পালংখালী ইউনিয়নে চার দিনব্যাপী নাগরিক সাংবাদিকতা ও প্রচারণা বিষয়ক এক ব্যতিক্রমী প্রশিক্ষণ কর্মশালায় অংশগ্রহণ করল ৩৩ জন যুব নারী-পুরুষ। ডিএসকে-কেএনএইচ-বিএমজেড প্রকল্পের আওতায় আয়োজিত এ কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয় ১২ থেকে ১৫ মে ২০২৫ পর্যন্ত পালংখালী ইউনিয়নের MSC কার্যালয়ে। "Training on Propagation and Citizen Journalism for Youth Change Agents" শীর্ষক এ প্রশিক্ষণ কর্মশালার মূল লক্ষ্য ছিল যুব সমাজকে তথ্যভিত্তিক সচেতনতা ও সামাজিক পরিবর্তনের কার্যকর হাতিয়ার হিসেবে প্রস্তুত করা। প্রশিক্ষণের প্রথম দিনে অংশগ্রহণকারীদের সামনে নাগরিক সাংবাদিকতার গুরুত্ব তুলে ধরেন দৈনিক সমুদ্র কণ্ঠের সম্পাদক ও প্রকাশক অধ্যাপক মঈনুল হাসান পলাশ। তিনি তথ্য যাচাই, ভুয়া সংবাদের বিভ্রান্তি প্রতিরোধ এবং সামাজিক সম্প্রীতির গুরুত্ব সম্পর্কে বাস্তবমুখী আলোচনা করেন। দ্বিতীয় ও তৃতীয় দিনের প্রশিক্ষক ছিলেন কক্সবাজার প্রতিনিধি সাংবাদিক আরোজ ফারুক (দৈনিক কালের কণ্ঠ)। তিনি ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে কনটেন্ট তৈরি, ফটোগ্রাফি ও ভিডিওগ্রাফির ব্যবহারিক কৌশল, ভুয়া তথ্য শনাক্তকরণে কার্যকর পদ্ধতি এবং হাতে-কলমে অনুশীলন করান। শেষ দিনে প্রশিক্ষণ দেন অভিজ্ঞ দুই সাংবাদিক—সারোয়ার আলম শাহিন (সাবেক সভাপতি, উখিয়া প্রেসক্লাব ও স্টাফ রিপোর্টার, দৈনিক মানবজমিন) এবং হুমায়ন কবির জুশান ( সাবেক সহ-সভাপতি উখিয়া প্রেসক্লাব ও স্টাফ রিপোর্টার, দৈনিক আজকের কক্সবাজার এবং দৈনিক নয়া দিগন্ত)। তারা মানবাধিকার সংবেদনশীলতা, সহানুভূতিশীল প্রতিবেদন লেখা, মত প্রকাশের স্বাধীনতা, গোপনীয়তা ও আইনি-নৈতিক দিক নিয়ে বিশদ আলোচনা করেন। প্রশিক্ষণটির সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন ডিএসকে’র টেকনিক্যাল ম্যানেজার (সোশ্যাল কোহেশন অ্যান্ড ইয়ুথ ওয়ার্ক) মো: শফিকুল ইসলাম। সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করেন ইয়ুথ অর্গানাইজার রাশেদুল হক সরকার। এছাড়াও সহযোগিতামূলক ভূমিকা পালন করেন আবুল কালাম, মুবিন উদ্দিন ও রেশমী আক্তার প্রশিক্ষণ শেষে যুব পরিবর্তন সহায়কগণ শুধু নাগরিক সাংবাদিকতা ও প্রচারণার কলাকৌশলেই দক্ষ হননি, বরং তারা সামাজিক সংহতি, শান্তি এবং ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় নেতৃত্বদানে প্রস্তুত হয়ে উঠেছেন। এ উদ্যোগ প্রসঙ্গে আয়োজকরা জানান, এ ধরনের প্রশিক্ষণ যুব সমাজকে দায়িত্বশীল নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার পাশাপাশি তাদেরকে সমাজ পরিবর্তনের অগ্রনায়কে পরিণত করতে সক্ষম হবে।