
বিশ্বে প্রতি দুই মিনিটে ধর্ষণের শিকার হন একজন নারী। এই চিত্র নারীদের জন্য শুধুমাত্র আতঙ্কজনকই নয় ভয়াবহও। ধর্ষণের মতো এমন অপরাধের ঘটনা সব থেকে বেশি ঘটে যুক্তরাজ্যে। আর প্রতি ২২ মিনিটে একজন নারী কোনো না কোনোভাবে নির্যাতনের শিকার হন ভারতে।
চলতি বছর ধর্ষণ অপরাধের শীর্ষ থাকা ১০টি দেশের নাম প্রকাশ করেছে ওয়ার্ল্ড টপ মোস্ট নামে একটি সংবাদমাধ্যম। প্রকাশিত প্রতিবেদনে ধর্ষণে শীর্ষ ১০ দেশের মধ্যে আমেরিকার নাম রয়েছে এক নম্বরে।
ধর্ষণের মতো ভয়াবহ অপরাধের শীর্ষ ১০টি দেশের তালিকায় পার্শ্ববতী দেশ ভারতের অবস্থান চার নম্বরে। আর দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। তালিকা অনুসারে ধর্ষণ অপরাধে সুইডেনের অবস্থান তিন নম্বরে।
এছাড়া নারীর প্রতি চরম সহিংসতার এই শীর্ষ তালিকায় মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাতের নাম রয়েছে ৫ নম্বরে।
তথ্য অনুযায়ী, গড়ে যুক্তরাষ্ট্রে ৯১ শতাংশ নারী ধর্ষণের শিকার হন। এছাড়া পুরুষ ধর্ষণের শিকার হয় ৯ শতাংশ। সেখানে প্রতি ছয়জন নারীর মধ্যে পাঁচ জন ধর্ষণের শিকার অথবা ধর্ষণ চেষ্টার শিকার হন। আর পুরুষদের বেলায় প্রতি ৩৩জনে একজন এ ঘটনার শিকার হন।
যুক্তরাষ্ট্রের চার শতাংশ কলেজ শিক্ষার্থী জানিয়েছেন, তারা কলেজে যাওয়ার সময় ধর্ষণের শিকার হয়েছেন অথবা কেউ তাদের ধর্ষণচেষ্টা করেছে। আর ধর্ষণের শিকার ১৬ শতাংশ নারী ঘটনাটি পরিবার বা কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন।
এসব ঘটনার বেশিরভাগ ঘটেছে কোনো বাড়িতে বা নির্জন এলাকায় যেখানে তাদের কেউ সাহায্যে এগিয়ে আসতে পারবে না।
অন্যদিকে ভারতে ২৪ হাজার ধর্ষণের ঘটনার মধ্যে প্রকাশ্যে এসেছে মাত্র দুই হাজার ২২টি ঘটনা। এসব ঘটনার কিছু ঘটেছে লোকালয়েই। এসব ঘটনার বেশিরভাগ ঘটিয়েছেন নির্যাতিতার পরিবারের সদস্য বা পাশের বাড়ির লোকেরা। পুলিশের ভাষ্য অনুযায়ী, ধর্ষকদের ৯ শতাংশই ধর্ষিতার নিকট আত্মীয় বা পড়শী।
ধর্ষণ অপরাধের শীর্ষে থাকা বাকি ৫টি দেশ হলো- জার্মানি- ৬, ফ্রান্স ৭, কানাডা- ৮, শ্রীলংকা- ৯। আর ইথিওপিয়া রয়েছে ১০ নম্বর অবস্থানে।
পাঠকের মতামত