উখিয়া নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত: ১০/১০/২০২৪ ১০:০১ এএম

অধিকাংশ মিয়ানমারের পশু নিয়েই বসে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সদরের একমাত্র গরু-মহিষের হাট চাকঢালা বাজারে। সরেজমিন গিয়ে ও স্থানীয় লোকজনের সাথে কথা বলে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সদর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডে চাকঢালা বাজার। যেখান থেকে মিয়ানমার সীমান্তের দূরত্ব মাত্র কয়েক কিলোমিটার। তাই অবৈধ ব্যবসার জন্য এ বাজারটিকে বেছে নিয়েছে চোরাকারবারীরা।
সরেজমিন গিয়ে ও স্থানীয় লোকজনের সাথে কথা বলে জানা গেছে বিজিবি টহল থাকায় দুপুর সাড়ে ১২ টা পর্যন্ত চাকঢালা পশুর হাট বসেনি। বিজিবির সদস্যরা দুপুরে লাঞ্চ করতে যাওয়ার কয়েক মিনিটের মধ্যেই চতুর্দিক থেকে প্রায় ১ শত মিয়ানমারের পশু হাটে ঢুকানো হয়। যার মধ্যে শুধু মেহেরপুর সড়ক দিয়ে আসে অর্ধশত বিশালাকার মহিষ। অন্যান্য সড়ক দিয়ে আসে আরো বেশকিছু পশু।

স্থানীয় লোকজনের তথ্যমতে, যে হাট সকাল সাড়ে ১১ টায় শেষ হওয়ার কথা, সে পশুর হাট বর্তমানে সন্ধ্যা পর্যন্ত জমজমাট থাকে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি এ প্রতিবেদককে বলেন, এসব পশু এবং মালামাল চোরা পথে আনা-নেয়ার জন্যে সড়ক ব্যবহার হচ্ছে ৭ টি। মেহেরপুর সড়ক, হামিদিয়া পাড়া সড়ক, দক্ষিণ মৌলভীরকাটা সড়ক, নিকুছড়ি-সোনাইছড়ি সড়ক, ছালামী পাড়া শাহ আলমের দোকানের পাশ হয়ে লাইটে গোড়া সড়ক, আলী মেম্বার-অইক্যের ঘোনা সড়ক হয়ে লাইটে গোড়া সড়ক, মৌলভীকাট রাবার ড্যাম-ভামো ও শামশুর ঘোনা হয়ে ছালামীপাড়া খামারপাড়া অংকপাড়া হয়ে লাইটের গোড়া সড়ক।

স্থানীয় ছালামী পাড়ার ৮ম শ্রেণির ছাত্র আবদুশ শুক্কুর বলেন, আগে বিজিবি টহল বেশী ছিল, এখন কম। রাত যত গভীর হয় চোরাকারবার তত বাড়ে। নেতা, বড় লোক সবাই এ কাজে জড়িয়ে গেছে। যেন দেখার কেউ নেই।
চাকঢালা বাজারের ব্যবসায়ী, শামশুর আলম, ছৈয়দ আলম ও ছব্বির আহমদ দাবি করেন, চাকঢালা বাজারের রশিদেই সব অবৈধপশু ও পণ্য বৈধতা পাচ্ছে৷ গরু, মহিষ ও ছাগলসহ অনো পণ্যের সাথে রয়েছে নানা আরো নানা পণ্য ।
মিয়ানমার কেন্দ্রিক স্বশস্ত্র ২ টি গোষ্ঠী নিজেদের খাদ্য জোগান দিতেই চোরাকারবারে জড়িয়ে পড়েছে।

স্থানীয় লোকজন জানিয়েছেন, চোরকারবারীরা গোপনে পায়ে হেটে বা মটর বাইকে চড়ে ওপারের কারবারীদের সাথে হাত করে এ সব অপকর্ম চালিয়ে আসছে রাত-দিন। সীমান্তে বিজিবির অস্থায়ী তল্লাশি ক্যাম্প বসিয়ে নজরদারী বাড়ালে এ চোরাকারবার বন্ধ হবে বলে মনে করেন তারা।
এ বিষয়ে সীমান্তের এ পয়েন্টে দায়িত্বরত সীমান্তরক্ষী ১১ বিজিবি অধিনায়ক ও জোন কমান্ডার লে: কর্ণেল সাহল আহমেদ নোবেলের সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য দেয়া সম্ভব হয়নি।
তবে কয়েকদিন আগে স্থানীয় সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি জানিয়েছেন, চোরাকারবারীরা দেশের শক্র-জাতির শত্রু। তাদের ছাড় দেয়া যাবে না। সীমান্ত রক্ষী বিজিবি সদস্যরা কঠোর অবস্থানে রয়েছে এ বিষয়ে। এছাড়া বিজিবি সদস্যরা চেরাইপণ্য জব্দ করে আসছে নিয়মিত।

পাঠকের মতামত

বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও মাদক উদ্ধারছয় মাসে দুই শতাধিক অভিযান রোহিঙ্গা ক্যাম্পে, গ্রেপ্তার ১০৮

কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় গত ছয় মাসে ব্যাপক অভিযান পরিচালনা করেছে ৮ ...

মিয়ানমারে গোলাবর্ষণের বিকট শব্দ, উখিয়া-টেকনাফ সীমান্তে রাতভর আতঙ্ক

মিয়ানমার থেকে আসা গোলাবর্ষণের বিকট শব্দ শুনতে পেয়েছেন উখিয়া-টেকনাফ সীমান্তের স্থানীয় বাসিন্দারা। শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) ...

ফিটনেস-অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা ছাড়া সেন্টমার্টিনে যাবে না জাহাজ

কক্সবাজারে পর্যটকবাহী জাহাজ ‘আটলান্টিক ক্রুজে’ ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পর নড়েচড়ে বসেছে জেলা প্রশাসন। অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা ...