প্রকাশিত: ১৯/১২/২০২১ ১২:৫১ পিএম

রফিকুল ইসলাম ::
বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমারের সামরিক জান্তা তোড়জোড় শুরু করেছে বলে খবর পাওয়া গেছে। এ লক্ষ্যে শুক্রবার দেশটির একাধিক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও আমলা সীমান্তের তুমব্রু লেটওয়া ও হ্লা ফু খং ট্রানজিট ক্যাম্প পরিদর্শন করেন।

সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার সকালে রাখাইন রাজধানী সিত্তুয়ে হয়ে সামরিক হেলিকপ্টার যোগে রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তনের জন্য নির্মিত ট্রানজিট পয়েন্ট দুটো পরিদর্শন করেন। বাংলাদেশের ঘুমধুম সীমান্তের বিপরীতে মিয়ানমারের তুমব্রু লেটওয়া ট্রানজিট পয়েন্ট ও নাফনদীর টেকনাফের বিপরীতে মিয়ানমারের হ্লা ফু খং ট্রানজিট পয়েন্টের অবস্থান।
এ দুটো ট্রানজিট পয়েন্ট দিয়ে ঘুমধুম হয়ে স্থল পথে ও টেকনাফের দমদমিয়া নদী ঘাট দিয়ে জলপথে রোহিঙ্গাদের নিজদেশ মিয়ানমার প্রত্যাবাসনের লক্ষ্য বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক চুক্তি রয়েছে।
সূত্র মতে, ট্রানজিট পয়েন্ট পরিদর্শনকালে দেশটির কেন্দ্রীয় সীমান্ত বিষয়ক মন্ত্রী লেফটেন্যান্ট জেনারেল তুন তুন নাউং, কেন্দ্রীয় সমাজ সেবা, ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রী ডঃ থেত খাইংসহ সামরিক – বেসামরিক কর্মকর্তারা ছাড়াও রাখাইন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী অং কিয়াও মিন সাথে ছিলেন। এ ব্যাপারে বাংলাদেশের রোহিঙ্গা শরণার্থী সংশ্লিষ্টদের বক্তব্য পাওয়া যায় নি।

প্রসঙ্গত, গত ফেব্রুয়ারিতে মিয়ানমারে নির্বাচিত সরকারকে হটিয়ে সামরিক জান্তা দেশটির ক্ষমতা দখলে নেয়।সেই থেকে প্রায় পুরো মিয়ানমার জুড়ে জান্তা বিরোধী বিক্ষোভ, সংগ্রাম চলছে। বিক্ষোভরত কয়েকশত সাধারণ নাগরিক ও রাজনৈতিক নেতাকর্মী নিহত হয়েছে। দেশটির অর্থনৈতিক, সামাজিক, রাজনৈতিক বেহাল অবস্থা ও রোহিঙ্গা সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক মহলের উদ্বেগ রয়েছে। মূলত সেটি হালকা করতে এটি একটি কৌশল বলে আন্তর্জাতিক মহলের ধারণা।
২০১৭ সালে সামরিক বাহিনী উত্তর রাখাইন অঞ্চলের রোহিঙ্গাদের উপর চরম নৃশংসতার আশ্রয় নিয়ে দমনাভিযান চালায়। এ সময় প্রায় ৮ লক্ষ রোহিঙ্গা সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে। ইতিপূর্বে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়ে আছে আরো অন্তত ৪ লক্ষ রোহিঙ্গা।
এসব রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমার বাংলাদেশের সাথে একাধিক দ্বিপাক্ষিক চুক্তি করে। চুক্তি অনুযায়ী পর পর দুইবার প্রত্যাবাসনের দিনক্ষণ ঠিক করলেও চুক্তির শর্তাবলি যথাযথ বাস্তবায়ন না করার অজুহাতে কোন রোহিঙ্গা স্বেচ্ছায় মিয়ানমার ফিরে যেতে রাজী না হওয়ায় ঐ উদ্যেগ বাস্তবায়ন হয়নি

পাঠকের মতামত

২২ টি মোবাইল টীমের মাধ্যমে উখিয়ায় স্বাস্থ্য সেবা কার্যক্রম পরিচালনা করে যাচ্ছে প্রান্তিক

তাপমাত্রা প্রায় ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যে তাপমাত্রায় মানুষ ঘর থেকে বের হতে ভয় পায়। সেখানে ...

টেকনাফে ঘূর্ণিঝড় মোখায় ক্ষতিগ্রস্থ হতদরিদ্র পরিবার “আয়েশা” পেলেন মাথা গোছার নতুন ঠাঁই !

কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার সাবরাং ইউনিয়ন এ ঘূর্ণিঝড় ‘মোখায়’ ক্ষতিগ্রস্ত হতদরিদ্র পরিবারের কাছে তুলে দিয়েছেন সেমিপাকা ...