প্রকাশিত: ০১/০৩/২০১৭ ৭:০১ পিএম

ফিকাহ মনি পিংকি, পেকুয়া::
বিশ্বের দীর্ঘতম কক্সবাজারের সৈকত, টেকনাফের সেন্টমার্টিন, চকরিয়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক, রামুর বৌদ্ধ মন্দির, মহেশখালীর আদিনাথ মন্দিরের পাশাপাশি এখন পর্যটকদের নজর কাড়ছে উপকূলীয় উপজেলা পেকুয়ার মগনামা জেটিঘাট। প্রকৃতিপ্রেমী ও ভ্রমণপিপাসুদের কাছে টানতে শুরু করেছে মগনামা জেটিঘাট।

একসময় এই জেটিঘাট শুধুমাত্র লোক পারাপারে জন্য ব্যবহৃত হতো। কিন্তু বেশ কয়েক বছর ধরে এই ঘাটে বিভিন্ন এলাকা থেকে পর্যটক আসার ফলে এলাকাটি এখন পর্যটন স্পটে রূপ পেতে শুরু করেছে। ফলে, অল্প সময়েই কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলা মগনামা ইউনিয়নের জেটি ঘাটটি এখন পর্যটন স্পটে রূপ পেয়েছে। বিশেষ করে বিকেলে সূর্যাস্তের অপরূপ দৃশ্য দেখতে দর্শনার্থীদের ভিড় হয় অত্যাধিক। কিন্তু এই এলাকায় ভাল মানের কোন রেস্টেুরেন্ট না থাকায় অনেক পর্যটককে হতাশা প্রকাশ করতে দেখা যায়।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পেকুয়া ও কুতুবদিয়া লোকজন পারাপারের জন্য ব্যবহৃত হতো মগনামা জেটি ঘাটটি। কুতুবদিয়া চ্যানেলের (সাগর) মগনামা অংশে এ জেটি ঘাটটি নির্মাণ করা হয় অন্তত ২০ থেকে ২৫ বছর আগে। এ ঘাট হতে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত শতাধিক বোট যাতায়াত করে। প্রতিদিন এই ঘাট দিয়ে অন্তত ৩ থেকে ৪ হাজার লোক পারাপার করে। একসময় সাগরের পাড়ঘেষে অনেক প্যারাবন ছিল। কিন্তু বনখেকোর দল প্যারাবন কেটে সাবাড় করে দিচ্ছে। ফলে সৌন্দর্য্য হারাচ্ছে মগনামা ঘাট।

স্থানীয় লোকজন জানান, পেকুয়াতে তেমন কোন বিনোদনের স্পট না থাকায় স্থানীয় লোকজন মগনামা ঘাটে বিকাল হলে ঘুরতে আসতো। সূর্যাস্ত দেখতো। পরে স্থানীয় লোকজনের পাশাপাশি বিভিন্ন এলাকার লোকজনও বিকালে সূর্যাস্ত দেখতে ছুটে আসেন এখানে। এভাবে এলাকাটি সবার কাছে পরিচিত হয়ে উঠেছে।

পেকুয়ার সন্তান এডভোকেট রাশেদুল কবির। চট্টগ্রাম জজ কোর্টে ওকালতি করেন। মাঝে মাঝে বাড়িতে আসেন বেড়াতে। বাড়ি আসলেই ছুটে আসেন মগনামা ঘাটে। ঘাটে দেখা হয় তার সাথে। তিনি বলেন, আমি দেশের মধ্যে অনেক সুন্দর সুন্দর জায়গা ঘুরেছি। কিন্তু পেকুয়ায় সূর্যাস্তের দৃশ্যটা অপূর্ব লাগে আমার কাছে।

তিনি আরো বলেন, একসময় এখানে তেমন লোকজন আসতো না। কিন্তু বেশ কয়েক বছর ধরে এখানে প্রচুর লোকজন ভিড় করতে দেখা যাচ্ছে। যেহেতু লোকজনের সমাগম বাড়ছে সেদিক বিবেচনা করে পেকুয়া-মগনামা সড়কটি আরো সম্প্রসারণসহ ঘাটটি আরো সৌন্দর্যবর্ধন করা দরকার।

পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়া মোহাম্মদ মোস্তাফিজ ভূঁইয়া বলেন, পর্যটকদের নিরাপত্তায় প্রতিনিয়ত পুলিশের একটি টহল টিমকে মগনামা ঘাট এলাকায় নিয়োজিত রাখা হয়। তাই নিরাপত্তা নিয়ে পর্যটকদের দুঃচিন্তার কোন কারণ নেই।

পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহাবুব-উল করিম বলেন, মগনামা ঘাটটি একসময় শুধুমাত্র লোকজন পারাপারের কাজে ব্যবহৃত হতো। বর্তমানে ঘাট এলাকায় প্রতিদিন অসংখ্য লোকজন ভিড় করে সূর্যাস্ত দেখার জন্য। দেশীয় দর্শণার্থী পাশাপাশি বিদেশি দর্শনার্থীও যাতে বাড়ে সেজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

পাঠকের মতামত

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে শান্তি ও নিরাপত্তা জোরদার বিষয়ক ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত

কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে শান্তি ও নিরাপত্তা জোরদার করণ বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টি করার লক্ষ্যে বিশেষ ...

নাফ নদের ৩৩ কি.মি. ও সেন্টমার্টিন পর্যন্ত ২০ কিমিতে বসেছে ৬ রাডারসীমান্ত ও সমুদ্রে নজরদারিতে রাডার ড্রোন থার্মাল ক্যামেরা

এবার দেশের সীমান্ত ও সমুদ্র সুরক্ষায় অত্যাধুনিক প্রযুক্তির নজরদারি রাডার, ড্রোন ও থার্মাল ক্যামেরা যুক্ত ...

তদন্তের নির্দেশ চট্টগ্রাম রেঞ্জ ডিআইজিকেটেকনাফে হত্যা মামলার এজাহার পাল্টে দিল পুলিশ

কক্সবাজারের টেকনাফে একটি হত্যা মামলার এজাহার পুলিশ কর্মকর্তারা পরিবর্তন করে দিয়েছেন- এমন অভিযোগে আদালতে মামলা ...

ইউএনএইচসিআর ’এর প্রতিবেদনবাংলাদেশে নতুন অনুপ্রবেশকারি রোহিঙ্গা দেড় লাখের বেশি

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সেনাবাহিনী এবং আরাকান আর্মির মধ্যে সংঘাত পুনরায় শুরু হওয়ার ফলে ২০২৩ সালের ...

ব্র্যাক আয়োজিত সংলাপে নারীর কর্মসংস্থান বৃদ্ধিতে ৫ দফা সুপারিশ

সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও দেশে ‘আনুষ্ঠানিক ও অনানুষ্ঠানিক’ কর্ম ক্ষেত্রে নারীদের অংশগ্রহণ আশাব্যঞ্জক নয়। সম্প্রতি ব্র্যাকের ...