ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: ১৮/০৫/২০২৫ ৮:৪৮ এএম

ভারত সরকার স্থলপথে বাংলাদেশি তৈরি পোশাকসহ নির্দিষ্ট কিছু পণ্য আমদানির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। শনিবার (১৭ মে) ভারতের বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ বৈদেশিক বাণিজ্য অধিদপ্তর (DGFT) এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ সিদ্ধান্ত জানায়। এতে বলা হয়, এই নিষেধাজ্ঞা সঙ্গে সঙ্গে কার্যকর হবে এবং শুধুমাত্র নহাভা শেভা ও কলকাতা সমুদ্রবন্দর ব্যবহার করে এসব পণ্য ভারতে প্রবেশ করতে পারবে।

নতুন এ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বাংলাদেশের তৈরি পোশাক, ফলমূল, কার্বনেটেড পানীয়, প্রক্রিয়াজাত খাদ্যপণ্য, প্লাস্টিক সামগ্রী (পণ্যের কাঁচামাল ছাড়া), তুলার বর্জ্য এবং কাঠের আসবাবপত্র ভারতের আসাম, মেঘালয়, ত্রিপুরা, মিজোরামসহ পশ্চিমবঙ্গের চ্যাংড়াবান্ধা ও ফুলবাড়ি সীমান্ত দিয়ে আর প্রবেশ করতে পারবে না।

Swapno

তবে নিষেধাজ্ঞার আওতার বাইরে থাকবে নেপাল ও ভুটানের জন্য বাংলাদেশ হয়ে রপ্তানি হওয়া পণ্য, এবং মাছ, এলপিজি, ভোজ্যতেল ও চূর্ণ পাথর—এই চারটি পণ্য স্থলপথে আগের মতোই ভারতে প্রবেশ করতে পারবে।

ভারতের সংবাদ সংস্থা এএনআই জানিয়েছে, শুধুমাত্র সমুদ্রবন্দর নির্ভর পরিবহন ব্যবস্থার ফলে বাংলাদেশের এসব পণ্যের পরিবহন ব্যয় উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়বে। ফলে এ খাতে প্রতিযোগিতায় নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।

বিশ্লেষকদের মতে, এই সিদ্ধান্ত ভারত-বাংলাদেশ বাণিজ্যিক সম্পর্কে নতুন চাপ সৃষ্টি করতে পারে। সম্প্রতি ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল নিয়ে চীনের বেইজিংয়ে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের মন্তব্যকে কেন্দ্র করে টানাপোড়েন শুরু হয়, যেখানে তিনি বাংলাদেশকে অঞ্চলের একমাত্র সমুদ্রপথের অভিভাবক বলে উল্লেখ করেন। এর জেরে মার্চে ভারত বাংলাদেশের ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করেছিল। বর্তমান নিষেধাজ্ঞাকে সে কূটনৈতিক উত্তেজনার ধারাবাহিকতা হিসেবেই দেখা হচ্ছে।

পাঠকের মতামত

ছাত্রশিবিরের সভাপতি নুরুল ইসলাম, সেক্রেটারি সিবগাতুল্লাহ

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের ২০২৬ সেশনের জন্য কেন্দ্রীয় সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন নূরুল ইসলাম সাদ্দাম। আর সেক্রেটারি ...