প্রকাশিত: ১১/০৫/২০১৭ ৭:৩৮ এএম

নিজস্ব প্রতিবেদক::
টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং উলুবনিয়া এখন ইয়াবার অঘোষিত বন্দরে পরিনত হয়েছে। প্রতিদিন সীমান্তরক্ষী বিজিবির চোখে ফাঁকি দিয়ে উলুবনিয়া সীমান্ত পয়েন্ট দিয়ে আসছে ইয়াবার বড় মাপের চালান। বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় তা নিয়ে সিরিজ প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার পর কিছুদিন তা বন্ধ থাকলে ও এখন আবারো স্থানিয় গড ফাদাররা বড় মাপের চালান আনতে শুরু করেছে বলে জানিয়েছে এলাকার একাধিক মহল। জানা যায়, উলুবনিয়া সীমান্ত পয়েন্ট দিয়ে নিরবে ইয়াবা দেশের অভ্যান্তওে পাচার করতে একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট রয়েছে। সিন্ডিকেটের সদস্য রা রাত দিন বিজিবির টহল ও গতিবিধি দেখাশুনা করতে সম্ভাব্য পয়েন্টে তাদের সোর্স মোতায়েন করে। ইয়াবা সিন্ডিকেটের সদস্যরা বিজিবির টহলের চেয়ে সক্রিয়।বিজিবির টহল পরিবর্তন কালে মুহুর্তের মধ্যে চালান নিয়ে উলুবনিয়ার জনৈক কুরবান আলীর নিয়ন্ত্রনে রাখে। উক্ত কুরবান আলী মিয়ানমারের নাগরিক বলে জানা গেছে। প্রায় বছর খানেক আগে কুরবান আলী ইয়াবা ব্যাবসা নিয়ন্ত্রন করতে মিয়ানমার থেকে উলুবনিয়া একটি বাসা ভাড়া নেয়। তার সাথে রয়েছে ইয়াবার আরেক গডফাদার মিয়ানমারের বাসিন্দা নয়ন মিয়া। মিয়ানমার থেকে ইয়াবা এনে উলুবনিয়া মওজুদের পর কাটাখালী পূর্বপাড়ার বহু মামলার পলাতক আসামী কামাল হোছন প্রকাশ পুতুইন্না ডাকাত ও মাহমুদুল হক ওরফে বাহাদুরের নিয়ন্ত্রনাধীন বাসায় রাখে। কাটাখালী উক্ত পূর্বপাড়া থেকে ফালংখালী,হ্নীলা,উখিয়া সহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পাচার হয়। সূত্রে জানা যায়, কামাল হোছন প্রকাশ পুতুইন্না ডাকাত ও মাহমুদুল হক ওরফে বাহাদুরের রয়েছে বিশাল অস্ত্রের ভান্ডার। রাতে স্বশস্ত্র পাহারা বসিয়ে ইয়াবা পাচার করে। এলাকার অনেকে তা দেখে ও অস্ত্রের ভয়ে মুখ খুলে না। এভাবে উলুবনিয়া সীমান্তের চোরাচালান ও ইয়াবা নিয়ন্ত্রন করছে তারা। প্রতিনিয়ত উলুবনিয়া থেকে কাটাখালীর চিহ্নিত চোরাই ডিপুতে মদ ইয়াবা মওজুদ করে এই চোরাই চক্রটি। তাদের সাথে রয়েছে তুলাতলী খারাইংগা ঘোনার অপর একটি সিন্ডিকেট

দীর্ঘ কাল যাবৎ উলুবনিয়াকে ট্রানজিট পয়েন্ট হিসেবে ব্যবহার করে আসলেও আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা ছিল নির্বিকার।

গত ৬ জানুয়ারী ২০১৭ হোয়াইক্যং বিজিবি কর্তৃক উলুবনিয়া থেকে ৬০ লাখ টাকার ইয়াবা উদ্ধার তারই প্রমাণ বহন করে। উল্লেখ্য যে, উলুবনিয়া হোয়াইক্যং বিজিবি চেক পোষ্টের পরে হওয়ায় মরিচ্যা চেক পোষ্টের আগে তেমন ঝুকি নেই। অপরদিকে বাংলাদেশ-মিয়ানমারের পার্থক্যমূলক সীমানা রয়েছে ছোট্র একটি খাল। ফলে ইয়াবা ব্যবসায়ীরা উলুবনিয়াকে নিরাপদ ঘাট মনে করে প্রতিদিন কোটি কোটি টাকার ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে নিরবে। এ ব্যাপারে সীমান্তরক্ষী বিজিবি সহ আইনশৃংলা রক্ষাকারী বাহিনীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসী।

পাঠকের মতামত

ইনানীতে হচ্ছে ফায়ার সার্ভিসের পূর্ণাঙ্গ প্রশিক্ষণ কেন্দ্র

অবশেষে কক্সবাজারে হচ্ছে ফায়ার সার্ভিসের পূর্ণাঙ্গ আঞ্চলিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র এবং অত্যাধুনিক ফায়ার স্টেশন। অর্থনৈতিক এবং ...