ডেস্ক রিপোর্ট :: আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়ার কারণে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি বেড়েছে বিশ্ব দরবারে। রোহিঙ্গা সংকটের বিষয়ে বিশ্ব সম্প্রদায়ের সমর্থন বাংলাদেশের পক্ষে। সৌদি আরব, যুক্তরাজ্য ও অস্ট্রেলিয়া সফর শেষে বুধবার বিকেলে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাস ভবন গণভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যরা রোহিঙ্গাদের পরিস্থিতি সরেজমিনে দেখে গেছে। আমার সঙ্গে তারা দেখা করেছে। তাদের সঙ্গে আমার আলোচনা হয়েছে। তারাও চায় রোহিঙ্গারা দেশে ফিরে যাক। মিয়ানমার যেন তাদের দেশে ফিরিয়ে নেয় এ জন্য তারা কাজ করবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সবাই আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করছে রোহিঙ্গাদের জন্য। স্থানীয় লোকজনও অত্যন্ত আন্তরিকতার সঙ্গে দেখছে রোহিঙ্গাদের। সেখানে রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে কফি আনান কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়ন এবং প্রত্যাবর্তনের বিষয়ে গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। এই সফরকে আমার সরকারের কূটনৈতিক সাফল্য বলে মনে করি। সফরে নরেন্দ্র মোদি, জাস্টিন ট্রুডোসহ বিভিন্ন দেশের সরকার প্রধানের সঙ্গে বৈঠকেও বিষয়টি নিয়ে আলোচনার কথা উল্লেখ করেন শেখ হাসিনা।
নারীর ক্ষমতায়ন প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সংবিধানে নারীর ক্ষমতায়নের কথা উল্লেখ করেছেন। নারীর ক্ষমতায়নে বাংলাদেশ এখন অনেক এগিয়ে। অ্যামেরিকা অনেক উন্নত দেশ তারা কিন্তু একজন নারীকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত করতে পারেনি। তিনি বলেন, বাংলাদেশে প্রধানমন্ত্রী, বিরোধী দলীয় নেতা, সংসদের স্পিকার, সংসদ উপনেতা সবাই নারী।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রথম যখন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে মেয়েদের জন্য ৩০ ভাগ কোটার সুযোগ দেয়া হয়, তখন ৪৫ হাজার মেয়ে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অংশ নিয়েছিল। তিনি বলেন, যে শ্বশুর ভাসুর এক সময় বাধা দিয়েছিল সেই শ্বশুর ভাসুরকে কুপি-বাতি নিয়ে এবং পাট খড়িতে আগুন ধরিয়ে দ্বারে দ্বারে ভোট চাইতে দেখা গেছে। তিনি বলেন, একটু সাহস করে এগিয়ে গেলেই নারীরাও যে পারে তা প্রমাণ হয়। এ জন্য আত্মবিশ্বাস থাকা প্রয়োজন।
৮১ সালে দেশে এসে যখন রাজনীতি শুরু করি তখন জামায়াতসহ অনেকেই বলেছে বাংলাদেশে কখনও নারী প্রধানমন্ত্রী হবে না। কিন্তু পরে তারাই খালেদা জিয়ার প্রধানমন্ত্রী হওয়া সমর্থন করেছিল। পরে তারা এক সঙ্গে জোটও করেছে।
পাঠকের মতামত