মুহাম্মদ আবু সিদ্দিক ওসমানী
প্রকাশিত: ২২/০৫/২০২৩ ৩:৩৬ পিএম

পাঁচ লক্ষ ইয়াবা টেবলেট পাচারের মামলায় এক রোহিঙ্গা সহ ৭ জনকে যাবজ্জীবন (৩০ বছর) কারাদন্ড প্রদান করা হয়েছে। দন্ডিতদের প্রত্যেককে একইসাথে ২ লক্ষ টাকা করে অর্থদন্ড, অর্থদন্ড অনাদায়ে প্রত্যেককে আরো এক বছর করে বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়েছে।

কক্সবাজারের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইল সোমবার (২২ মে) এ রায় ঘোষণা করেন। একই কার্যালয়ের জেলা নাজির বেদারুল আলম এ তথ্য জানিয়েছেন।

যাবজ্জীবন দন্ডিত আসামীরা হলো : কক্সবাজারের টেকনাফের বাহারছরার সাবরাং ইউনিয়নের মৃত খুইল্ল্যা মিয়া ও ছুবিয়া খাতুনের পুত্র মোঃ মহররম আলী, একই ইউনিয়নের শাহপরীরদ্বীপ ডাঙার পাড়ার দুদুমিয়া বলী ও হামিদা খাতুনের পুত্র মোঃ আমান উল্লাহ, টেকনাফ সদর ইউনিয়নের বড় হাবির পাড়ার মৃত রশিদ আহমদ ও খতিজা বেগমের পুত্র নুর আলম, একই উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের চান্দলী পাড়ার মৃত আবু তালেব ও পর্দা বানুর পুত্র আবদুল মুনাফ, উখিয়া উপজেলার বালুখালী ৯ নম্বর রোহিঙ্গা শরনার্থী ক্যাম্পের জামাল হোসেন ও রকিমা খাতুনের পুত্র রোহিঙ্গা আবদুল পেডাম, টেকনাফ উপজেলার টেকনাফ সদর ইউনিয়নের বড় হাবির পাড়ার ফয়সল আহমদ প্রকাশ ফজল আহমদ ও রহিমা খাতুনের পুত্র আ: শুক্কুর এবং একই উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের চান্দলী পাড়ার আবুল হোসেন প্রকাশ হাশেম ও আমেনা খাতুনের পুত্র মোঃ জাহিদ হোসেন। রায় ঘোষণার সময় দন্ডিত আসামীরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

রাষ্ট্র পক্ষে একই আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট ফরিদুল আলম ফরিদ এবং আসামীদের পক্ষে অ্যাডভোকেট শামীম আরা স্বপ্না, অ্যাডভোকেট আনোয়ার হোসাইন, অ্যাডভোকেট আবু হেনা মোস্তফা কামাল ও অ্যাডভোকেট তাজমিন হুদা চৌধুরী সেতু মামলাটি পরিচালনা করেন।

মামলায় যাবজ্জীবন দন্ডিত আসামী রোহিঙ্গা শরনার্থী আবদুল পেডামকে সাজা ভোগের পর তাকে মিয়ানমারে ফেরত পাঠাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য রায়ে কক্সবাজারের জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে

পাঠকের মতামত

মিয়ানমারে সংঘাত/টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে ঢুকল আরও ৯ বিজিপি সদস্য

মিয়ানমারের রাখাইনে সংঘাতময় পরিস্থিতিতে কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করেছে মিয়ানমার সীমান্ত রক্ষী বাহিনী ...