উখিয়া নিউজ ডটকম
প্রকাশিত: ২২/০৯/২০২২ ৯:১৭ এএম

কক্সবাজারে উখিয়া উপজেলা সদরে, কক্সবাজার-টেকনাফ জাতীয় মহাসড়কের পাশে অবস্থিত অন্যতম পুরোনা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান উখিয়া মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।

১৯২৬ সালে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক আমলে উখিয়া থানা যাত্রা শুরু করার চার বছর আগে ১৯২২ সালে যাত্রা শুরু করা ঐতিহ্যবাহী এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি এবছর প্রতিষ্ঠার ১০০ বছর পূর্ণ করলো।

যেখান থেকে শুরু দেশবরেণ্য অনেক প্রসিদ্ধ মানুষের শৈশব, সেই মুখরিত পাঠশালার শতবর্ষে আবারো মিলিত হওয়ার স্মৃতি পেতে যাচ্ছেন প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা।

উৎসবের দিনটি ঠিক করা হয়েছে আগামী ২৪ ডিসেম্বর, ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে রেজিষ্ট্রেশন।

“এসো মিলি ঐকতানে, আমাদেরই প্রাণের প্রাঙ্গণে” প্রতিপাদ্যে আয়োজনটির সফল বাস্তবায়নে কাজ করছে উখিয়া মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শতবর্ষ উদযাপন পরিষদ।

পরিষদের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন, বিদ্যালয়টির উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও রাজাপালং ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী।

তিনি জানালেন, ” আমরা আমাদের শৈশবের স্মৃতি বিজরিত পাঠশালার শতবর্ষ উদযাপনে সকল প্রস্তুতি নিচ্ছি। আশা করছি আবারো পুরোনো শিক্ষার্থীদের প্রত্যাবর্তনে উৎসব উন্মাদনায় আলোকিত হবে প্রিয় প্রাঙ্গণ”।

পঞ্চম শ্রেণী উর্ত্তীণ সকল ব্যাচের শিক্ষার্থীদের জন্য আয়োজনে অংশ নেওয়ার রেজিষ্ট্রেশন ফি নির্ধারণ করা হয়েছে এক হাজার টাকা, ২০১৬ থেকে ২০২২ এর শিক্ষার্থীদের জন্য পাঁচশত টাকা।

ব্যাচ প্রতিনিধিদের কাছে তুলে দেওয়া হয়েছে রেজিষ্ট্রেশন ফরম, এছাড়াও উখিয়া মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যোগাযোগ করে ১০ নভেম্বরের মধ্যে করা যাবে রেজিষ্ট্রেশন।

উখিয়া মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও উদযাপন পরিষদের সমন্বয়ক হারুনুর রশীদ বলেন, ” আশা করছি দ্রুতই রেজিষ্ট্রেশন করবেন প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা। আমরা চাই একসাথে সুন্দর এবং মনে রাখার মতো একটি প্রাণবন্ত দিন উদযাপন করতে।”

এদিকে, আয়োজনের খবর পেয়ে প্রাক্তনরা মুখিয়ে আছেন শৈশবের বন্ধুদের সাথে ফেলা আসা সময়গুলোর স্মৃতিচারণে।

লোগা উন্মোচন হওয়ার পর সেটি নিজের ছবিতে যুক্ত করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকেই পোস্ট দিচ্ছেন, জানাচ্ছেন বন্ধুদের অংশগ্রহণের আহবান।

বাংলাদেশের ইতিহাস-ঐতিহ্যের স্বাক্ষী হয়ে থাকা বিদ্যালয়টির প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রী সহ উখিয়ার স্থানীয়রা আশা করছেন ১০০ বছর উদযাপন স্মরণীয় হয়ে থাকবে।

পাঠকের মতামত

নিরাপত্তারক্ষীর কাজ করে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েছেন, এখন বিসিএস ক্যাডার

গল্প-আড্ডায় বিশ্ববিদ্যালয়জীবনটা উপভোগের সুযোগ আবদুল মোত্তালিবের হয়নি। দুপুর গড়ালেই তাঁকে ছুটতে হতো কাজে। অসচ্ছলতার কারণে ...