যে রাতে বিয়ে সেই রাতেই সন্তানের মা হলেন এক নারী। জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার ওই বিধবা নারীর সঙ্গে তার ভাশুরের বিয়ের দিন ধার্য ছিল। কিন্তু বিয়ের আনুষ্ঠানিকতার পূর্বেই ওইদিন সন্ধ্যায় এই হবু স্ত্রীর প্রসব যন্ত্রণা প্রবল হয়ে উঠলে তাকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে ওই রাতেই পুত্র সন্তান জন্ম দেন তিনি। এদিকে এ বিষয়টি নিয়ে গোটা সুনামগঞ্জ জেলাজুড়ে সমালোচনা ও চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার চার সন্তানের জননী এই নারীর স্বামী ৯ বছর আগে মারা যান। এরপর তিনি তার ভাশুর ধন মিয়ার সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। এ সম্পর্ক চলাকালে তিনি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে ভাশুর ধন মিয়াকে বিয়ের জন্য চাপ সৃষ্টি করেন। কিন্তু বিয়ের প্রস্তাব বারবার কৌশলে পাশ কাটিয়ে যেতে থাকেন ধন মিয়া। এক পর্যায়ে অনাগত সন্তানের পিতৃপরিচয় ও স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবিতে তিনি গত বুধবার অপর ভাশুর তৈয়ব আলীর বসতবাড়িতে গ্রাম্য সালিশ ডাকেন। সালিশে ঠিক করা হয় বৃহস্পতিবার রাতে এই বিধবা গৃহবধূর সঙ্গে ভাশুরের বিয়ে হবে। কিন্তু ওইদিন সন্ধ্যায় তার প্রসব যন্ত্রণা প্রবল হয়ে উঠলে সালিশের চাপের মুখে হবু স্ত্রীকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন ধন মিয়া। পরে ওই রাতেই এক পুত্র সন্তান জন্ম দেন এই নারী।
হাসপাতাল সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার রাতে পুত্রসন্তান ভূমিষ্ঠের পরদিন শুক্রবার ওই নারী নবজাতককে নিয়ে হাসপাতাল ছেড়ে গ্রামের বাড়ি চলে যান।
এ ব্যাপারে দোয়ারাবাজারের নরসিংহপুর ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান নুর উদ্দিন শনিবার বলেন, 'মা ও নবজাতক আপাতত বাড়িতে আছেন। তারা দুজনই সুস্থ আছে। পরে আবার দিনক্ষণ ঠিক করে ধন মিয়ার সঙ্গে বিয়ের কাজ সম্পন্ন করে দেওয়া হবে।'
এদিকে নবজাতকটির বাবা ধন মিয়া এ প্রসঙ্গে বলেন, 'ও ভাই বড় ফেরেশানিত আছি। এইটা লইয়া আর সংবাদ প্রকাশ করইন না। যা অইবার অই গেছে।'