প্রকাশিত: ২৮/০৬/২০১৭ ৭:১৯ এএম , আপডেট: ১৭/০৮/২০১৮ ৫:৩৯ পিএম

মধ্যপ্রাচ্যের ধনী দেশ সৌদি আরবের রাস্তাঘাট পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে সকাল-বিকাল কাজ করে বিভিন্ন ক্লিনিং কোম্পানিতে নিয়োজিত হাজার হাজার প্রবাসী বাংলাদেশি।

সৌদি আরব গ্রীষ্ম ও শীত ঋতুর মরুভূমির একটি দেশ। বছরে ছয় মাস গরম আর ছয় মাস শীত। গরমের মৌসুমে প্রচণ্ড গরম আর শীত মৌসুমে প্রচণ্ড শীত। এর মধ্যেই সমস্ত প্রতিকূলতাকে উপেক্ষা করে কাজ করেন এই বাংলাদেশি শ্রমিকেরা।

নরসিংদী জেলার আশরাফ এমনই একজন শ্রমিক। ১৯৯২ সালে প্রথম সৌদি আরব আসেন আশরাফ। দীর্ঘ সময় কাজ করার পর তেমন সুযোগ-সুবিধা না থাকায় দেশে চলে যান তিনি। কিন্তু অভাবের সংসারে উপার্জন করার আর কেউ না থাকায় ১৯৯৭ সালে ১ লাখ ৮০ হাজার টাকায় দালালের মাধ্যমে ভিসা কিনে ৪০০ রিয়াল বেতনে আবারও আসেন এদেশে। তবে ভাগ্য পরির্বতনে নতুন কোম্পানিতে এসেও একই অবস্থা তার।

স্থানীয় সময় সোমবার রিয়াদের এক রাস্তায় দেখা মেলে আশরাফের সাথে। আশরাফ জানালেন, “ঈদের ছুটি নেই। তবে ওভার টাইমের আশায় আমরা কাজ করি। কাজের জায়গা থেকে বাসা দূরে হওয়ায় রাস্তার পাশেই সময় পেলে ঘুমিয়ে পড়ি।”

তিনি আরও বললেন, “ভিসা পরির্বতন করা যায় না। চাকরি না করলে দেশে চলে যেতে হবে। আমার মত এ কোম্পানিতে আরও কয়েক হাজার বাংলাদেশি কাজ করেন। আসার কয়েক বছরে একশ’ রিয়াল বেতন বাড়ালেও চার-পাঁচ বছর আগে মাসিক বেতন নেমে আসে। এখন ৫০০ রিয়াল বেতন পাই।”

আশরাফ বলেন, “এখানে ৮ ঘণ্টা ডিউটি। থাকার খরচ মালিকের, তবে খানাসহ অন্যান্য খরচ নিজেকেই বহন করতে হয়। অনেক কষ্টে সংসার চলে, নিরুপায় হয়ে পড়ে আছি। তবে মরুভূমির রাস্তায় প্রচণ্ড গরমে কাজ করতে গেলে কিছু দয়ালু সৌদি ২-৪ রিয়াল হাদিয়া দেয়। কোন কাজ পেলে করি। ঈদের ছুটিতেও কাজ করি। কোম্পানি থেকে ওভার টাইম দেওয়া হবে বলেছে।”

ছবি কৃতজ্ঞতা: আশরাফ আলী

পাঠকের মতামত

রোহিঙ্গাদের ৩০ মিলিয়ন ডলারের বেশি সহায়তা দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য জনসংখ্যা, শরণার্থী ও অভিবাসন বিভাগ এবং ইউএসএআইডিয়ের মাধ্যমে কক্সবাজার, ভাসানচর এ অঞ্চলের ...

যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে স্থায়ী যুদ্ধবিরতিসহ তিনটি শর্ত হামাসের

মিশর ও কাতারের মধ্যস্থত গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস তিনটি ধাপ অন্তর্ভুক্ত করতে ...