প্রকাশিত: ০৩/০৫/২০১৭ ১০:২০ পিএম , আপডেট: ০৩/০৫/২০১৭ ১০:২৪ পিএম

নিউজ ডেস্ক::
ভারতের সঙ্গে কোনো গোপন চুক্তি করেনি সরকার বরং জনগণকে না জানিয়ে চীনের সঙ্গে সামরিক চুক্তি করেছিল বিএনপি।
আজ বুধবার জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে এমনটা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘দেশে এখন সুস্থ গণতন্ত্রের চর্চা হচ্ছে।’

প্রশ্নোত্তর পর্বে প্রধানমন্ত্রীর কাছে ভারতের সঙ্গে হওয়া চুক্তি ও সমঝোতার বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়। পাশাপাশি জানতে চাওয়া হয় কোন কোন দেশের সঙ্গে সামরিক সমঝোতা বা চুক্তি রয়েছে বাংলাদেশের।

জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, চীন, কাতার, কুয়েত, রাশিয়াসহ বেশ কয়েকটি দেশের সঙ্গে সামরিক চুক্তি রয়েছে বাংলাদেশের আর ভারত সফরে করা চুক্তিগুলো করা হয়েছে এ দেশের মানুষের উন্নয়নের স্বার্থে।

শেখ হাসিনা সংসদে বলেন, ‘চীনের সঙ্গে যে সমঝোতা চুক্তি বা চুক্তিটা হয়েছিল সেটা কিন্তু তখন বিএনপি ক্ষমতায় ছিল। এবং বিএনপি ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় যখন এই চুক্তিটি করে তখন কিন্তু একটি কথাও তাঁরা বাংলাদেশের কাউকে জানতে দেয় নাই। এটা হলো বাস্তবতা।’

‘ভারত সফরকালে যেসব চুক্তি বা সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে তার সবগুলো এরই মধ্যে গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। কোনো চুক্তি বা সমঝোতা স্মারকই দেশের স্বার্থবিরোধী নয়।’

শেখ হাসিনা আরো বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন যে, তাঁর সরকার ও আমার সরকার ক্ষমতায় থাকতেই তিস্তার পানিবণ্টনের চুক্তি হবে।’

ভারতের সঙ্গে চুক্তিগুলোর বাস্তবায়ন শিগগিরই শুরু হবে বলেও সংসদকে জানান প্রধানমন্ত্রী। বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে প্রশ্নবিদ্ধ করার সুযোগ নেই বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

সংসদ নেতা বলেন, ‘যখন আমরা আইপিইউ সম্মেলন করি, সেই সম্মেলনে যখন সব দেশের প্রতিনিধিরা এসেছেন এবং অত্যন্ত সফলভাবে একটা সম্মেলন হয়েছে। এরপর যারা ২০১৪ সালের নির্বাচন নিয়ে কথা বলে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করতে চায়, আমার মনে হয় অন্তত তাদের ঘটে একটু পানি আসার দরকার। আশা করি, সফল আইপিইউ সম্মেলনের পর তারা এই বিষয়ে আর কোনো প্রশ্ন করবে না।’

শেখ হাসিনা আরো বলেন, ‘বাংলাদেশের পার্লামেন্টে এখন আর খিস্তি-খেউর হয় না, নোংরা কথা হয় না। এখন একটা সুস্থ গণতান্ত্রিক চর্চা হয়। এটাই প্রমাণিত হয়েছে।’

বাংলাদেশকে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত করার জন্য যা যা করণীয়, তাই করা হবে বলে আবার উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, তবে তা অব্শ্যই দেশবিরোধী উপায়ে নয়।

পাঠকের মতামত

‘বাংলাদেশ-মিয়ানমার রাজি থাকা সত্ত্বেও রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন না হওয়ার কারণ খুঁজতে হবে’

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন ...