প্রকাশিত: ২৯/০৩/২০১৮ ১০:৪৮ পিএম , আপডেট: ১৭/০৮/২০১৮ ৪:৫০ এএম

বিডি২৪লাইভ::
নাগরিকত্ব হারাতে যাচ্ছেন ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য আসামের প্রায় ৫০ লাখ বাসিন্দা । সরকারের উচ্চ পদস্থ একজন কর্মকর্তা বলছেন, ১৯৭১ সালের আগে ওই বাসিন্দাদের পরিবার যেখানে বসবাস করতো তারা সেগুলোর নথিপত্র দিতে ব্যর্থ হয়েছে।

আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, দেশটির ন্যাশনাল রেজিস্টার অব সিটিজেনস (এনআরসি)’র অন্তর্ভুক্ত করতে নাগরিকদের একটি প্রাথমিক তালিকা করছে আসাম সরকার। কর্তৃপক্ষ বলছে, গত ৬০ বছরের মধ্যে প্রথমবার বাংলাদেশ থেকে আসা অনথিভুক্ত অভিবাসীদের শনাক্ত করার লক্ষ্যে প্রক্রিয়াটি আপডেট করা হচ্ছে।

তবে এ প্রক্রিয়ার নিন্দা জানিয়ে সমালোচকরা বলছে, এই পদক্ষেপে মিয়ানমারে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলিমদের মতো আসামেও মুসলিম নাগরিক এবং বাংলাদেশ থেকে আসা গৃহহীনরা হুমকিতে রয়েছেন। আসামে ৩ কোটি ২০ লাখের বেশি মানুষের বাস। তাদের মধ্যে এক তৃতীয়াংশই মুসলমান।

আসামের এনআরসি হালনাগাদের দায়িত্ব পালনকারী কর্মকর্তা প্রতিক হাজেলা গতকাল বুধবার আল জাজিরাকে জানান, আসামের ৪৫ লাখ মানুষ সঠিক তথ্য দিতে ব্যর্থ হয়েছে। তাই দ্বিতীয় দফায় এই তালিকা করা হচ্ছে।

বুধবার রাজ্যের অর্থ ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী হেমন্ত বিশ্ব শর্মা জানান, এনআরসি’র নাগরিকত্ব তালিকায় যাদের নাম থাকবে না তাদের আসাম ছাড়তে হবে।

তিনি আরও বলেন, ‘খসড়া এই তালিকা প্রকাশের আগে সীমান্তে ৪০ হাজার পুলিশ ও আধা-সামরিক বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হবে। আমরা সব ধরণের ব্যবস্থাই নিয়েছি’। তবে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত হিন্দুরা ভারতে থাকার অনুমতি পাবেন বলে জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

জাতীয়তাবাদী ভারতীয় জনতা পার্টির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ২০১৬ সালে আসাম থেকে ক্ষমতায় আসেন। সে সময় তিনি এনআরসিতে তালিকাভুক্ত না এমন ব্যক্তিকে বহিষ্কারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।

আসামে অবৈধ অধিবাসীদের বিতাড়ন প্রক্রিয়া শুরুর ধারাবাহিকতায় গত ডিসেম্বরে এক কোটি ৯০ লাখ মানুষের একটি খসড়া তালিকা প্রকাশ করা হয়। তথ্য ও কাগজপত্র যাচাই-বাছাই শেষে মে মাসের মধ্যে একটি হালনাগাদ তালিকা প্রকাশের কথা রয়েছে। কিন্তু পঞ্চায়েত নির্বাচনের জন্য এই তারিখ পিছিয়ে ৩০ জুন পর্যন্ত নির্ধারণ করেছে সুপ্রিম কোর্ট।

পাঠকের মতামত