ভূমিকম্পে ধ্বংস্তূপে পরিণত হওয়া রাজ্যগুলোতেও হামলা অব্যাহত রেখেছে মিয়ানমারের জান্তা বাহিনী। চীন ও জাতিসংঘের আহ্বানে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হলেও, তা লঙ্ঘন করছে সামরিক সরকার। এর মধ্যেই আবার চলছে নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তুতিও।
৭ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্পের পর গোটা মিয়ানমার যখন ধ্বংসস্তূপে পরিণত, তখনও থেমে নেই জান্তা বাহিনীর অভিযান। গত এক মাসে ৯২টি গোলাবর্ষণ ও বিমান হামলায় হতাহত হয়েছেন বহু মানুষ।
ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত সাগাইং ও মান্দালয় অঞ্চলেই হামলা হয়েছে সবচেয়ে বেশি। বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত ইন্দাউ দখলে নিয়েছে কাচিন বাহিনী ও ছাত্র গণতান্ত্রিক ফ্রন্টের যৌথ জোট। ফালাম শহরও হাতছাড়া করেছে জান্তা।
চীন ও জাতিসংঘের আহ্বানে কথিত ২০ দিনের যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করলেও, তা মানেনি জান্তা সরকার। সে সময়েই হামলা চালায় কাচিন, চিন, রাখাইন ও শান রাজ্যে। পাল্টা জবাব দিয়েছে বিদ্রোহীরাও। জান্তা বাহিনীর ঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছে কারেনি, আরাকান ও পিপলস ডিফেন্স ফোর্স।
এদিকে ভূমিকম্পে প্রাণহানি ৩ হাজার ৬৪৫ ছাড়ালেও, জান্তা সরকার ব্যস্ত নির্বাচনী প্রস্তুতিতে। ডিসেম্বরে ভোট আয়োজনের ঘোষণা দিয়েছে দেশটির নির্বাচন কমিশন। আগামী ৯ মে’র মধ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর নিবন্ধনের আহ্বান জানানো হয়েছে। যদিও ২০২০ সালের বিজয়ী দল এনএলডিসহ ৪০টি দলকে ইতোমধ্যে নিষিদ্ধ করেছে জান্তা প্রশাসন।
দেশটিতে ভূমিকম্পে এ পর্যন্ত ধ্বংস হয়েছে প্রায় ৫০ হাজার ঘরবাড়ি, ৫ হাজার প্যাগোডা ও ২ হাজারের বেশি সরকারি ভবন। ক্ষতিগ্রস্ত ৬০টির বেশি টাউনশিপে ১ কোটি ৭০ লাখের বেশি মানুষ বিপর্যস্ত।
অভিযোগ উঠেছে, জান্তা নিয়ন্ত্রিত এলাকার বাইরের ক্ষয়ক্ষতির পরিসংখ্যান গোপন করছে সামরিক সরকার।