প্রকাশিত: ১৫/১১/২০১৭ ৮:০৪ এএম , আপডেট: ১৭/০৮/২০১৮ ১১:০৬ এএম

আন্তর্জাতিক ডেস্ক::

সংকটের ভয়াবহতা দেখে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গারা জাতিগত নিধনের শিকার হয়েছেন বলে মনে করছে ব্রিটেন।

মঙ্গলবার ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে’র এক মুখপাত্র বলেন, রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের উপর চলমান অমানবিক নিপীড়ন দেখে আমরা হতভম্ব। এটি একটি বড় ধরনের মানবিক সংকট। যার সৃষ্টি করেছে মিয়ানমার সেনাবাহিনী এবং সংকট দেখে মনে হচ্ছে সেখানে জাতিগত নিধন হয়েছে বলে মনে হচ্ছে।

এ সময় মিয়ানমারে সহায়তাদানকারী সংস্থাগুলোর প্রবেশ নিশ্চিত করতে দেশটির সরকারের প্রতি আহ্বান জানায় ডাউনিং স্ট্রিট।

নতুন করে রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের উপর নিপীড়নের অভিযোগ উঠলে মিয়ানমার সেনাবাহিনী দাবি করে তারা কোন সাধারণ মানুষকে টার্গেট করছে না, তাদের টার্গেট শুধু সন্ত্রাসীরা।

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর ওই মুখপাত্র আরো বলেন, ‘বার্মিজ কর্তৃপক্ষকে রাখাইন রাজ্যে চলমান নিপীড়ন বন্ধ করতে হবে এবং সেখানে দুর্গত মানুষদের সহায়তা করতে ইউকে এইডের অবাধ প্রবেশ নিশ্চিত করতে হবে।

রোহিঙ্গাদের উপর মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর নিপীড়নকে গণহত্যার পাঠ্য বইয়ের দৃষ্টান্ত হিসেবে উল্লেখ করে জাতিসংঘ। এরপর পরই রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর সমালোচনা করলেন টেরেসা মে।

রোহিঙ্গা মুসলিম অধ্যুষিত রাখাইন রাজ্যে গণমাধ্যমের প্রবেশ একেবারেই নিষিদ্ধ করেছে মিয়ানমার সরকার। কিন্তু সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে বিবিসি’র দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া প্রতিনিধি জোনাথন হেডসহ কয়েকজন প্রতিনিধিকে কঠোর প্রহরায় রোহিঙ্গাদের কয়েকটি গ্রাম দেখাতে নিয়ে যায় দেশটির সেনাসদস্যরা।রোহিঙ্গা-মিয়ানমার-মিয়ানমারের সেনাবাহিনী

সেখানেই সেনাবাহিনীর অসতর্কতায় হুট করে সাংবাদিক দলটি দেখে ফেলে সরকার সমর্থক কয়েকজন ব্যক্তি সশস্ত্র পুলিশের সামনেই রোহিঙ্গাদের একটি গ্রামে আগুন লাগাতে ও লুটপাট করতে।

জোনাথন হেডের জিজ্ঞাসায় তাদের একজন স্বীকারও করে সে স্থানীয় বৌদ্ধ জনগোষ্ঠীর।

গত ২৫ আগস্ট থেকে শুরু হওয়া সেনাবাহিনীর নির্যাতন-সহিংসতা থেকে বাঁচতে পালিয়ে বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নিয়েছে ছয় লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা। তাদের কারও গায়ে রয়েছে বুলেটের গর্ত, কারও গায়ে অন্য নির্যাতনের ক্ষত।

রোহিঙ্গাদের অভিযোগ, বর্মী সেনাবাহিনী সংখ্যাগরিষ্ঠ বৌদ্ধ জনগোষ্ঠীর স্থানীয় উগ্রপন্থী দলগুলোর সহায়তা নিয়ে রাখাইনের নিরীহ জনগোষ্ঠীর ওপর হামলা চালাচ্ছে, বাড়িঘর পুড়িয়ে দিচ্ছে, হত্যা করছে।

সদ্যজাত শিশুদেরকেও রেহাই দিচ্ছে না তারা। ধারণ ক্ষমতার অতিরিক্ত মানুষ নিয়ে কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে চলছে মৌলিক চাহিদা পূরণের অবিরাম সংগ্রাম।

পাঠকের মতামত

বৈশ্বিক অনুদান কমায় রোহিঙ্গা শিশুদের পড়ালেখার ক্ষতি হচ্ছে

বাংলাদেশের রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে শিশু শিক্ষার পরিস্থিতি আরও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান ...

যে কারনে নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত ট্রাম্প

এবার ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি চুক্তির জন্য ট্রাম্পকে নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত করা হয়েছে। পাবলিকান আইনপ্রণেতা ...

ট্রাম্পের অনুরোধে ইরানকে যুদ্ধবিরতিতে রাজি করিয়েছে কাতার

ইসরায়েল-ইরান সংঘাতে যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে তেহরানকে রাজি করাতে মধ্যস্থতা করেছেন কাতারের প্রধানমন্ত্রী। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ...