প্রকাশিত: ১১/০১/২০২২ ৯:৩৮ পিএম

দ্রুত রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ঠেকাতে দেশি-বিদেশি এনজিওর ষড়যন্ত্র এবং রোহিঙ্গাদের অপরাধ দমনসহ সন্ত্রাসী কর্মে জড়িত সকল রোহিঙ্গাকে গ্রেপ্তারের দাবি অব্যাহত রেখেছে ‘আমরা কক্সবাজারবাসী’ নামের একটি সামাজিক সংগঠন। এ দাবি পূরণ না হলে কক্সবাজার জেলাব্যাপী লাগাতার আন্দোলন চলবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন আমরা কক্সবাজারবাসীর আয়োজিত মানববন্ধন ও প্রতিবাদ কর্মসূচির বক্তারা।

মঙ্গলবার (১১ জানুয়ারি) সকাল ১১টায় কক্সবাজারের উখিয়া স্টেশনে সংগঠনের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা এ হুঁশিয়ারি দেন।
সংগঠনের জেলা শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুজিবুল হকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য দেন সংগঠনের জেলা শাখার সহসভাপতি সমীর পাল, আনিসুল হক চৌধুরী, ফাতেমা আনকিস ডেইজি, সাধারণ সম্পাদক নাজিম উদ্দীন, সাংগঠনিক সম্পাদক সাংবাদিক মহসীন শেখ, সংগঠনের উখিয়া শাখার সভাপতি নুর মোহাম্মদ সিকদার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক আমানুল হক বাবুল, উখিয়া উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মুজিবুল হক আজাদ, সাংবাদিক রতন কান্তি দে, উখিয়া উপজেলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক হাসান জামাল রাজু, পালংখালী ১ নম্বর ওয়ার্ডের এমইউপি ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মেম্বার ফজলুল কাদের ভুট্টু, উখিয়া যুবলীগের সহসভাপতি অ্যাডভোকেট এ টি এম রশিদ, উখিয়া যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবুল হোসেন আবু, রাজা পালং ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার হেলাল উদ্দিন, উপজেলা আওয়ামী লীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক রিয়াজুল হক রিয়াজ প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, রোহিঙ্গারা মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশকালে ইয়াবা এবং অস্ত্র সাথে নিয়ে আসে। প্রথম থেকেই তারা এ দেশে প্রবেশ করে পরিবেশ ধ্বংস করে। জীবজন্তুর আবাসস্থল নষ্ট করে। এর পর থেকে রোহিঙ্গারা কক্সবাজার জেলাসহ সারা দেশে মাদক ও অস্ত্র পাচার, চাঁদাবাজি, অপহরণপূর্বক মুক্তিপণ আদায়, খুন, ডাকাতি, অস্ত্র তৈরি, অস্ত্র ব্যবসাসহ জঘন্য অপরাধ কর্মকাণ্ড সংঘটিত করে আসছে।

এমনকি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র বাংলাদেশে রোহিঙ্গারা জঙ্গি সংগঠন ‘আল ইয়াকিন ও আরশা’ তাদের নিজস্ব মুদ্রা চালু করেছে। যা এ অঞ্চলের মানুষের জন্য অশনিসংকেত। এ ছাড়াও স্থানীয়দেরও হত্যা ও ঘরবাড়িতে হামলাসহ নানা অপরাধ কর্মকাণ্ড সংঘটিত করছে। এতে পুরো জেলায় আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি ঘটেছে বলে দাবি বক্তাদের।
তাঁরা আরো বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা মানবতার খাতিরে অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গাদের এ দেশে স্থান দিয়েছেন। এতে এখানকার সর্বস্তরের মানুষেরও পূর্ণ সমর্থন ছিল। কিন্তু পরবর্তীতে সরকার রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরু করলেও দেশি-বিদেশি এনজিওর ষড়যন্ত্রের কারণে তা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। সর্বোপরি দেশি-বিদেশি এনজিওর পরোক্ষ ও প্রত্যক্ষ ষড়যন্ত্রের কারণে রোহিঙ্গারা অব্যাহত অপরাধ কর্মকাণ্ড সংঘটিত করে আসছে। দ্রুত এসব রোহিঙ্গাকে তাড়ানো সম্ভব না হলে বাংলাদেশ ফিলিস্তিনে রূপ নেবে বলেও মন্তব্য করেন বক্তারা।

বক্তারা অবিলম্বে অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

পাঠকের মতামত