প্রকাশিত: ১৭/০১/২০২২ ১০:২৪ এএম

কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শিবিরে ফের বড় নাশকতার ছক এঁকেছে সন্ত্রাসীরা। অত্যাধুনিক অস্ত্র ব্যবহার করে বেপরোয়া হামলা ও বড় ধরনের অগ্নিকাণ্ডের পরিকল্পনা তাদের। এ লক্ষ্যে কিছু অস্ত্রধারী দুর্বৃত্ত বিভিন্ন স্থানে অবস্থান নিয়েছে। বিষয়টি স্বীকার করে সন্ত্রাসীদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছেন ১৪ এপিবিএনের অধিনায়ক এসপি নাঈমুল হক। অভিযানের অংশ হিসাবে রোববার ভোরে গোয়েন্দা তথ্যের ভিক্তিতে মিয়ানমারের উগ্রপন্থী সশস্ত্র সন্ত্রাসী গ্রুপ আরকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি বা আরসার প্রধান আতাউল্লাহ আবু জুনুনীর ভাই শাহ আলীকে গ্রেফতার করেছে আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন)। ভোর সাড়ে ৪টার দিকে উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

১৪ এপিবিএনের অধিনায়ক এসপি নাঈমুল হক যুগান্তরকে বলেন, আরসা প্রধান আতাউল্লাহ আবু জুনুনীর ভাই শাহ আলীকে গ্রেফতারের পর ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। সে তার ভাই ও মিয়ানমারের নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আরসা সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে।

নাম প্রকাশ না করে আরসার এক সাবেক নেতা জানান, ১ ফেব্রুয়ারি হেগের আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) রোহিঙ্গা গণহত্যা মামলার নতুন দফায় শুনানি ঘিরে ফের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে হামালার পরিকল্পনা করছে মিয়ানমার সরকারের মদদপুষ্ট সন্ত্রাসীরা। মিয়ানমার সরকার কথিত আরসাকে আধুনিক ও ভারী অস্ত্র সরবরাহ করেছে। এসব অস্ত্র রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সাধারণ মানুষ ও আইনশৃঙ্খলার বাহিনীর ওপরে ব্যবহার করতে পারে আরসা।

তিনি বলেন, ‘আমি একসময় পথ হারিয়ে সাধারণ রোহিঙ্গাদের জন্য কল্যাণ মনে করে আরসার একটি গ্রুপকে নেতৃত্ব দিয়েছি। পরে বুঝতে পারি আরসা আসলে মিয়ানমার সরকারের হয়ে কাজ করছে। তাই আমি সংগঠন থেকে বের হয়ে আসি।’

এ বিষয়ে ১৪ এপিবিএনের অধিনায়ক এসপি নাঈমুল হক বলেন, আমাদের কাছে গোয়েন্দা তথ্য ছিল নাশকতার পরিকল্পিকনা নিয়ে কিছু দুষ্কৃতকারী ক্যাম্পে অবস্থান নিয়েছে। এ কারণে গত তিন দিন ধরে সন্দেহভাজন এলাকাগুলো ড্রোন দিয়ে চিহ্নিত করে অভিযান চালানো হচ্ছে। গেল এক বছরে কথিত আরসা সদস্যসহ ৫শ’র অধিক দুর্বৃত্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত বছরের ২৯ সেপ্টেম্বর রাতে উখিয়ায় লম্বাশিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটসের চেয়ারম্যান মুহিবুল্লাহকে তার কার্যালয়ে গুলি চালিয়ে হত্যা করা হয়। এরপর ২৩ অক্টোবর ভোরে উখিয়ার পালংখালী ইউনিয়নের ১৮ নম্বর ময়নারঘোনা রোহিঙ্গা ক্যাম্পের একটি মাদ্রাসায় গুলি চালিয়ে হত্যা করা হয় ছয়জনকে। চাঞ্চল্যকর এই দুটি হত্যাকাণ্ডের জন্য আরসাকে দায়ী করে আসছেন নিহতের স্বজন ও সাধারণ রোহিঙ্গারা। সুত্র: যুগান্তর

পাঠকের মতামত

২২ টি মোবাইল টীমের মাধ্যমে উখিয়ায় স্বাস্থ্য সেবা কার্যক্রম পরিচালনা করে যাচ্ছে প্রান্তিক

তাপমাত্রা প্রায় ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যে তাপমাত্রায় মানুষ ঘর থেকে বের হতে ভয় পায়। সেখানে ...

টেকনাফে ঘূর্ণিঝড় মোখায় ক্ষতিগ্রস্থ হতদরিদ্র পরিবার “আয়েশা” পেলেন মাথা গোছার নতুন ঠাঁই !

কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার সাবরাং ইউনিয়ন এ ঘূর্ণিঝড় ‘মোখায়’ ক্ষতিগ্রস্ত হতদরিদ্র পরিবারের কাছে তুলে দিয়েছেন সেমিপাকা ...