছিনতাইকারীদের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে। প্রতিদিন সন্ধ্যার ...

প্রকাশিত সংবাদ ও অপপ্রচার প্রসঙ্গে মাঈন উদ্দিনের বিবৃতি-প্রতিবাদ ও ব্যাখ্যা

আমি নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলাধীন, ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু’র প্রবীণ বিএনপি নেতা ও সাবেক ইউপি সদস্য দিল মোহাম্মদ ...

মরিচ্যা- খুনিয়াপালং সিএনজি চালক ও টমটম শ্রমিক কল্যাণ সমিতির নির্বাচন সম্পন্ন

উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে সম্পন্ন হয়েছে মরিচ্যা- খুনিয়াপালং সিএনজি চালক ও টমটম শ্রমিক কল্যাণ সমিতির নির্বাচন। ...

চট্টগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ও আহতদের পরিবারের পাশে ‘কোর্টবাজার দোকান মালিক সমিতি’

চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার চুনতির জাঙ্গালিয়া এলাকায় ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ও আহত কোর্টবাজারের ব্যবসায়ীদের পরিবারের ...