প্রকাশিত: ০১/০৪/২০২০ ১২:০৬ পিএম
Single Page Top

খলিল চৌধুরী, সৌদি আরব:
বিশ্ব কাপানো করোনা ভাইরাসে সৌদি আরবের মদিনায় মারা গেল বাংলাদেশী একজন প্রবীণ ডাক্তারসহ তিন রেমিটেন্সযোদ্ধা।

বিষয়টি জেদ্দাস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেটের আইন সহকারী মুমিনুল ইসলাম নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, আমরা এই পর্যন্ত তিনজন বাংলাদেশি করোনা ভাইরাসের আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন নিশ্চিত হয়েছি । যে তিন জন নিশ্চিত হয়েছি মারা গেছেন তাদের মধ্যে একজন ডাক্তার ও একজন মদিনা আল সোলায়মান ফাহাদ কোম্পানিতে কর্মরত ছিলেন। অন্য জন মদিনায় মার্কেটে চাকরি করতেন।

যারা মারা গেছেন তারা হলেন, মদিনা একটি হাসপাতালে কর্মরত ডাক্তার আফাক হোসেন (৫৮), কোরবান আলী (৫৪) ও মোহাম্মদ হাসান (৩৮)।

ডাক্তার আফাক হোসেন স্বপরিবারের সৌদি আরবে মদিনায় সাফা আল মদিনা বেসরকারি হাসপাতালে কর্মরত ছিলেন। তিনি সৌদি আরবের মদিনা শরীফের আওয়ালি এর সাথে আল যুযান নামক স্থানে থাকতেন।

আফগানিস্তানের এক লোক করোনায় আক্রান্ত চেম্বারে গেলে চিকিৎসা করেন ডাক্তার আফাক হোসেন। ধারণা করা হচ্ছে, সেখান থেকে তার শরীরে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ ঘটে।

ডাক্তার আফাক হোসেন ৩১ মার্চ সকালে মদিনায় একটি হাসপাতালে মারা গেছেন। তিনি নড়াইল জেলার সদর থানার আমজাদ হোসেনের ছেলে।

কোরবান আলী মদিনার সোলায়মান ফাহাদ কোম্পানিতে কর্মরত ছিলেন। জ্বর, কাশি এবং শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় নিয়ে হাসপাতালে যান পরে পরীক্ষায় তার শরীরে করোনাভাইরাস ধরা পড়ে। গত ২৪শে মার্চ রাত ৮টার দিকে মদিনার আল জাহরা হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

মৃত কোরাবান আলীর বাড়ি ঢাকা জেলার সাভার উপজেলার সাদাপুর পূরান গ্রামের রেজাউল করিম এর ছেলে।কোরবান আলীর বিষয়ে মদিনার আল জাহরা হাসপাতাল থেকে সোমবার বাংলাদেশের জেদ্দা কনস্যুলেটকে জানানো হয়েছে। তবে তার কোনো আত্মীয়স্বজন এখন পর্যন্ত জেদ্দা কনস্যুলেটের সঙ্গে যোগাযোগ করেননি।

এ বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়ে জেদ্দা কনস্যুলেট উইং একটি চিঠি পাঠিয়েছে প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের কাছে।

চিঠিতে বলা হয়েছে, পরবর্তী পদক্ষেপ নির্ধারণের জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ওখানকার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে বিষয়টি অবহিত করেছে। বাংলাদেশ কনস্যুলেট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে।

তৃতীয় জন হল মোহাম্মদ হাসান, বাড়ি চট্টগ্রাম জেলার, লোহাগাড়া উপজেলার বড়হাতিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ চাকফিরানী দূর্লুবের পাড়া নিবাসী আলহাজ্ব লিয়াকত আলীর পুত্র।মৃত মোহাম্মদ হাসানের ছোট ভাই মোহাম্মদ হেলাল খবরটি নিশ্চিত করে বলেন, আমার বড় ভাই মদিনা আল তাইবা মার্কেটে কাজ করতেন। করোনা ভাইরাসের কারণে বন্ধ থাকায় তিনি তার বন্ধুর বাসায় মদিনা থেকে একটু দূরে খামারে বেড়াতে যান সেখানে সর্দি কাশি জ্বরে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
ভর্তির তিন দিন পর করোনাভাইরাস সনাক্ত হলে সৌদি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নিবিড় পর্যবেক্ষণে থাকেন তিনি। কিন্তু গত ছয় দিন থেকে পরিবারের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। আমরা উদ্বিগ্ন হয়ে, পড়ি তারপর শুনলাম আজ ৩১-মার্চ মঙ্গলবার সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মদিনার একটি সরকারি হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন।

প্রসঙ্গত সৌদি আরবে বর্তমানে করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫৬৩ জন এর মধ্যে মারা গেছেন ১০জন, সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১৬৫ জন

পাঠকের মতামত

Single Page Bottom

মিয়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলিমদের নির্যাতন করছে আরাকান আর্মি: এইচআরডব্লিউ

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা মুসলিম জনগোষ্ঠীর ওপর দমনমূলক নীতি ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে জাতিগত ...

রয়টার্সের প্রতিবেদনমিয়ানমারের বিরল খনিজে নজর যুক্তরাষ্ট্রের, বিদ্রোহীদের পক্ষে টানছে ট্রাম্প প্রশাসন

মিয়ানমারের বিরল খনিজ সম্পদের দিকে চোখ পড়েছে যুক্তরাষ্ট্রের। মিয়ানমারের বিরল খনিজে চীনের কর্তৃত্ব সরিয়ে নিতে ...

মিয়ানমার জান্তা ঘনিষ্ঠদের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার

মিয়ানমারের সামরিক জান্তাঘনিষ্ঠ চার ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন অর্থ ...

বিশ্বজুড়ে বাংলাদেশি পাসপোর্টধারীদের ব্ল্যাকলিস্ট, তালিকায় এক ডজন দেশ

সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশি পাসপোর্টধারীদের জন্য বিশ্বজুড়ে ভ্রমণ ও ভিসা পাওয়া আগের চেয়ে অনেক বেশি কঠিন ...
Single Page Footer