প্রকাশিত: ১৭/১২/২০২১ ৫:০৯ পিএম

পর্যটকদের অভিযোগ, শুধু হোটেল নয়, দর্শনীয় স্থানগুলোতে যাওয়ার জন্য ব্যবহৃত ‘চাঁদের গাড়ি’-ও এখন আকাশের চাঁদ হয়ে গেছে

টানা তিনদিনের ছুটিতে বান্দরবানে বেড়েছে পর্যটকের চাপ। বিপুল সংখ্যক পর্যটকের আগমন ঘটায় জেলার হোটেল, মোটেল ও রিসোর্টগুলোয় ভীর জমাচ্ছেন ধারণক্ষমতার চেয়েও অতিরিক্ত পর্যটক।

এদিকে হোটেল ফাঁকা না পেয়ে গভীর রাত পর্যন্ত শহরের অলি-গলিতে ঘুরতে দেখা গেছে পর্যটকদের।

স্থানীয়রা জানান, বান্দরবানের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে সরকারি ছুটির দিনগুলোতে হাজার হাজার পর্যটক এখানে বেড়াতে আসেন। আর শীত মৌসুমে পর্যটকের সংখ্যা কিছুটা বেড়ে যায়। তবে, টানা তিনদিনের ছুটিতে এবার পর্যটকের সংখ্যা বেড়েছে কয়েকগুণ।

পর্যটন কেন্দ্রগুলো ঘুরে দেখা গেছে, শহরের নীলাচল পর্যটন কেন্দ্রে প্রায় আধা কিলোমিটার এলাকাজুড়ে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে পর্যটকদের। অন্যদিকে, অতিরিক্ত পর্যটকের চাপ সামলানোর জন্য পর্যাপ্ত সংখ্যক হোটেল না থাকায় বেকায়দায় পড়তে হচ্ছে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা পর্যটকদের।

জানা গেছে, বান্দরবান শহরের হোটেল-মোটেল মালিক সমিতির আওতাভুক্ত ৫৫টি হোটেল থাকলেও কোনো হোটেলেই বর্তমানে কক্ষ খালি নেই। পর্যটকদের অভিযোগ, শুধু হোটেল নয়, দর্শনীয় স্থানগুলোতে যাওয়ার জন্য ব্যবহৃত চাঁদের গাড়ি (জীপ) পাওয়াও এখন আকাশের চাঁদ পাওয়ার সমান।

অতিরিক্ত পর্যটক থাকায় চাঁদের গাড়িগুলোও অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছে। দুইদিন আগেও জেলা শহর থেকে নীলগিরি যেতে সাড়ে তিন হাজার থেকে সাড়ে চার হাজার টাকা ভাড়া নিলেও এখন নেওয়া হচ্ছে ৭ হাজার টাকা।

ঢাকা থেকে আসা পর্যটক আব্দুল হাকিম বলেন, “বান্দরবানে গাড়িভাড়া দিতে গিয়ে বিস্মিত হয়েছি। মাত্র ৪০-৪৫ কিলোমিটার ভ্রমণে যেতে ৭ হাজার টাকা নিচ্ছে। এমন হলে বান্দরবানে দ্বিতীয়বার আর কেউ আসবে না।”

বান্দরবানের হোটেল, মোটেল ও রিসোর্ট মালিক সমিতির সভাপতি অমল কান্তি দাশ জানান, তিন দিনের ছুটি পেয়ে দীর্ঘদিন পর জমজমাট হয়েছে বান্দরবান। এতে হোটেলের মালিক-কর্মচারীরারাও খুশী। মহামারির সময়ে যে ক্ষতি হয়েছে তার অনেকটাই পুষিয়ে নেওয়ার প্রত্যাশা তাদের।

এদিকে বান্দরবান ট্যুারিস্ট পুলিশর ইনচার্জ মো.আমিনুল হক বলেন, “পর্যটকদের নিরাপদ ভ্রমণে ট্যুারিস্ট পুলিশ কাজ করছে। এছাড়া, পর্যটকেরা যাতে বান্দরবানে সকল পর্যটন কেন্দ্রে ভ্রমণ করে, নিরাপদে নিজ গন্তব্যে ফিরতে পারে সে জন্য ট্যুারিস্ট পুলিশের সদস্যরা নিয়মিত তদারকি করছে।” ঢাকা ট্রিবিউন

পাঠকের মতামত