উখিয়া নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত: ১২/১১/২০২২ ৯:৪৬ এএম

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের আঘাতে লন্ডভন্ড হয়ে পড়েছিল কক্সবাজার সমুদ্রসৈকত। এ সময়ে সাগর ছিল উত্তাল। তবে এর প্রভাব অনেকটা কেটে গেছে। সাগর এখন শান্ত। দুই-তিন ধরে শীতও পড়তে শুরু করেছে। গত মাসের শেষ সপ্তাহেও সৈকতের কোথাও দাঁড়ানোর সুযোগ ছিল না। উত্তাল সাগরের ঢেউয়ের তোড়ে সৈকতের বালিয়াড়ি বিলীন হয়ে যায়। এখন সমুদ্র তীরে চর জেগেছে। সৈকত তীরের ঝুপড়ি দোকানগুলো উচ্ছেদ হওয়ায় পর্যটক দাঁড়ানোর জায়গা তৈরি হয়েছে।

আজ শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটির দিনে কক্সবাজারে পর্যটকদের ভিড় দেখা গেছে। সমুদ্র সৈকতের সুগন্ধা, লাবনী ও কলাতলী এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, ভরপুর পর্যটক। পর্যটকেরা আনন্দ উচ্ছ্বাসে মেতে উঠেছে। নানা বয়সীরা পর্যটকেরা বিচ বাইক, ওয়াটার বাইক ও ঘোড়ায় চড়ে সমুদ্র দর্শন করছেন। কেউ আবার টায়ার টিউবে গা ভাসানো ও নোনা জলে গোসলে নেমেছেন। প্রিয়জনেরা এসব দৃশ্য মোবাইল ও ক্যামেরায় ধারণ করছেন। অনেককেই হিমছড়ি ও দরিয়ানগর সৈকতে প্যারাসাইলিংয়েও সমুদ্র দর্শন করতে দেখা গেছে।

শহরের পাশাপাশি মেরিন ড্রাইভ ধরে পর্যটকেরা ইনানী, পাটোয়ারটেক পাথুরে সৈকত ও টেকনাফের দিকে ছুটছে। এ ছাড়া সেন্ট মার্টিন, সোনাদিয়া, মহেশখালী, রামুর বৌদ্ধ পল্লি, চকরিয়ার ডুলাহাজারা বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কে ও নিভৃতে নিসর্গে ছুটে যাচ্ছেন।

টুরিস্ট পুলিশ, বিচ কর্মী ও লাইফ গার্ড সদস্যরা পর্যটকদের নিরাপত্তায় সার্বক্ষণিক সজাগ আছেন।

কুমিল্লার মুরাদনগর থেকে সপরিবারে ঘুরতে এসেছেন ব্যবসায়ী নুরুল আজিম। তিনি বলেন, ‘মনে করেছিলাম সৈকতে ভিড় কম হবে। কিন্তু কোথাও দাঁড়ানোর জায়গা নেই। তারপরও বাচ্চারা বেশ আনন্দ করছে। সৈকত ছাড়াও এখানকার পাহাড় প্রকৃতিও দেখার মতো।’

জেলা প্রশাসনের বিচ কর্মী বেলাল হোসেন বলেন, ‘সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত সৈকতের বিভিন্ন অংশে অন্তত ৫০ হাজার পর্যটকের সমাগম ঘটেছে। শহরের পাশাপাশি পর্যটকেরা ইনানী, হিমছড়ি ও পাটোয়ারটেকসহ বিভিন্ন স্থানে ঘুরছে।’

কক্সবাজার শহরের পর্যটন জোনের কলাতলী ও মেরিন ড্রাইভ সড়কে ৫০০ হোটেল-মোটেল, কটেজ ও রিসোর্টে অন্তত ১ লাখ ৭০ হাজার পর্যটকের রাত্রিযাপনের সুবিধা রয়েছে।

কক্সবাজার হোটেল-মোটেল, কটেজ ও রিসোর্ট মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাসেম সিকদার বলেন, ‘এখন পর্যটনের ভরা মৌসুম। কিন্তু কয়েক দিন আগে বৈরী আবহাওয়া ও এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হওয়ায় পর্যটক কম ছিল। তবে সাপ্তাহিক ছুটির দিন উপলক্ষে আশানুরূপ পর্যটক এসেছে।’

কক্সবাজার টুরিস্ট পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার চৌধুরী মিজানুজ্জামান বলেন, ‘সাপ্তাহিক ছুটিতেই পর্যটকের চাপ একটু বেশি থাকে। এসব বিবেচনায় নিয়ে পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তায় টুরিস্ট পুলিশ সজাগ রয়েছে।’

পাঠকের মতামত

চট্টগ্রামে দুই কোটির চাঁদাবাজি, বৈছাআ নেতা নিজামের পদ স্থগিত

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন (বৈছাআ), চট্টগ্রাম মহানগর শাখার সদস্য সচিব নিজাম উদ্দিনের পদ ‘সংগঠনবিরোধী কর্মকাণ্ডের অভিযোগে’ ...

প্রবাসীর লাশ নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল ২ স্বজনের

চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার ভূজপুর ইউনিয়নের তালুকদার পাড়ার প্রবাসী মোহাম্মদ রুবেলের মরদেহ দেশে ফিরেছে একটি কফিনে ...

ছেলের বিয়েতে আ.লীগ নেতা, গ্রেফতারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের অবস্থান

চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগ নেতার ছেলের বিয়ে কেন্দ্র করে বোয়ালখালী উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান জাহেদুল হককে গ্রেফতারের ...

বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের ওপর পুলিশের লাঠিচার্জ, চট্টগ্রাম -কক্সবাজার সড়ক অবরোধ

চট্টগ্রামের পটিয়ায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীদের ওপর পুলিশের লাঠিচার্জে অন্তত ২৫ শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। এর ...