উখিয়া নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত: ০১/০৯/২০২২ ৯:৫৬ এএম

ভালোবাসার টানে সুদুর ইন্দোনেশিয়া থেকে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে এসেছেন এক তরুণী। শাহজাদপুরের তরুণের সঙ্গে আজীবন একসঙ্গে থাকতে ওই ভীনদেশী তরুণী ছুটে আসেন বাংলাদেশ। ইতিমধ্যে ৫০ হাজার টাকা দেনমোহরে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন তারা। এ নিয়ে উপজেলা জুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।

সিতি নুরানি ইন্দোনেশিয়ার পারিজাত কুলন থানাধীন কেটরোসনা গ্রামের বাসিন্দা। তিনি মালয়েশিয়ার একটি ক্লিনিকে নার্স হিসেবে কর্মরত আছেন।

জানা যায়, তিন বছর পুর্বে সিতি নুরানির সাথে ফেসবুকে পরিচয় হয় মালেয়েশিয়ান প্রবাসী সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলা গোপালপুর গ্রামের আনোয়ার হোসেনের। বন্ধুত্ব থেকে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। চলতি মাসে বাংলাদেশে এসে মঙ্গলবার (৩০ আগস্ট) স্থানীয় রীতি ও মুসলিম শরিয়াত মোতাবেক ৫০ হাজার টাকা দেনমোহরে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন তারা।

ভিনদেশী পুত্রবধূ পেয়ে আনোয়ারের মা আবেগ আপ্লুত কন্ঠে বলেন, আমার পুত্রবধূ খুবই ভালো, সে আমাকে মা বলে ডাকে। বিদেশি পুত্রবধূর জন্য সবার কাছে দোয়া প্রার্থনা করেছেন তিনি।

যুবক আনোয়ার হোসেন বলেন, ফেসবুকের মাধ্যমে ইন্দোনেশিয়ান মুসলিম পরিবারের মেয়ে সিতি নুরানীর সাথে পরিচয়ের পর আমরা বিয়ে করেছি। স্ত্রী আমাদের দেশ ও কৃষ্টি কালচার সম্পর্কে জানেন। আমার পরিবার সম্পর্কে সব কিছু জেনে বাংলাদেশে আসেন সিতি নুরানি।

আনোয়ার আরও জানান, মঙ্গলবার (৩০ আগস্টে) শাহজাদপুরে আমরা বাংলাদেশের রীতি অনুযায়ী বিবাহ রেজিস্ট্রেশন করেছি।

সিতি নুরানি বলেন, “বাবা মায়ের অনুমতি নিয়েই বিয়ে করেছি। স্বামীর সাথে সুখে শান্তিতে ঘর-সংসার শুরু করেছি। সবার কাছে দোয়া চাই। এখানে এসে খুব ভালো লাগছে।”

এদিকে, আনোয়ারের ভিনদেশী বধূকে দেখতে প্রতিদিন স্থানীয় লোকজন আনোয়ারের বাড়িতে ভিড় করছেন।

পাঠকের মতামত

বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের ওপর পুলিশের লাঠিচার্জ, চট্টগ্রাম -কক্সবাজার সড়ক অবরোধ

চট্টগ্রামের পটিয়ায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীদের ওপর পুলিশের লাঠিচার্জে অন্তত ২৫ শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। এর ...

কক্সবাজারের সাবেক জেলা জজ-ডিসিসহ পাঁচজনের বিচার শুরু

কক্সবাজারের মাতারবাড়ি কয়লাবিদ্যুৎ প্রকল্পের জন্য ভূমি অধিগ্রহণ সংক্রান্ত নথি জালিয়াতির মামলায় কক্সবাজারের সাবেক জেলা প্রশাসক ...

প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ

সম্প্রতি একটি সংবাদমাধ্যমে আমার নামে “সাত হাজার পিস ইয়াবাসহ একজন আসামিকে ক্যাম্পে এনে পরবর্তীতে আর্থিক ...