প্রকাশিত: ২৬/০৫/২০১৬ ১০:০৩ পিএম

পিআইও শাকিব (3)~1বার্তা পরিবেশক:
সাংবাদিকদের নিয়ে কটুক্তি করার সংবাদ শুনার সাথে সাথেই কক্সবাজার জেলার উপকূলীয় সাংবাদিক ফোরামের তীব্রনিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন অবিলম্বে দুর্ণীতিবাজ পিআইও’র দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তি করতে হবে অন্যতায় মানববন্ধন সহ কঠোর কর্মসুচী দেওয়ার হুশিয়ারি দিয়েছে। এবং মহেশখালী প্রেসক্লাবের জরুরী বৈঠকের আহবান করা হয়েছে। মহেশখালী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) শফিউল আলম শাকিবের নানান দুর্নীতি গনমাধ্যমে প্রকাশ হওয়ায় ২৬ মে সকাল ১১টায় মহেশখালী উপজেলা হলরুমে আইনশৃংঙ্খলা সভায় পিআইও শাকিব মহেশখালী প্রেসক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক ও কক্সবাজার জেলা উপকূলীয় সাংবাদিক ফোরামের অর্থ সম্পাদক এম.রমজান আলী কে প্রকাশিত সংবাদের জন্য দায়ী করে হাউসে উপস্থিত সকলকে নালিশ করে পাশাপাশি সকলের উপস্থিতে দম্ভোক্তি করে বলেন, অস্ত্র জমা দিয়েছি ট্রেনিংজমা দেয়নি। সেই নালিশের প্রেক্ষিতে তোপের মুখে পড়েছেন পিআইও শফিউল আলম শাকিব। সংবাদকর্মীদের বিরোদ্ধে অযাচিত নালিশ করা পুরো সাংবাদিক সমাজকে হেয় করার সমান। তাই দায়িত্বরত ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সকলকে পিআইও শাকিব ও তার আশ্রয় প্রশ্রয়দাতা এবং সমর্থনকারীদের বিরোদ্ধে সোচ্চার হওয়া প্রয়োজন (প্রতিবাদ, মানববন্ধন, মন্ত্রনালয়ে স্মারকলিপি সহ কঠোর কর্মসুচী ঘোষনা করা) কেননা এই সুযোগ পার পেয়ে গেলেই সকল সংবাদকর্মীদের বিরোদ্ধে মনগড়া কথাবার্তা বলে সকলকে হেয় করার চেষ্টা করবে। প্রশাসন, প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ সহ সকল পাঠকদের জ্ঞাতার্থে পুর্বে পিআইও শাকিবের বিরোদ্ধে গনমাধ্যমে কি কি প্রকাশ করা হয়েছে তা নিম্মে হুবহু প্রকাশ করা হয়েছে-“মহেশখালীতে ২য় শ্রেণীর কমকর্তা শাকিবের মাতব্বরিতে প্রথম শ্রেণীর কর্মকর্তারা বেজায় অখুশি” নিজস্ব প্রতিবেদক -২৩ মে ঃ মহেশখালীতে নির্বাহী ক্ষমতার অধিকারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার তার পরবর্তী সম পর্য্যায়ের অফিসার উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা, প্রাণী সম্পদ হাসপাতালের কর্মকর্তা, সহকারী কমিশনার ভুমি ও সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিট্রেট কোর্টের বিচারক। আরো ২য় শ্রেণীর অসংখ্য সিনিয়র কর্মকর্তা মহেশখালী উপজেলায় কর্মরত থাকলে ও একেবারে সর্ব কনিষ্ঠ ২য় শ্রেণীর কর্মকর্তা পিআইও শফিউল আলম শাকিবের এতই মাতব্বরি কারো পছন্দের নয়। মহেশখালী উপজেলায় প্রশাসনিক ও এনজিও সংস্থা সহ বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মিটিং,মিছিল হলে সব জায়গাতেই শাকিবের মাতব্বরি। সকল শ্রেণী পেশার লোকজনেরা বলাবলি করে টাকা পয়সার কাছে কি সকলে অন্ধ কেননা শাকিব একজন প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসের অফিসার তার কাছে উপজেলা আর্থিক লেনাদেনা আছে বলে কি সবাই তার কাছে এতই জিম্মি। কোন মিছিল মিটিংয়ে শাকিবের এতই বকবকানি অতিথি ও উপস্থিত জনতা সকলে অতিষ্ঠ। শাকিব একজন ২য় শ্রেণীর কর্মকর্তা কিন্ত বিভিন্ন জায়গায় প্রকাশ করে থাকে সে একজন প্রথম শ্রেনীর কর্মকর্তা। রাজনৈতিক নেতারা বলেন, শাকিব একজন জামায়াত-শিবিরের এজেন্ডা বাস্তবায়নকারী, দুধূর্ষ ক্যাডার, তার চাকুরী বাচাঁনোর জন্য উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি/সাধারন সম্পাদক, আওয়ামীলীগের এমপি, উপজেলা চেয়ারম্যান, পৌর মেয়র সহ সকলকে তেলেশমাতিতে ব্যস্ত থাকে” মহেশখালীতে ইউপি সদস্যের হাতে পিআইও লাস্থিত ”নিজস্ব প্রতিবেদক ৬ মে, মহেশখালীতে ইউপি সদস্য জসিম উদ্দিনের হাতে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা শফিউল আলম শাকিব লাস্থিত হয়েছে। পিআইও শাকিবের নানান অপকর্ম ও দুর্ণীতির কারনে ২রা মে সকাল ১১টার দিকে শাপলাপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সাধারন সম্পাদক জসিম উদ্দিন অফিসে ঢুকে পড়ে পিআইও’র সাথে কথা কাটাঁকাটিঁর এক পর্য্যায়ে শাকিব কে কিল, ঘুষ মারতে থাকে তৎ মুহুর্তে ঘটনা ছড়িয়ে পড়লে ঘটনাস্থলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো.আবুল কালাম এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো.আবুল কালাম জানান, পিআইও অফিসে ঘটনার সংবাদ শুনার সাথে সাথেই তৎস্থলে উপস্থিত হয়ে ঘটনার নিস্পত্তি করি। “মহেশখালী প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাকে ৫ কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতির প্রতিবেদন চেয়ে ‘দুদক’ এর নোটিশ” বিশেষ প্রতিবেদক ঃ মহেশখালী (কক্সবাজার) ২৩ এপ্রিল ঃ মহেশখালী প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) কে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) কর্তৃক ২০১৩-২০১৪ অর্থ বছরে  ৫ কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতির (টি আর, কাবিকা, কর্মসূজন ও ঢেউটিন) জবাব চেয়ে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য নোটিশ প্রদান করেছে। সারা বাংলাদেশের ন্যায় কক্সবাজার জেলার মহেশখালীর উপজেলাতে ও ১২/০৪/২০১৬ ইং বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচীর আওতায় সেতু/কালভার্ট নির্মান প্রকল্পে লটারীর মাধ্যমে ঠিকাদার নির্বাচিত করা হয়। সেই নির্বাচিত ঠিকাদারেরা সরকারী নিয়ম-কানুন ও শর্তাবলী যথাযথভাবে পালন করতঃ উপজেলার ১১টি সেতু/কালভার্ট নির্মান প্রকল্পের দরপত্র ক্রয় করে নির্ধারিত সময়ে টেন্ডার বক্সে টেন্ডার সিডিউল ড্রপিং সম্পন্ন হলে ও উপজেলা বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় কর্তৃক প্রস্তুতকৃত সি,এস/চেকলিস্ট পর্য্যালোচনা করে দেখা যায়-১নং গ্রুপের ৪০ নম্বর, ২নং গ্রুপের সিডিউল কক্সবাজার অফিসে বিক্রয়ের জন্য প্রেরণ করা হয়নি, ৩নং গ্রুপের ৩৯ নম্বর, ৪নং গ্রুপের ৩৯ নম্বর, ৫নং গ্রুপের ৩৩ নম্বর, ৬নং গ্রুপের ২৫ নম্বর, ৭নং গ্রুপের ২৮ নম্বর, ৮ নং গ্রুপের ১৮ নম্বর, ৯নং গ্রুপের ২৪ নম্বর, ১০নং গ্রুপের ২১ নম্বর ও ১১নং গ্রুপের ৪৬ নম্বর ক্রমিকের ঠিকাদার মের্সাস লিমন কন্সট্রাকশন, পুর্ব মেহের নামা, পেকুয়া কক্সবাজার কর্তৃক দাখিলকৃত সিডিউলে ৩% নিম্ম দরে ন্যশনাল ক্রেডিট এন্ড কমার্শিয়াল ব্যাংকের প্রে-অর্ডার নম্বর ১২৪৫৯৭৮ তাং ০৫/০৪/২০১৬ইং পে-অর্ডারটি (নকল পে-অর্ডার) উপজেলার ১১টি সেতু/কালভার্ট নির্মান প্রকল্পে টাকার অংক পাল্টিয়ে সবকটি গ্রুপের সিডিউলের সাথে নিম্ম দর উল্লেখ করে দরপত্র দাখিল করেছে। যা উপজেলা গঠিত দরপত্র মুল্যায়ন কমিটি কিভাবে বাছাই পুর্বে অনুমোদন করেছে তা কারো বোধগম্য নহে। মেসার্স লিমন কন্সট্রাকশন কর্তৃক নকল পে-অর্ডার দাখিল করা করা হয়েছে জেনে ও উপজেলা বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. শফিউল আলম শাকিব এবং তার কার্যালয়ের উপ-সহকারী মো. হানিফ মিয়ার যোগসাজসে বড় অংকের টাকার বিনিময়ে কাজ পাইয়ে দেওয়ার জন্য বাতিল না করে ১১টি প্রকল্প হতে ১টি তে লটারীরর মাধ্যমে কাজ পাইয়ে দিয়েছেন। তা ছাড়া ২নং গ্রুপের সিডিউলে অন্যান্য গ্রুপের তুলনায় বিক্রয় কেন কম দেখানো হয়েছে এবং যাদেরকে সিডিউল বিক্রি করা হয়েছে তারা পুর্বে পরিকল্পিত ঠিকাদার কে লটারীতে বিজয়ী করা হয়েছে। অপর দিকে মের্সাস লিপি এন্টার প্রাইজ এর পে-অর্ডার ঠিক পাওয়ার পরেও ব্যাংক কর্মকর্তার একজনের দস্তখত নাই উল্লেখ করে সবকটি টেন্ডার সিডিউল ব্যাংক হতে যাচাই-বাচাই না করে বাতিল করা হয়েছে। উপরিল্লোখিত ১১ টি ব্রিজের তুলনা মুলক বিবরনীর অনুমোদন করা হয়েছে তা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অগোচরে করেছে। এটা বাদে ও চেয়ারম্যান-মেম্বারদের নাম ভাঙ্গিয়ে  অসংখ্য অপকর্ম করে যাচ্ছে। শফিউল আলমের এতসব অপকর্মের প্রতি সমর্থন না দেওয়ার কারনে বিভিন্ন অযুহাত দেখিয়ে ও উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ কে ভুল বুঝিয়ে অফিস সহকারী আব্দুল করিম কে মহেশখালী থেকে কুতুবদিয়া অফিসে বদলী করে দিয়েছে। শফিউল আলম উখিয়ায় দায়িত্ব পালনকালীন সময়ে ও নানান ধরনের দুর্নীতি করার কারনে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) মামলা দায়ের করেছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরে অফিস সহকারী নিয়োগ করা হচ্ছে এমতাবস্থায় পিআইও শফিউল আলম তার ভাই নজরুল কে চাকুরী দেওয়ার জন্য বর্তমান অফিস সহকারী আব্দুল করিমকে বদলী করেছে। শফিউল আলম শাকিব ইসলামী ব্যাংকে নামে-বেনামে একাউন্ট করে অবৈধ পন্থায় আয়ের টাকা গুলি জমায়। এ গুলি বাদে ও শফিউল আলমের বিরোদ্ধে অসংখ্য অপকর্মের অভিযোগ রয়েছে। তার নানান রকমের দুর্নীতি ও অপকর্ম থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য সবসময় সংসদ সদস্য সহ সরকারী দলের নেতাকর্মীদের তেলেশমাতিতে ব্যস্ত থাকে। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত পিআইও শফিউল আলম শাকিবের মোবাইলে বারংবার ফোন দেওয়ার পরে ও ফোন কল রিচিব না করায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

পাঠকের মতামত

সিভিল সার্জন কার্যালয়ে স্বাস্থ্য সহকারী পরীক্ষায় প্রক্সি দিতে গিয়ে আটক ১

চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয়ে স্বাস্থ্য সহকারী নিয়োগের লিখিত পরীক্ষায় প্রক্সি দিয়ে উত্তীর্ণ হলেও মৌখিকে ধরা ...

গহীন পাহাড়ে কঠোর প্রশিক্ষণ, যা বললেন কুকি চিনের আকিম বম

বান্দরবানে পাহাড়ি সশস্ত্র সংগঠন কুকি–চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) সামরিক প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত নারী শাখার বান্দরবান সদর ও ...

নাইক্ষ‌্যংছড়ি উপজেলা নির্বাচন বর্জনে জেলা বিএনপির লিফলেট বিতরণ

বান্দরবান জেলার আসন্ন নাইক্ষ‌্যংছড়ি উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বর্জনে বান্দরবান জেলা বিএনপির দিনব‌্যাপি লিফলেট বিতরণ করা ...