প্রকাশিত: ২২/০৬/২০২১ ৯:০৬ এএম

রোহিঙ্গাদের ওপরে গণহত্যা চালানো হলেও এই সমস্যা সমাধানে সমষ্টিগতভাবে আসিয়ান দেশগুলো ব্যর্থ হয়েছে। বর্তমান সামরিক সরকার ও বিদ্রোহী ন্যাশনাল ইউনিটি সরকারের (এনইউজি) মধ্যে দ্বন্দ্বের কারণে মিয়ানমারে বড় ধরনের একটি খেলার ক্ষেত্র তৈরি হচ্ছে বলে মনে করেন সাবেক পররাষ্ট্র সচিব ও নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির সিনিয়র ফেলো মো. শহীদুল হক।

সোমবার (২১ জুন) রাতে ‘কনফ্লিক অ্যান্ড রেজিলিয়েন্স রিসার্চ ইনস্টিটিউট কানাডা’ আয়োজিত এক ওয়েবিনারে শহীদুল হক বলেন, ‘মিয়ানমারে গৃহযুদ্ধের কারণে সেখানে খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে। এ বিষয়ে আসিয়ানের কোনও ভূমিকা রাখার আগ্রহ না থাকার কারণে দেশটি ব্যর্থ রাষ্ট্রের দিকে চালিত হচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘যদি রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান না হয়, তবে আসিয়ানের গুরুত্ব এবং ইন্দো-প্যাসিফিকে তাদের কেন্দ্রীয় ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠবে।’

সাবেক এই পররাষ্ট্র সচিব বলেন, ‘মিয়ানমারে সম্প্রতি অভ্যুত্থান সংঘটিত হওয়ার পর গণতন্ত্রের পক্ষে আসিয়ান সামগ্রিকভাবে কোনও পদক্ষেপ নিতে পারেনি। কারণ, থাইল্যান্ড, কম্বোডিয়া ও লাওস ক্ষমতার পালাবদলকে মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ বিষয় হিসেবে বিবেচনা করেছে।’

তিনি বলেন, ‘‘আসিয়ানের চেয়ার ব্রুনাই ‘সংলাপ, সবার সঙ্গে সম্প্রীতি ও স্বাভাবিক অবস্থায় ফেরত’ যাওয়া নিয়ে একটি বিবৃতি প্রকাশ করেছে এবং এপ্রিল মাসে জাকার্তায় আসিয়ান শীর্ষ সম্মেলনে পাঁচ দফা প্রস্তাব সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়।’’

মিয়ানমার আসিয়ানের এই প্রস্তাব তখন মেনে নিলেও পরবর্তীতে এ বিষয়ে কোনও পদক্ষেপ নেয়নি। বরং জেনারেল মিং আং হ্লাইং প্রকৃতপক্ষে আসিয়ানের আহ্বানকে উপেক্ষা করেছে এবং বলেছে, স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত আসিয়ান দূত মিয়ানমার সফর করতে পারবে না।অনুষ্ঠানে কানাডায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. খলিলুর রহমানসহ অনেকে বক্তব্য রাখেন।

পাঠকের মতামত

কঠোর নির্দেশনার পরও মন্ত্রী-এমপিদের স্বজনরা ছাড়ছে না ভোটের মাঠ

সরকারদলীয় এমপি-মন্ত্রীদের সন্তান, পরিবারের সদস্য ও নিকটাত্মীয়দের আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে অংশ না নিতে কঠোর নির্দেশনা ...