প্রকাশিত: ১১/০৮/২০১৮ ৭:৫৩ এএম , আপডেট: ১৬/০৮/২০১৮ ১১:৩৩ পিএম

উখিয়া নিউজ ডেস্ক::

কক্সবাজারে বসবাসরত রোহিঙ্গারা তাদের প্রাথমিক প্রত্যাবাসনের জন্য নিজেরাই যাচাইকরণ ফরম পূরণ করবে বলে সম্মত হয়েছে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার। গতকাল শুক্রবার নেপিডোতে দুদেশের মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়। উভয় মন্ত্রীই বন্ধুসুলভ প্রতিবেশী মনোভাব নিয়ে রাখাইন রাজ্যের বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা ইস্যু সমাধানে তাদের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছেন। মিয়ানমার স্টেট কাউন্সিলরের কার্যালয় জানিয়েছে, সিদ্ধান্ত অনুযায়ী রোহিঙ্গাদের মধ্যে যাচাইকরণ ফর্ম বিতরণ করা হবে এবং তারা এগুলো পূরণ করবে। স্বাক্ষর, আঙুলের ছাপ এবং ছবি দিয়ে ফরম পূরণ করে রোহিঙ্গারা তা স্বেচ্ছায় ফিরিয়ে দেবে এবং মিয়ানমারের যাচাইকরণ প্রক্রিয়ায় সহযোগিতা করবে। একই সঙ্গে রাখাইন রাজ্যে সেনাবাহিনীর নির্যাতনে কক্সবাজারে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের স্বেচ্ছায়, নিরাপদে এবং মর্যাদার সঙ্গে প্রত্যাবাসনে একমত হয়েছে দুই দেশ।
বৈঠকে যৌথভাবে সভাপতিত্ব করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলী এবং মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সিলর কার্যালয় মন্ত্রণালয়ের ইউনিয়নমন্ত্রী কিয়াও থিন সুই। ইউনিয়নমন্ত্রী থিন সুই ও ড. উইন মিয়াট আয়, সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এবং উভয় দেশের প্রতিনিধিরা বৈঠকে যোগ দেন।
মিয়ানমার দাবি করেছে, বর্তমানে কক্সবাজারে বসবাস করা রোহিঙ্গাদের আইডিকার্ডের ভাষা সংশোধন করতে সম্মত হয়েছে বাংলাদেশ। এ বিষয়ে আলোচনা সহজ করার জন্য মন্ত্রীদের মাঝে একটি হটলাইন স্থাপন করা হয়। এ ছাড়া রাখাইন রাজ্য থেকে বাস্তুচ্যুত ব্যক্তিদের প্রত্যাবাসন বিষয়ে ২০১৭ সালের নভেম্বরে মিয়ানমার ও বাংলাদেশ সরকারের মাঝে যে দ্বিপক্ষীয় চুক্তি হয়েছিল তার বাস্তবায়ন নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়।
বৈঠকে চুক্তি মেনে নিয়ে মিয়ানমার দুটি অভ্যর্থনাকেন্দ্র এবং একটি ট্রানজিট শিবির তৈরি করেছে। বাংলাদেশকে পাঁচটি ট্রানজিট শিবির তৈরির অগ্রগতি সম্পর্কে জানানো হয়েছে। এসবের মধ্যে একটি সম্পন্ন হয়েছে, আরেকটির নির্মাণ চলছে এবং বাকি তিনটি তৈরি করা হবে। উভয়পক্ষ গোয়েন্দা তথ্যবিনিময়, সীমান্তরক্ষী কর্মকর্তাদের মাঝে নিবিড় সহযোগিতা ও অধিক সমন্বয় করে সীমান্ত টহলের মাধ্যমে সন্ত্রাস প্রতিরোধ ও মাদক চোরাচালানের বিরুদ্ধে লড়াই জোরদার করার বিষয়ে একমত হয়। একই সঙ্গে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার আন্তর্জাতিক সীমান্তের পাশে বর্তমানে বসবাসকারী রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের বিষয়েও সম্মত হয়। পাশাপাশি বিপি-৩৪ এবং বিপি-৩৫ সীমান্ত পিলারে একটি যৌথ পরিদর্শনের বিষয়ে একমত হয়।

পাঠকের মতামত

২২ টি মোবাইল টীমের মাধ্যমে উখিয়ায় স্বাস্থ্য সেবা কার্যক্রম পরিচালনা করে যাচ্ছে প্রান্তিক

তাপমাত্রা প্রায় ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যে তাপমাত্রায় মানুষ ঘর থেকে বের হতে ভয় পায়। সেখানে ...

টেকনাফে ঘূর্ণিঝড় মোখায় ক্ষতিগ্রস্থ হতদরিদ্র পরিবার “আয়েশা” পেলেন মাথা গোছার নতুন ঠাঁই !

কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার সাবরাং ইউনিয়ন এ ঘূর্ণিঝড় ‘মোখায়’ ক্ষতিগ্রস্ত হতদরিদ্র পরিবারের কাছে তুলে দিয়েছেন সেমিপাকা ...