প্রকাশিত: ১৪/০৪/২০২০ ৭:৩৯ পিএম

শত বছরের পুরনো চিকিৎসা পদ্ধতি কনভালসেন্টস প্লাজমা থেরাপিতে ইরানে করোনাভাইরাসে সংক্রমিত রোগে মৃত্যুর হার ৪০ শতাংশ কমেছে। করোনায় আক্রান্ত হয়ে সুস্থ হয়ে যাওয়ার পর ব্যক্তির শরীরের রক্তরস নিয়ে গুরুতর অসুস্থ ব্যক্তির শরীরে সেই রক্তরস প্রয়োগ করা হয়। আর এটিই হলো কনভালসেন্টস প্লাজমা থেরাপি।

আজ মঙ্গলবার ইরানি সংবাদমাধ্যম তেহরান টাইমসের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।

ইরানের প্লাজমা থেরাপি প্রকল্পের নেতৃত্ব দেওয়া ডা. হাসান আবোল কাসেমি বলেন, আজ থেকে ৪০ দিন আগে আমরা প্লাজমা থেরাপি শুরু করেছিলাম। এখন পর্যন্ত তিনশ ব্যক্তি প্লাজমা দান করেছেন। এই রক্তরস করোনায় আক্রান্ত রোগীদের শরীরে প্রয়োগ করা হয়েছে। এর ফলে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর হার ৪০ শতাংশ কমেছে।

তিনি বলেন, করোনার এই মহামারি যখন শুরু হয়েছিল, এটিকে মোকাবিলা করার জন্য তখন আমরা কেউই প্রস্তুত ছিলাম না। কিন্তু চিকিৎসা কর্মীদের অগ্রাধিকার হচ্ছে গুরুতর অসুস্থ রোগীদের জীবন বাঁচানো। তিনি জানান, চিকিৎসা কর্মীরাই এই পদ্ধতিটি প্রয়োগ করেছেন।

হাসান আবোল কাসেমি জানান, যুক্তরাষ্ট্র ইরানের তিন সপ্তাহ পরে প্লাজমা থেরাপি নিয়ে কাজ শুরু করে। পরে ফ্রান্স, জার্মানি, নেদারল্যান্ডস ও আরও কিছু ইউরোপীয় দেশ কাজ শুরু করে। তারা এই অভিজ্ঞতা শেয়ার করে নেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছে।

১৯১৮ সালে ঘটে যাওয়া স্প্যানিশ ফ্লু এবং ১৯৩০ সালের হামের মহামারিতে কনভালসেন্ট রক্তরসের প্রয়োগে সাফল্য পাওয়া গিয়েছিল। পরবর্তীতে ২০০৩ সালের সার্স-কভিড, ২০০৯ সালের ইনফ্লুয়েঞ্জা , সর্বশেষ ২০১৪ সালের ইবোলা মহামারিতেও কনভালসেন্ট রক্তরস প্রয়োগে সাফল্য পাওয়া গিয়েছে। আর এবার করোনার মহামারিতেও এই থেরাপি কাজে দিচ্ছে।

সফটওয়ার সল্যুশন কোম্পানি ডারাক্সের পরিসংখ্যানভিত্তিক ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্য মতে, ইরানে ৭৩ হাজার ৩০৩ জন মানুষের শরীরে পাওয়া যায় করোনার উপস্থিতি। এর মধ্যে চার হাজার ৫৮৫ জন মারা যান।

পাঠকের মতামত

রোহিঙ্গাদের ৩০ মিলিয়ন ডলারের বেশি সহায়তা দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য জনসংখ্যা, শরণার্থী ও অভিবাসন বিভাগ এবং ইউএসএআইডিয়ের মাধ্যমে কক্সবাজার, ভাসানচর এ অঞ্চলের ...