প্রকাশিত: ১০/০৫/২০১৮ ১১:৩৩ এএম , আপডেট: ১৭/০৮/২০১৮ ৩:০৬ এএম

আন্তর্জাতিক ডেস্ক::
মিয়ানমারের কেন্দ্রীয় অভিবাসন ও জনসংখ্যামন্ত্রী ইউ থেই সোয়ে জানিয়েছেন, প্রত্যাবাসনের জন্য ১ হাজারের ১০০ রোহিঙ্গার যাচাই-বাছাই সম্পন্ন করা হয়েছে। সোমবার তিনি এই মন্তব্য করেছেন বলে জানিয়েছে মিয়ানমারের সংবাদমাধ্যম ইরাবতী। ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশের দেওয়া ৮ হাজার রোহিঙ্গার তালিকার মধ্য থেকে এই যাচাই সম্পন্ন করা হয়েছে।

ইরাবতী জানায়, ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশের দেওয়া তালিকা থেকে এই রোহিঙ্গাদের যাচাই সম্পন্ন করা হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে এসব রোহিঙ্গা যে মিয়ানমারের নাগরিক তা নিশ্চিত হয়েছে দেশটি। বাংলাদেশের দেওয়া তালিকার বাকি রোহিঙ্গাদের যাচাই এখনও চলছে।

মিয়ানমারের মন্ত্রী বলেন, আমরা এ পর্যন্ত তালিকায় থাকা ১ হাজার ১০০ জনের তথ্য যাচাই করেছি। জানুয়ারিতে মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশের প্রত্যাবাসন চুক্তি স্বাক্ষর হলেও এখন পর্যন্ত কোনও রোহিঙ্গা মিয়ানমারে ফিরে আসেনি।

রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে মিয়ানমার সেনাবাহিনী ও দেশটির উগ্রপন্থী বৌদ্ধদের পরিকল্পিত জাতিগত নিধনযজ্ঞের ভয়াবহতায় গত কয়েক বছরে এ সম্প্রদায়ের ১০ লাখেরও বেশি মানুষ বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে। এরমধ্যে ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট রাখাইনের কয়েকটি নিরাপত্তা চৌকিতে হামলার পর পূর্ব-পরিকল্পিত ও কাঠামোবদ্ধ সহিংসতা জোরালো করে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। জাতিগত নিধন থেকে বাঁচতে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয় প্রায় ৭ লাখ রোহিঙ্গা। মিয়ানমার শুরু থেকেই রোহিঙ্গাদের বাঙালি মুসলিম আখ্যা দিয়ে নাগরিকত্ব অস্বীকার করে আসছে। তবে এবারের ঘটনায় আন্তর্জাতিক চাপ জোরালো হওয়ার এক পর্যায়ে প্রত্যাবাসন চুক্তিতে বাধ্য হয় মিয়ানমার। তবে সেই চুক্তির পর বেশ খানিকটা সময় পেরিয়ে গেলেও এখনও ধোঁয়াশা কাটছে না।

এর আগে মিয়ানমার একটি রোহিঙ্গা পরিবারকে রাখাইনে ফিরিয়ে নেওয়ার দাবি করেছিল। প্রথম রোহিঙ্গা পরিবার ফেরত নেওয়ার দাবি করা হলেও ওই দাবি সাজানো বলে অভিযোগ উঠে। ওই সময় বাংলাদেশের শরণার্থী কমিশনার আবুল কালাম রোহিঙ্গা পরিবার ফিরিয়ে নেওয়ার দাবি সম্পর্কে বলেন, এটি সাজানো। যেই পরিবারের দাবি করা হচ্ছে সেই পরিবার বাংলাদেশে আসেনি। আবুল কালামের এই বক্তব্যে সমর্থন রয়েছে মানবাধিকার সংস্থাগুলোরও। জাতিসংঘ শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশ-ইউএনএইচসিআর এক বিবৃতিতে বলেছে, এ ঘটনা সম্পর্কে সংস্থার কাছে প্রত্যক্ষ কোনও তথ্য নেই। আর বিষয়টি নিয়ে সংস্থার সঙ্গে পরামর্শ করা হয়নি বা এটা এর সঙ্গে জড়িত নয়।

পাঠকের মতামত