প্রকাশিত: ১৬/০৬/২০২০ ১২:৪২ পিএম
পৃথিবীতে কোনো কিছুই চিরস্থায়ী নয়। তবে এমন অনেক জিনিসের স্থায়িত্ব হয় স্বাভাবিক সময়ের চেয়েও খানিকটা বেশি। তাই সবার কাছেই সেই বিষয়গুলো বিস্ময়কর হয়ে রয়।

এমনই এক বিস্ময় সৃষ্টি করেছে একটি ফায়ার স্টেশনের ৬০ ওয়াট ক্ষমতার বাল্ব। এই ফায়ার স্টেশনটি অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্রের উত্তর ক্যালির্ফোনিয়ায়। টানা ১২০ বছর ঘরে আলো ছড়াচ্ছে এই বাল্বটি। গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ড অনুযায়ী এটিই এ যাবতকালের সবচেয়ে পুরাতন বাল্ব।

১২০ বছরের পুরনো বাল্ব

১২০ বছরের পুরনো বাল্ব

এর আগে এবং পরে এখনো কোনো বাল্ব এতো বছর টেকেনি। ১৯০১ সালে উত্তর ক্যালির্ফোনিয়ার রিভারমোরের একটি ফায়ার স্টেশনে ৬০ ওয়াট ক্ষমতার এই বাল্বটি লাগানো হয়। ১৯০৩ সালে কিছু সময়ের জন্য, ১৯৩৭ সালে এক সপ্তাহের জন্য বাল্বটি বন্ধ ছিল। এরপর ১৯৩৭ থেকে ১৯৭৬ সাল পর্যন্ত বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে কিছুদিন বন্ধ ছিল বাল্বটি।

এছাড়া উৎপাদনের পর থেকে কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া বিরতিহীনভাবে এটা আলো দিয়ে আসছে। এতো দীর্ঘ সময় ধরে কীভাবে এটি জ্বলছে বিজ্ঞানীরা এর কোনো ব্যাখ্যা দিতে পারেনি। এই বাল্বটি নিয়ে নানা জল্পনা কল্পনাও তৈরি হয়েছে শহরে। তবে তার কোনো সত্যতা পায়নি কেউ।

 

অনেকে একে ভুতুড়ে বাতিও বলে থাকে। শহরের লাইট বাল্ব কমিটির চেয়ারম্যান লেন ওয়েনসের মতে, কেউ জানে না কীভাবে এটা সম্ভব। এটি একটি ৬০ ওয়াটের বাল্ব কিন্তু প্রায় চার ওয়াট বিদ্যুতেও জ্বলে। আজো এই বাল্ব জ্বলার রহস্য কেউ জানে না।

এই বাল্বটি বিজ্ঞানীরা বেশ কয়েকবারই পরীক্ষা করেছেন। তবে অন্যান্য বাল্বের থেকে তেমন কোনো পার্থক্য খুঁজে পাননি। অন্যসব বাল্বের মতোই একই জিনিস দিয়ে তৈরি করা এটি। তারপরও কেন এবং কীভাবে এতোদিন যাবত এটি টিকে আছে, সে প্রশ্ন সবার মনেই। সবার কাছেই বিস্ময় সৃষ্টি করেছে শতবর্ষী এই বাতিটি।

পাঠকের মতামত

পর্যটন সম্ভাবনায় ভরপুর মহেশখালীর ধুইল্যাজুড়ি পাহাড়

বাংলাদেশের একমাত্র পাহাড়ি দ্বীপ মহেশখালীর শাপলাপুর ইউনিয়নের ‘ধুইল্যাজুড়ি পাহাড়ি ঢালা’ পর্যটন সম্ভাবনায় ভরপুর। সুউচ্চ পাহাড়, ...

একসাথে পাহাড় ও সমুদ্র দেখতে চাইলে ঘুরে আসুন পাটুয়ারটেক সমুদ্র সৈকত

ইমতিয়াজ মাহমুদ ইমন দেশের ভ্রমণপিপাসু অনেকের প্রথম পছন্দের জায়গা হল কক্সবাজার সমুদ্রসৈকত। দেশের দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকতের ...