প্রকাশিত: ১৮/১২/২০২১ ৩:৫৪ পিএম

থাইল্যান্ড-মিয়ানমার সীমান্তবর্তী প্রদেশ কারেনের সশস্ত্র রাজনৈতিক গোষ্ঠী কারেন ন্যাশনাল ইউনিয়ন (কেএনইউ)- এর সঙ্গে দেশটির সেনাবাহিনীর কয়েক দিন ধরে চলা সংঘাতের জেরে মিয়ানমার ছেড়ে সীমান্তের দিকে পালাচ্ছেন সাধারণ মানুষজন।

শনিবার এক প্রতিবেদনে বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, যুদ্ধের আঁচ থেকে বাঁচতে কারেন থেকে অন্তত আড়াই হাজার মানুষ সীমান্ত পাড়ি দিয়ে থাইল্যান্ডের তাক প্রদেশে আশ্রয় নিয়েছেন। তাদের মধ্যে কয়েকশ শিশু ও নারীও আছেন।

গত কয়েকদিন ধরে মিয়ানমারের সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী কারেন ন্যাশনাল ইউনিয়ন (কেএনইউ) এবং সেনাবাহিনীর চলমান লড়াইয়ের মধ্যেই এই বিপুল সংখ্যক মানুষ পালিয়ে এসেছে বলে এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন থাইল্যান্ডের তাক প্রদেশের উপ গভর্নর সোমচাই কিচারোয়েনরাঙ্গরোজ।

দেশ ছেড়ে পালিয়ে আসা মিয়ানমারের এই নাগরিকদের আপাতত সীমান্তবর্তী শহর মায়ে সোতে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে বলেও শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন উপ গভর্নর।

গত ১ ফেব্রুয়ারি সেনাবাহিনীর অভ্যুত্থানে মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী অং সান সুচি নেতৃত্বাধীন সরকার উচ্ছেদের পর থেকেই রাজনৈতিক অস্থিরতা শুরু হয়েছে দেশটিতে।

সেনা অভ্যুত্থানের পর থেকেই দেশটির বিভিন্ন শহরে গণতন্ত্রকামী জনগণের বিক্ষোভ শুরু হয়। সেই সঙ্গে মিয়ানমারজুড়ে শুরু হয় বিভিন্ন সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠীর তৎপরতা।

অভ্যুত্থানের পরপর এক-দেড় মাস চুপচাপ থাকলেও পরে সামরিক শাসন বিরোধী বিক্ষোভে এক পর্যায়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহারের অনুমতি দেয়ে জান্তা। পাশপাশি গ্রামীণ অঞ্চলগুলোতে বিক্ষিপ্তভাবে বাড়তে থাকে সেনা ও বিদ্রোহী জনগোষ্ঠীর মধ্যকার সংঘাত।

পাঠকের মতামত