ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: ১৫/০৩/২০২৪ ৫:২৪ পিএম

মিয়ানমারে ৮০ শহরে ইন্টারনেট-ফোন সংযোগ বিচ্ছিন্ন
মিয়ানমারের জান্তা সরকার দেশটির প্রায় ৮০টি শহরে ইন্টারনেট এবং ফোন সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে।

শুক্রবার মতপ্রকাশের স্বাধীনতার সংগঠন ‘আথান’এর বরাত দিয়ে এ খবর প্রকাশ করেছে মিয়ানমারের সংবাদমাধ্যম ‘দ্য ইরাবতী’।

প্রতিবেদনে বলা হয়, রাখাইনের ১৭টি শহরের সবকটি যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এছাড়া এ বিচ্ছিন্ন হওয়ার মধ্যে রয়েছে সাগাইং অঞ্চলের ৩৪টি শহরের মধ্যে ২৭টি এবং কায়াহ রাজ্যের সাতটি শহরের মধ্যে পাঁচটি।

শান, চিন, কাচিন এবং মোন রাজ্য এবং তানিনথারি, ম্যাগওয়ে, বাগো এবং আইয়ারওয়াদি অঞ্চলের শহরগুলোতেও ইন্টারনেট ও টেলিফোন যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।
বেশিরভাগ শহরে ইন্টারনেট এবং ফোন লাইন উভয়ই সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।


আরাকান আর্মি গত বছরের নভেম্বর থেকে উত্তর রাখাইন রাজ্য জুড়ে জান্তার বিরুদ্ধে লড়াই করছে।

প্রায় ১৮০টি জান্তা ঘাঁটি, নয়টি শহর এবং দক্ষিণ চিন রাজ্যের পুরো পালেতওয়া শহর দখল করেছে তারা।
আথান বলেছে, রাখাইনের রাজধানী সিত্তওয়েতে সামরিক মালিকানাধীন টেলিকম সরবরাহকারী মাইটেল গত ১৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কাজ করে। তারপর সব ওয়াই-ফাই এবং মোবাইল ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করা হয়।

তবে দুই রাখাইন বাসিন্দা ‘দ্য ইরাবতী’কে বলেছেন, জান্তা-মালিকানাধীন টেলিকম অপারেশন মাইটেল এবং এমপিটি বৃহস্পতিবার সিটওয়েতে কাজ করেছে।

এক বাসিন্দা বলেন, কিছু এলাকায় ফোন লাইন পুনরুদ্ধার করা হয়েছে কিন্তু ইন্টারনেট সংযোগ নেই।

আথান বলেছে, ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্নের কারণে ব্যাংকিং পরিষেবা এবং অনলাইন আর্থিক স্থানান্তর বন্ধ হয়ে গেছে।

আথান আরও বলেছে, যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হলো শাসক-বিরোধী শক্তিকে দমন করার জান্তা সরকারের একপ্রকার কৌশল। এটা স্পষ্ট যে জান্তা সরকার তথ্যের প্রবাহ গোপন করতে এবং বিপ্লবী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার জন্য ইচ্ছাকৃতভাবে জনগণকে দমন করছে।

গত বছর ওয়াশিংটন ভিত্তিক ফ্রিডম হাউসের বার্ষিক প্রতিবেদনে চীনের পর মিয়ানমারকে ইন্টারনেট স্বাধীনতার জন্য দ্বিতীয় সবচেয়ে খারাপ দেশের তালিকায় স্থান দেওয়া হয়েছে।

পাঠকের মতামত

মিয়ানমারের বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনা কম : ইইউ

সামরিক শাসিত মিয়ানমারে অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনে পর্যবেক্ষক পাঠানোর কোনও পরিকল্পনা নেই ইউরোপীয় ইউনিয়নের। কারণ এই নির্বাচন ...

‘হামাসকে নিরস্ত্র হতে বাধ্য করা হবে, প্রয়োজনে সহিংসভাবে করব’

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, হামাসকে নিরস্ত্র হতে বাধ্য করা হবে। প্রয়োজন হলে ...