প্রকাশিত: ১৭/০৭/২০২১ ৪:৫৪ পিএম

সন্তান সম্ভবা তরুণী বধূ জারিন তাসমীন মুন্নী (২২) কোভিড-১৯ পজিটিভ হয়ে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষনে শুক্রবার মধ্যরাতে চিকিৎসকদের আপ্রাণ প্রচেষ্টায় ঝুঁকিপূর্ণ অপারেশনে জন্ম দিলেন ফুটফুটে এক পুত্রসন্তান। আজ শনিবার ভোরে সেই সদ্যজাত সন্তানকে রেখেই চলে গেলেন না ফেরার দেশে।

ভোর ৫ টার দিকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। শিশু সন্তানটি বর্তমানে হাসপাতালের নবাজতক ওয়ার্ডে রয়েছে।
উখিয়ার জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক ফারুক আহমেদ জানিয়েছেন, গত বুধবার তীব্র শাষকষ্ট নিয়ে কক্সবাজার শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন জারিন তাসমীন মুন্নী। অবস্থার অবনতি হলে বৃহস্পতিবার তাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করা হয়।
সাংবাদিক ফারুক নিজেও করোনায় আক্রান্ত হয়ে বর্তমানে হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন। করোনায় মারা যাওয়া জারিন তাসমীন মুন্নীর স্বামী শাহাদাৎ হোসেন বিপু সাংবাদিক ফারুকের আপন ভাইপো। তিনি উখিয়ার রত্নাপালং ইউনিয়নের খোন্দকার পাড়া গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক সিরাজুল ইসলামের ছেলে। বিপু একটি বেসরকারি সংস্থায় চাকরি করেন। মাত্র বছর খানেক আগে তাদের বিয়ে হয়েছিল।

জারিন তাসমীন মুন্নী কক্সবাজার সিটি কলেজে স্নাতকের ছাত্রী ছিলেন। তার পিতা অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক আব্দুল লতিফ উখিয়ার হলদিয়া পালং ইউনিয়নের কোলেসা পাড়ার বাসিন্দা।
তার মৃত্যুতে সর্বত্র শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
কক্সবাজারের জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক তোফায়েল আহমেদ ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছেন, ‘একটু বিলম্বিত কভিড টেস্টের কারণে কি রকম সর্বনাশ হতে পারে এটিই তার উদাহরণ। মুন্নীর এমন ভয়াবহ অবস্থা ছিল যে,তাকে হাসপাতালে আনার সাথে সাথেই আইসিইউতে অক্সিজেনের উপর রাখতে হয়েছে। এমনকি ঘন্টায় ৮০ লিটার অক্সিজেন দিতে হয়েছে তাকে।

পাঠকের মতামত

কক্সবাজার ইউনিয়ন হাসপাতালে ডাক্তার নার্সদের ভুল চিকিৎসায় প্রসূতির মৃত্যু

কক্সবাজারের বেসরকারি ইউনিয়ন হাসপাতালে ডাক্তার ও নার্সদের ভুল চিকিৎসায় মারা গেলো মহেশখালীর আফসানা হোসেন শীলা ...

টেকনাফ সীমান্তে সর্ববৃহৎ মাদকের চালান লুটপাট শীর্ষক সংবাদে একাংশের ব্যাখ্যা ও প্রতিবাদ

গত ১৯ এপ্রিল টেকনাফ সীমান্তের জনপ্রিয় অনলাইন টেকনাফ টুডে এবং গত ২১এপ্রিল টিটিএন সংবাদমাধ্যমসহ বিভিন্ন ...