হুমায়ুন কবির জুশান, উখিয়া নিউজ ডটকম
প্রকাশিত: ০১/১০/২০২৫ ৯:০৯ পিএম

৫ আগস্টের পর চাঁদাবাজি, দখলবাজি আর মামলা বাণিজ্যে অতিষ্ঠ মানুষ যখন ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত, তখনই কক্সবাজার জেলা জামায়াতের সাবেক সেক্রেটারি, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও উখিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ কে এম শাহজালাল চৌধুরীর কাছে ছুটে যেতেন তারা। আদালতের ব্যস্ততা সামলিয়েও প্রতি বৃহস্পতিবার নিজ গ্রাম রাজাপালংয়ে এসে তিনি মানুষকে বিচার-শালিস ও নানা সামাজিক সমস্যার সমাধান দিতেন। শনিবার পর্যন্ত সেই আড্ডা, সেই জনতার ভিড়—মানুষের ভরসার কেন্দ্রবিন্দু ছিলেন তিনি।
কিন্তু আজ তিনি দেশে নেই। বড় মেয়ে ও জামাইকে দীর্ঘ দশ বছর পর দেখতে নিউইয়র্কে গিয়েছেন। তার অনুপস্থিতিতে মানুষ যেমন তাকে মিস করছেন, তেমনি রাজনৈতিক অঙ্গনেও শূন্যতা অনুভূত হচ্ছে। কারণ, জামায়াতের সভা-সমাবেশে শাহজালালের উপস্থিতি কর্মীদের মনোবল দ্বিগুণ করত।
এদিকে জাতীয় নির্বাচন ঘনিয়ে এসেছে। তার বড় ভাই কক্সবাজার জেলা বিএনপির সভাপতি শাহজাহান চৌধুরী উখিয়া-টেকনাফ আসনে বিএনপির একক প্রার্থী হিসেবে মাঠে নেমেছেন। অন্যদিকে জামায়াত থেকে একই আসনে প্রার্থী হচ্ছেন জেলা আমির মাওলানা নুর আহমদ আনোয়ারি। এই পরিস্থিতিতে প্রশ্ন উঠেছে—শাহজালাল চৌধুরী কাকে বেছে নেবেন? ভাইয়ের পাশে দাঁড়াবেন, নাকি জামায়াতের পক্ষে প্রচারণায় নামবেন?
এমন প্রশ্নের মুখে শাহজালাল চৌধুরী বলেছেন, জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরই তিনি দেশে ফিরবেন। আর তখনই স্পষ্ট হবে—তার কাছে বড় ভাই বড়, নাকি দল বড়।
কক্সবাজার-উখিয়ার রাজনৈতিক অঙ্গনে তাই এখন একটাই কৌতূহল—“শাহজালালের ভোটের মাঠে ফিরে আসা মানে কি ভাইয়ের বিপক্ষে দাঁড়ানো, নাকি ভাইকেই শক্তিশালী করা?”—এই উত্তরেই নির্ভর করছে উখিয়া-টেকনাফের আগামী রাজনীতির চিত্র।

পাঠকের মতামত

উখিয়া-টেকনাফের রূপকার, উন্নয়নের নায়ক আমার দেখা শাহাজাহান চৌধুরী

উখিয়া-টেকনাফের অবিসংবাদিত নেতা বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ, বিএনপি বিপ্লবী ও সাহসী বীরযোদ্ধা কক্সবাজার জেলা বিএনপির মান্যবর সভাপতি, ...