প্রকাশিত: ২৮/১১/২০১৯ ১২:৫৮ পিএম

মিয়ানমারে নিযুক্ত ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূত রোহিঙ্গা গণহত্যার বিচারের সুচির নেতৃত্ব দেওয়ার ঘোষণায় শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।

ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূত রোনেন গিলোর আন্তর্জাতিক বিচারিক আদালতে (আইসিজে) মিয়ানমারের নেতৃত্বের সমর্থনে টুইট করেন এবং এটি প্রকাশের কিছুক্ষণ পর টুইটগুলি মুছে ফেলেন।

রোহিঙ্গা মুসলিম সংখ্যালঘু গণহত্যার জন্য নেদারল্যান্ডসের আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার আদালতে (আইসিজে) দেশটির বিরুদ্ধে একটি মামলায় সম্প্রতি মিয়ানমারে ইসরাইলের রাষ্ট্রদূত রোনেন গিলোর রাষ্ট্রপ্রধানদের পক্ষে তার দেশের জনসমর্থন আশা করেছেন।

কিছুদিন আগে গিলোর আর একটি টুইট করেন।

“একটি ভাল রায় পেতে উৎসাহ দিচ্ছি এবং গুডলাক!” তবে তিনি এ টুইট করার কিছুক্ষণ পরেই মুছে ফেলেন।

তারপর বুধবার রাষ্ট্রদূত রোনেন গিলোর এ ইস্যুতে আর একটি টুইট করেন এবং এটি মুছে ফেলেন। এবার তিনি মিয়ানমারের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের কেন্দ্রীয় সংসদ সদস্যদের সঙ্গে বৈঠকে তাঁর ছবিও টুইট করেন। উল্লেখ করেন যে বিষয়টি আলাপচারিতায় উঠে এসেছে আবারও। আমি এ বিচারে মিয়ানমারকে আবারও গুডলাক জানিয়েছি।

মিয়ানমারে ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূত রোনেন গিলোরের কেন তার করা টুইট মুছে ফেললেন তার কোনো জবাব দেননি।

ইসরায়েল মিয়ানমারে অস্ত্র বিক্রি করেই যাচ্ছে, এমনকি মিয়ানমারের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রকাশের পরেও। দেশটিকে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও যুক্তরাষ্ট্র অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা রাখার পরে ইসরায়েল এ তা অব্যাহত রেখেছে।

২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে ইসরায়েলের উচ্চ আদালত মিয়ানমারে অস্ত্র বিক্রির বিরুদ্ধে রায় দিয়েছিল। তবে সিদ্ধান্তটি গোপনীয় ছিল কারণ মামলার বিচারপতিরা ইওরাম ডানজিগার, আনাত ব্যারন এবং ডেভিড মিন্টজ এই অস্বাভাবিক পদক্ষেপ নিয়েছিলেন বলে দেশটি মনে করেছিল। ইসরায়েল সরকারের অনুরোধে এই রায়কে জোর করে চাপিয়ে রাখা হয়েছিল।

এরপর থেকে ইসরায়েল দাবি করে আসছিল যে তারা মিয়ামারের কাছে অস্ত্র বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছে। তা সত্ত্বেও মিয়ানমারের প্রতিনিধিদের ইসরায়েলের একটি অস্ত্র মেলায় দেখা যায়। পরবর্তীতে ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রক ঘোষণা করে যে তারা এই জাতীয় প্রদর্শনীতে অংশ নিতে তাদের দেশে মিয়ানমারের যাওয়া নিষিদ্ধ করেছে।

অস্ত্র বিক্রির বিষয়টি ছাড়াই মিয়ানমার ও ইসরায়েল মধ্যে সম্পর্ক বেশ কয়েকটি বেসামরিক স্তরে অব্যাহত রয়েছে। ২০১৮ সালের মে মাসে প্রকাশিত এক রিপোর্টে দেখা গেছে, ইসরায়েল মিয়ানমারের সাথে একটি হলোকাস্ট ( ইহুদি গণহত্যা) পাঠ্যক্রম এবং বর্ণবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের পাঠ্যক্রমের উপকরণ অন্তর্ভুক্ত করার জন্য শিক্ষামূলক সহযোগিতা চুক্তি সম্পাদন করেছে। তবে ইসরায়েল সরকার সম্প্রতি বলেছে শিক্ষাগত সহযোগিতা এই চুক্তি বাস্তবায়ন করছে না।

পাঠকের মতামত

বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য ‘সুখবর’ দিল মালয়েশিয়া সরকার

মালয়েশিয়ায় কর্মসংস্থানের জন্য বাংলাদেশ ওভারসিস এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড সার্ভিসেস লিমিটেড (বোয়েসেল)-এর মাধ্যমে বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য নতুন ...

ভারতে আশ্রিত আওয়ামী নেতাদের নিয়ে ক্ষোভে ফুঁসছেন মমতা, পশ্চিমবঙ্গ ছাড়ার হুঁশিয়ারি

বাংলাদেশে দীর্ঘদিন ধরে ফ্যাসিবাদী শাসন চালিয়ে দেশ ছাড়তে বাধ্য হওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ...

মিয়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলিমদের নির্যাতন করছে আরাকান আর্মি: এইচআরডব্লিউ

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা মুসলিম জনগোষ্ঠীর ওপর দমনমূলক নীতি ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে জাতিগত ...

রয়টার্সের প্রতিবেদনমিয়ানমারের বিরল খনিজে নজর যুক্তরাষ্ট্রের, বিদ্রোহীদের পক্ষে টানছে ট্রাম্প প্রশাসন

মিয়ানমারের বিরল খনিজ সম্পদের দিকে চোখ পড়েছে যুক্তরাষ্ট্রের। মিয়ানমারের বিরল খনিজে চীনের কর্তৃত্ব সরিয়ে নিতে ...

মিয়ানমার জান্তা ঘনিষ্ঠদের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার

মিয়ানমারের সামরিক জান্তাঘনিষ্ঠ চার ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন অর্থ ...