
সেনা অভুত্থানের জেরে মিয়ানমারের রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ব্যবসায়িক সম্পর্ক ছিন্নের ঘোষণা দিল জাপানি বিয়ার প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান কিরিন হোল্ডিংস। ২০১৫ সালে রাষ্ট্রায়ত্ত মিয়ানমার ইকোনমিক হোল্ডিংসের সঙ্গে যৌথভাবে দেশটিতে বিনিয়োগ করে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ বিয়ার প্রস্তুতকারক এ প্রতিষ্ঠানটি।
বর্তমানে মিয়ানমারের বিয়ার প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান মিয়ানমার ব্রুওয়ারি লিমিটেড এবং ম্যান্ডলে ব্রুওয়ারি লিমিটেডের অর্ধেকেরও বেশি মালিকানা রয়েছে কিরিন হোল্ডিংসের হাতে। মিয়ানমার ইকোনমিক হোল্ডিংসের তত্ত্বাবধানে রয়েছেন অভ্যুত্থানের হোতা দেশটির সেনাপ্রধান সিনিয়র জেনারেল মিন অং হ্লেইং।
শুক্রবার এক বিবৃতিতে, মিয়ানমারে সামরিক বাহিনীর সাম্প্রতিক পদক্ষেপ নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে কিরিন।
প্রতিষ্ঠানটি বলছে, গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রায় মিয়ানমারের জনগণ ও অর্থনীতিতে অবদান রাখতে ২০১৫ সালে মিয়ানমারে বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম আমরা। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে মিয়ানমার ইকোনমিক হোল্ডিংস পাবলিক কোম্পানি লিমিটেডের সঙ্গে আমাদের যৌথ বিনিয়োগ অংশীদারিত্ব বাতিল করা ছাড়া আর কোনো বিকল্প নেই। এই সিদ্ধান্ত কার্যকরে দ্রুত পদক্ষেপ নেব আমরা।
এদিকে কিরিনের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে মিয়ানমারের মানবাধিকার সংগঠনগুলো।
জাস্টিস ফর মিয়ানমার এর মুখপাত্র ইয়াদনার মাং বলেন, আমরা কৃতজ্ঞ যে কিরিন শেষ পর্যন্ত মিয়ানমারের জনগণের কণ্ঠস্বর শুনেছে এবং সম্পর্ক ছিন্ন করে সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর মাধ্যমে মিয়ানমার সেনাবাহিনী একটা কঠোর বার্তা পাবে যে তাদের অভ্যুত্থান, যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতাবিরোধী কর্মকাণ্ড সহ্য করা হবে না। আমরা এখন কিরিনকে অনুরোধ করছি যেন তারা অন্য সংস্থাগুলোকেও যেন এই পন্থা অবলম্বনে উৎসাহিত করে।
সোমবারের অভ্যুত্থানের পরে মিয়ানমারের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের হুমকি দিয়েছেন নতুন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। যুক্তরাষ্ট্রের পাশাপাশি মিয়ানমারে সামরিক বাহিনীর হস্তক্ষেপের নিন্দা জানিয়েছে জাতিসংঘ, যুক্তরাজ্য এবং ইইউসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ।
পাঠকের মতামত