
সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে টেকনাফের সাবেক এমপি আবদুর রহমান বদির বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের করা এক মামলায় আদালতে দুজন সাক্ষ্য দিয়েছেন। এ নিয়ে মোট ১০ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ ও জেরা শেষ হয়েছে আদালতে। আগামী ১০ নভেম্বর মামলার পরবর্তী দিন ধার্য করেছেন আদালত।
বুধবার (৮ অক্টোবর) চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্পেশাল জজ মিজানুর রহমানের আদালতে এই সাক্ষ্যগ্রহণ ও জেরা হয়।
সাক্ষীরা হলেন ইসলাম ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের তৎকালীন টেকনাফ শাখার সাবেক সিনিয়র অফিসার রেজাউল করিম ও সহকারী অফিসার তানভীর আলম।
বিষয়টি নিশ্চিত করে দুদকের আইনজীবী অ্যাডভোকেট রেজাউল করিম রনি কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে হওয়া মামলায় আবদুর রহমান বদির বিরুদ্ধে আজ দুজন সাক্ষী দিয়েছেন। এ নিয়ে মোট ১০ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে। আবদুর রহমান বদি কেরানীগঞ্জ কারাগার থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন।
আসামিপক্ষ দুজন সাক্ষীর জেরা শেষ করেছে।’
কক্সবাজার-৪ আসনের আলোচিত সমালোচিত সংসদ্য সদস্য আবদুর রহমান বদি ভার্চুয়ালি কেরানীগঞ্জ কারাগার থেকে যুক্ত ছিলেন। তার বিরুদ্ধে ২০২০ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর বিভাগীয় স্পেশাল দায়রা জজ আদালতের তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত বিচারক মো. ইসমাইল হোসেন অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দিয়েছিলেন। বদির বিরুদ্ধে ভয়ংকর মাদক ইয়াবা পাচারসহ নানা অভিযোগ থাকায় ২০১৮ ও ২০২৪ সালে একাদশ ও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ তার পরিবর্তে স্ত্রী শাহীন আক্তারকে মনোনয়ন দিয়েছিল।
বদির বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলার নথি থেকে জানা যায়, ৪৩ লাখ ৪৩ হাজার ৯৯৪ টাকার তথ্য গোপন এবং ৬৬ লাখ ৭০ হাজার টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০০৭ সালে আবদুর রহমান বদির বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। পরের বছর তদন্ত শেষে তার বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। পরে বদি উচ্চ আদালত থেকে স্থগিতাদেশ নিয়ে এলে মামলাটির কার্যক্রম স্থগিত থাকে। এই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করলে দীর্ঘদিন পর ২০১৭ সালে মামলাটি সচল হয়।

পাঠকের মতামত