
উখিয়া নিউজ ডটকম::
কক্সবাজারের উখিয়া -টেকনাফ সীমান্ত পয়েন্ট ইয়াবা কারবারীদের নিরাপদ জোন হলেও, আছঁড় লাগাতে তৎপর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। নানা কৌশলে এগোচ্ছে প্রশাসন। এর পরও থেমে নেই ইয়াবা কারবার। হরদম ইয়াবা ব্যবসায় সাম্প্রতিক সময়ে কক্সবাজারের পুলিশ প্রশাসনের স্মরণ কালের বৃহৎ ইয়াবার চালান আটকের গর্বিত অংশীদার পুলিশ।
তাও আবার কক্সবাজার -টেকনাফ সড়কের বালুখালীস্থ শাহপরীর দ্ধীপ হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ি। যারা ২লাখ ৫৫হাজার ইয়াবা, ট্রাক ও ২পাচারকারীকে আটক পুর্বক জেলহাজতে প্রেরণ করে। এমন কোন দিন নেই, কমবেশি ইয়াবা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে আটক হচ্ছেনা।
ইয়াবার বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কঠোর হুশিয়ারী ঘোষণার পর থেকে পুলিশসহ বিভিন্ন আইন-শৃংখলা রক্ষাকারি বাহিনীর অনড় অবস্থানের কারণে ইয়াবা ব্যবসায়ীরাও নানা অপতৎপরতার পাশাপাশি বেপরোয়া হয়ে উঠেছে ; এমন কি অভিযান চালাতে গিয়ে সংঘবদ্ধ ইয়াবা চক্রের হামলার শিকার হয়েছে খোদ পুলিশ ও বিজিবিসহ বিভিন্ন আইন-শৃংখলা রক্ষাকারি বাহিনীর সদস্যরাও। এছাড়া সংঘবদ্ধ চক্রটি ইয়াবা বিরোধী অবস্থানে থাকা লোকজনের উপর হামলা চালানোর পাশাপাশি অভিযান পরিচালনাকারি আইন-শৃংখলা রক্ষাকারি বাহিনীর সদস্যদের বিরুদ্ধে নানাভাবে অপপ্রচার চালানোর খবরও পাওয়া গেছে।
তাছাড়া চক্রটি ইয়াবার বিরুদ্ধে স্বোচ্ছার ব্যক্তি ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে নামে-বেনামে রকারি বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দায়ের করার অপতৎপরতাও চালিয়ে যাচ্ছে নানা সূত্রে নিশ্চিত হওয়া গেছে।তবে এটাও ঠিক, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কিছু অসাধু কর্মকর্তাদের কারণে দেশপ্রেমিক কর্মকর্তাদের ভার্বমুতি প্রশ্নবিদ্ধ এবং বিতর্কিত হওয়ার খবরও কম নয়। এসব ইয়াবা আটক করে শোকর নেই পুলিশের। কারণ কিছু অসাধু অফিসারদের কারণে এমনটিই হচ্ছে। এ নিয়ে বিপাকে পড়েছে ইয়াবার বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে থাকা পুলিশসহ বিভিন্ন আইন-শৃংখল রক্ষাকারি বাহিনীর সদস্যদের পাশাপাশি স্থানীয় লোকজনও।
তাদের অভিমত, সংঘবদ্ধ ইয়াবা চক্রের নানামুখি অপতৎপরতা ও বেপারোয়া আচরণের কারণে খোদ সরকার প্রধানের ঘোষণা বাস্তবায়ন নিয়েও সংশয়ের সৃষ্টি হয়েছে। এদিকে গত ৬ মে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারি সফরে কক্সবাজার এসে আওয়ামী লীগ আয়োজিত বিশাল জনসভায় ভাষণ দিতে গিয়ে সর্বনাশা ইয়াবার বিরুদ্ধে কঠোর হুশিয়ারী ঘোষণা করেন। এতে ইয়াবা ব্যবসায় জড়িতরা যত বড় শক্তিশালীই হোক না কেনো তাদের আইনের আওতায় আনতে আইন-শৃংখলা রক্ষাকারি বাহিনীর সদস্যদের প্রতি নির্দেশ দেন। এ নিয়ে আইন-শৃংখলা রক্ষাকারি বাহিনীর সদস্যরাও নড়েচড়ে উঠেন।
আর প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার ১৮ দিনের মাথায় গত ২৪ মে টেকনাফ সফরে আসেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এ কে এম শহীদুল হক। সেখানে আয়োজিত এক সমাবেশে তিনি পুলিশের পাশাপাশি স্থানীয় সচেতন মহল ও জনপ্রতিনিধিদের প্রতি ইয়াবা ব্যবসা বন্ধে সহযোগিতা কামনা করেন এবং নানা নির্দেশনা দেন। এরপর জেলা পুলিশের পাশাপাশি ডিবি পুলিশ, র্যাব ও বিজিবির সদস্যরা ইয়াবা বিরোধী নানা তৎপরতা শুরু করে।
এতে অভিযানে বেশ কিছু চিহ্নিত ইয়াবা ব্যবসায়ী আইন-শৃংখলা রক্ষাকারি বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তারের পর সংঘবদ্ধ চক্রটি বেপরোয়া হয়ে উঠার পাশাপাশি অভিযানকারিদের উপর হামলা চালানোর ঘটনাও ঘটেছে। এছাড়া ইয়াবার বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে থাকা আইন-শৃংখলা রক্ষাকারি বাহিনীর সদস্যদের বিরুদ্ধেও সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে নামে-বেনামে অভিযোগ দায়ের করে ঘায়েল করার অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে সংঘবদ্ধ একটি চক্র।
একাধিক দায়িত্বশীল সংস্থার তথ্য মতে, সংঘবদ্ধ ইয়াবা ব্যবসায়ীরা টেকনাফে ইয়াবা বিরোধী অভিযান বন্ধ করতে নানা কৌশল নিয়েছে। তারা পুলিশ ও গোয়েন্দা পুলিশসহ অভিযান পরিচালনাকারি বিভিন্ন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের ঘায়েল করতে নানা অপতৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে।
এ অপতৎপরতার অংশ হিসেবে বিভিন্ন দপ্তরে নামে-বেনামে অভিযোগ দায়ের, গণমাধ্যম কর্মীদের মিথ্যা তথ্য প্রদান ও ম্যানেজ প্রক্রিয়ায় সংবাদ প্রকাশকেও কৌশল হিসেবে ব্যবহার করছে। আবার অনেক ক্ষেত্রে অবৈধ অস্ত্র মজুদ এবং সংঘবদ্ধ হয়ে হামলার ঘটনাও সংঘটিত করছে। এ হামলা কখনো পুলিশ, কখনো গণমাধ্যম কর্মী আবার কখনো ইয়াবার বিরুদ্ধে প্রতিবাদকারি লোকজনের উপরও।
টেকনাফ থানা পুলিশের তথ্য মতে, টেকনাফ থানা পুলিশ গত ৫ মাসে অভিযান চালিয়ে ৬ লাখ ৯১ হাজার ইয়াবা উদ্ধার করেছে। এসব অভিযানে ১৪৪ জনকে গ্রেপ্তার করে ১২৯টি মামলা করেছে। এতে অভিযানের পর চরম বেকায়দায় রয়েছে সংঘবদ্ধ ইয়াবা ব্যবসায়ীরা। তারা এখন হামলার পাশাপাশি পুলিশসহ আইন-শৃংখলা রক্ষাকারি বাহিনীর সদস্যদের হয়রানীর চেষ্টা করছে। এরা সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে নামে-বেনামে পুলিশের বিভিন্ন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগও দিয়ে যাচ্ছেন। এসব অভিযোগের পাশাপাশি গণমাধ্যমে মিথ্যা তথ্য বা বিশেষ ম্যানে
পাঠকের মতামত