ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: ১৬/০৫/২০২৩ ২:৩৯ পিএম

কক্সবাজারের উখিয়ার পালংখালী ইউনিয়নের জামতলীতে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আবারও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে ৩২টি কাপড় ও কসমেটিকসের দোকান পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এ ঘটনায় প্রায় কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন জামতলী বাজার কমিটির সভাপতি জামাল উদ্দিন।

মঙ্গলবার (১৬ মে) ভোর সাড়ে ৬টার দিকে উখিয়ার ক্যাম্প-১৫ জামতলী বাজারে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি।

পালংখালী ক্যাম্প-১৫ জামতলী বাজার কমিটির সভাপতি জামাল উদ্দিন বলেন, ভোর ৬টার দিকে স্থানীয় শাহাবুদ্দিনের কাপড়ের দোকান থেকে আগুনের সূত্রপাত হয় বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন। আগুন দ্রুত চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। আগুন লাগার সংবাদে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিটসহ সেনাবাহিনী, এপিবিএন ও রোহিঙ্গা স্বেচ্ছাসেবকরা আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালায়। আধাঘন্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। ততক্ষণে কাপড় ও কসমেটিকসের দোকানসহ ৩২টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এতে প্রায় কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

৮ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের সহকারী পুলিশ সুপার ফারুক আহমদ জানান, আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। এঘটনায় পেছনের রহস্য উদঘাটনে কাজ করছে পুলিশ।

উখিয়া ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ইনচার্জ ইমদাদুল হক বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা হচ্ছে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কোটি ছাড়াতে পারে বলে ব্যবসায়ীরা দাবি করছেন। উখিয়ার বালুখালী ক্যাম্প এলাকার আশপাশের কিছুদিন পরপর কোনো না কোনো ক্যাম্পে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে আসছে। এসব ঘটনায় কখনও ৫০০, কখনও হাজার বসতি পু্ড়ে ছাই হয়েছে। নিহত হয়েছেন অনেক রোহিঙ্গা।

পাঠকের মতামত

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বছরে ২ কোটি বাঁশের চাহিদায় চট্টগ্রাম–কক্সবাজারে দ্রুত উজাড় হচ্ছে বাঁশবাগান

  একসময় দেশের বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে স্বাভাবিকভাবে বেড়ে ওঠা বাঁশবাগান এখন দ্রুত কমে আসছে। এ অবস্থায় ...

উখিয়ায় পরপর তিন ছেলেকে হত্যা, মায়ের কান্না থামানোর কেউ নেই

আব্দুল কুদ্দুস,কক্সবাজার কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার সমুদ্র উপকূলীয় জালিয়াপালং ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের একটি গ্রাম মনখালী। ...